ঢাকা ০১:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

গলাচিপায় হাজী কেরামত আলী কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৬:৩১:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩ বার দেখা হয়েছে

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাসের হাজী কেরামত আলী কলেজের অধ্যক্ষ আলীম উজ্জামানের অপসারণের দাবিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর এই মানববন্ধনে অংশ নেয়। অন্দোলনকারীরা পরে স্থানীয় ক্লোজার বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে সেখানে বক্তব্য রাখেন চরকাজল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহমেদ আকন, চরবিশ্বাস ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. বাকের বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, চরকাজল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক মো. টিপু বিশ্বাস, গণ অধিকার পরিষদের চরবিশ্বাস ইউনিয়নের আহবায়ক, সদস্য সচিব মো. জুয়েল হাওলাদার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের চরবিশ্বাস ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা মীর মোস্তফা কামাল এবং চরকাজল ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা মোঃ আজিজ জোমাদ্দার, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের চরবিশ্বাস ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা মো. ইমরান নাজির ও সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মো. আল আমিন, চরআগস্থি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হুমায়ুন কবির, চরবিশ্বাস জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতাউর রহমান দুলালসহ বিভিন্ন স্কুল–কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এসময় বক্তারা অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া অধ্যক্ষ আলীম উজজামানকে অপসারণ করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আমাদের আন্দোলন চলবে। এছাড়ও অধ্যক্ষ আলীম উজজামান অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত, তিনি নিজে বাঁচার জন্য প্রতিষ্ঠানের সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সভাপতি গোলাম মোস্তফা যিনি নিজ অর্থায়নে এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। অথচ আজ অধ্যক্ষ নিজে বাঁচার জন্য সভাপতির বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা করেছে যা অমানবিক।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলীম উজজামান একজন মাদ্রাসা শিক্ষক। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী কোন মাদ্রাসা শিক্ষক কোন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হতে পারে না। কিন্তু তিনি বিভিন্ন জাল জালিয়াতি করে অবৈধভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আমরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছি। এসব কারণে তিনি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ ছড়াচ্ছেন। বর্তমানে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা ও কিন্তু শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অধ্যক্ষ আলীম উজজামানকে অপসারণ দাবি জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ আলীম উজজামান বলেন, আদালতে একটি মামলা চলমান ও আদেশ রয়েছে। যে মামলার আদেশ বাস্তবায়নে আমি হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি সভাপতির বিরুদ্ধে কোন মামলা করি নাই। গোলাম মোস্তফা মিয়া একজন ভালো মানুষ কিন্তু তাকে কেউ ব্যবহার করতেছে। আমি চলমান মামলায় হাইকোর্টের যে নির্দেশনা আসে তাই মেনে নিবো এবং আইনি প্রক্রিয়ায় বিষয়টির সমাধান করতে চাই। তিনি আরও বলেন, আমাকে কলেজে যেতে নিষেধ করেছে তাই আমি যাই না।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মানববন্ধন, অরাজকতা সৃষ্টি এমন পরিবেশ কাম্য নয়। আমরা চাই সুষ্ঠু স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসুক। কমিটির সভাপতি ও অধ্যক্ষের মধ্যে চলমান সমস্যা সমাধানে আমরা আলোচনা করবো। সমস্যা সমাধানে আমরা আলোচনা করবো।

জনপ্রিয় সংবাদ

গলাচিপায় হাজী কেরামত আলী কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত : ০৬:৩১:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাসের হাজী কেরামত আলী কলেজের অধ্যক্ষ আলীম উজ্জামানের অপসারণের দাবিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর এই মানববন্ধনে অংশ নেয়। অন্দোলনকারীরা পরে স্থানীয় ক্লোজার বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে সেখানে বক্তব্য রাখেন চরকাজল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহমেদ আকন, চরবিশ্বাস ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. বাকের বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, চরকাজল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক মো. টিপু বিশ্বাস, গণ অধিকার পরিষদের চরবিশ্বাস ইউনিয়নের আহবায়ক, সদস্য সচিব মো. জুয়েল হাওলাদার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের চরবিশ্বাস ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা মীর মোস্তফা কামাল এবং চরকাজল ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা মোঃ আজিজ জোমাদ্দার, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের চরবিশ্বাস ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা মো. ইমরান নাজির ও সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মো. আল আমিন, চরআগস্থি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হুমায়ুন কবির, চরবিশ্বাস জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতাউর রহমান দুলালসহ বিভিন্ন স্কুল–কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এসময় বক্তারা অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া অধ্যক্ষ আলীম উজজামানকে অপসারণ করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আমাদের আন্দোলন চলবে। এছাড়ও অধ্যক্ষ আলীম উজজামান অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত, তিনি নিজে বাঁচার জন্য প্রতিষ্ঠানের সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সভাপতি গোলাম মোস্তফা যিনি নিজ অর্থায়নে এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। অথচ আজ অধ্যক্ষ নিজে বাঁচার জন্য সভাপতির বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা করেছে যা অমানবিক।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলীম উজজামান একজন মাদ্রাসা শিক্ষক। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী কোন মাদ্রাসা শিক্ষক কোন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হতে পারে না। কিন্তু তিনি বিভিন্ন জাল জালিয়াতি করে অবৈধভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আমরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছি। এসব কারণে তিনি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ ছড়াচ্ছেন। বর্তমানে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা ও কিন্তু শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অধ্যক্ষ আলীম উজজামানকে অপসারণ দাবি জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ আলীম উজজামান বলেন, আদালতে একটি মামলা চলমান ও আদেশ রয়েছে। যে মামলার আদেশ বাস্তবায়নে আমি হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি সভাপতির বিরুদ্ধে কোন মামলা করি নাই। গোলাম মোস্তফা মিয়া একজন ভালো মানুষ কিন্তু তাকে কেউ ব্যবহার করতেছে। আমি চলমান মামলায় হাইকোর্টের যে নির্দেশনা আসে তাই মেনে নিবো এবং আইনি প্রক্রিয়ায় বিষয়টির সমাধান করতে চাই। তিনি আরও বলেন, আমাকে কলেজে যেতে নিষেধ করেছে তাই আমি যাই না।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মানববন্ধন, অরাজকতা সৃষ্টি এমন পরিবেশ কাম্য নয়। আমরা চাই সুষ্ঠু স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসুক। কমিটির সভাপতি ও অধ্যক্ষের মধ্যে চলমান সমস্যা সমাধানে আমরা আলোচনা করবো। সমস্যা সমাধানে আমরা আলোচনা করবো।