ঢাকা ১২:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

নিষেধাজ্ঞার শেষ রাতে কলাপাড়ায় অভিযান: সাড়ে ৮ হাজার মিটার জাল ও ২ মন ইলিশ জব্দ, ২৬ জেলে আটক

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৭:৫১:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩ বার দেখা হয়েছে

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার শেষ রাতে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান চালিয়ে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সাড়ে ৮ হাজার মিটার জাল ও ২ মন ইলিশসহ ২৬ জেলেকে আটক করেছে উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার রাত ১১টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আন্ধারমানিক ও রাবনাবাদ নদীর মোহনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার হামিদের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা, কোস্টগার্ড সদস্য, নৌ পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানের সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরার অভিযোগে ২৬ জেলেকে আটক করা হয়। পরে ইউএনওর নির্দেশে প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা করে মোট ৫৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এসময় জব্দকৃত সাড়ে ৮ হাজার মিটার অবৈধ জাল জনসম্মুখে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং উদ্ধারকৃত প্রায় ২ মন ইলিশ বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, “নিষেধাজ্ঞার শেষ সময় পর্যন্ত অভিযান চলবে। আজ রাত বারোটা অব্দি কেউ নদী বা সাগরে নামলে তার বিরুদ্ধে আরও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুতের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। এ সময়ে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে নদী ও বঙ্গোপসাগরের সব অভয়াশ্রমে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল।

নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকেই উপকূলজুড়ে শুরু হবে নতুন মাছ ধরার মৌসুম। এরই মধ্যে কলাপাড়ার মহিপুর ও আলিপুর মৎস্য বন্দরে চলছে জেলেদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি—জাল মেরামত, ট্রলার পরিষ্কার, বরফ সংগ্রহসহ নানা কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা আরও বলেন, “নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি এবার উৎপাদন আগের বছরের চেয়ে অনেক বেশি হবে এবং জেলেরা তাদের আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবেন।”

নিষেধাজ্ঞার শেষ প্রহরে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি এবং অভিযান জেলেদের বার্তা দিয়েছে—মা ইলিশ রক্ষায় অবহেলার কোনো সুযোগ নেই। অন্যদিকে জেলেদের মুখে এখন একটাই প্রত্যাশা—সমুদ্র ভরে উঠুক রূপালি ইলিশে

জনপ্রিয় সংবাদ

পরীক্ষায় ডিভাইস ব্যবহার: পটুয়াখালীতে পরীক্ষার্থীসহ তিনজনের কারাদণ্ড

নিষেধাজ্ঞার শেষ রাতে কলাপাড়ায় অভিযান: সাড়ে ৮ হাজার মিটার জাল ও ২ মন ইলিশ জব্দ, ২৬ জেলে আটক

প্রকাশিত : ০৭:৫১:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার শেষ রাতে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান চালিয়ে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সাড়ে ৮ হাজার মিটার জাল ও ২ মন ইলিশসহ ২৬ জেলেকে আটক করেছে উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার রাত ১১টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আন্ধারমানিক ও রাবনাবাদ নদীর মোহনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার হামিদের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা, কোস্টগার্ড সদস্য, নৌ পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানের সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরার অভিযোগে ২৬ জেলেকে আটক করা হয়। পরে ইউএনওর নির্দেশে প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা করে মোট ৫৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এসময় জব্দকৃত সাড়ে ৮ হাজার মিটার অবৈধ জাল জনসম্মুখে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং উদ্ধারকৃত প্রায় ২ মন ইলিশ বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, “নিষেধাজ্ঞার শেষ সময় পর্যন্ত অভিযান চলবে। আজ রাত বারোটা অব্দি কেউ নদী বা সাগরে নামলে তার বিরুদ্ধে আরও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুতের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। এ সময়ে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে নদী ও বঙ্গোপসাগরের সব অভয়াশ্রমে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল।

নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকেই উপকূলজুড়ে শুরু হবে নতুন মাছ ধরার মৌসুম। এরই মধ্যে কলাপাড়ার মহিপুর ও আলিপুর মৎস্য বন্দরে চলছে জেলেদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি—জাল মেরামত, ট্রলার পরিষ্কার, বরফ সংগ্রহসহ নানা কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা আরও বলেন, “নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি এবার উৎপাদন আগের বছরের চেয়ে অনেক বেশি হবে এবং জেলেরা তাদের আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবেন।”

নিষেধাজ্ঞার শেষ প্রহরে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি এবং অভিযান জেলেদের বার্তা দিয়েছে—মা ইলিশ রক্ষায় অবহেলার কোনো সুযোগ নেই। অন্যদিকে জেলেদের মুখে এখন একটাই প্রত্যাশা—সমুদ্র ভরে উঠুক রূপালি ইলিশে