দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
খালের প্রস্থ ১৬ ফুট। এ খালের উপর এক কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭২ ফুট দৈর্ঘ্যের গার্ডার সেতু উঁচু করে  নির্মাণ করায় এলাকাবাসীর ভোগান্তি। নির্মাণাধীন সেতুটির অবস্থান কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দরাজখোলা গ্রামের ভূইয়া বাড়ির দক্ষিণ পাশে খালের উপর। এ সেতু উঁচু করে নির্মাণ করায় রিক্সা, অটো রিক্সা সেতুর  উপরে  উঠতে পারে না ।

দুই গ্রামের সামাজিক কবরস্থানে লাশ নেয়ার পথ বন্ধ হয়েছে, সেতুর নিচ দিয়ে নৌকা চলাচল করতে পারে না ,, ব্রিজের আশেপাশের বাড়ির জনগণ মই দিয়ে ব্রিজে উঠানামা করতে হয় ।জনস্বার্থে ব্রিজে  নির্মাণ হলেও এখন জনগণের ভোগান্তির শেষ নাই। ২০০৩ সালে ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭২ ফুট দীর্ঘ পাকা সড়কে প্রায় ৭ ফুট উঁচু গার্ডার ব্রিজ দরপত্র আহবান করা হয়। সেতুটি নির্মাণ কাজ করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স হারুন এন্ড সন। ব্রিজটি বড় আকারে না করে ছোট আকারে করার লক্ষ্যে দরাজ খোলা গ্রামের সমাজসেবী মঞ্জুরুল হাসান ভূঁইয়া হাইকোর্টে একটি পিটিশন করেন। এ পিটিশনের ভিত্তিতে কুমিল্লা নির্বাহী প্রকৌশলীকে হাইকোর্ট কোটকনডম দেয়া সত্ত্বেও কাজ নির্মাণ চালিয়ে যাচ্ছে।

মনজুরুল হাসান জানান ,আমরা ব্রিজ চাই তবে ছোট আকারে ব্রিজ কিন্তু বড় আকারে  ব্রিজ নির্মাণ করায় জমির মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে ,এছাড়া দুই গ্রামের কবরস্থানে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়েছে। দরাজখোলা গ্রামের সমাজসেবী মুসা কলিমুল্লাহ জানান ব্রিজ নির্মাণ হয় জনগণের উপকারের জন্য কিন্তু সেই ব্রিজ উঁচু করায় মই দিয়ে ব্রিজে উঠতে হয়। ব্রিজে নিচ দিয়ে নৌকা চলাচল করতে পারে  না । এ ব্রিজের কারণে নানা সমস্যায় জর্জরিত এলাকাবাসী। ঠিকাদার হারুন ক্যাডার বাহিনী দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। আমরা শত চেষ্টা করেও ছোট ব্রিজ করতে পারিনি। এ ব্যাপারে ঠিকাদার হারুন বলেন উপজেলা প্রকৌশলীর নির্দেশে কাজ করছি। দাউদকান্দি উপজেলা প্রকৌশলীকে বারবার ফোন দিও তাকে পাওয়া যায়নি।
                           
																			
																ডেস্ক রিপোর্ট								 






















