ঢাকা ০৭:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

শুটিংয়ে ‘নিপীড়ন’ তদন্তের দাবি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৪:০৫:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • ২ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। যা পুরো ক্রীড়াঙ্গনে আলোচনার ঝড় তুলেছে। ক্রিকেটের পর এবার শুটিংয়েও নিপীড়ন তদন্তের দাবি জোরালোভাবে উঠেছে।

ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম প্রতিবাদী কন্ঠস্বর সাবেক শুটার ও কোচ শারমিন আক্তার রত্না। তিনি বলেন, ‘জাহানারার অভিযোগের পর এখন বিসিবি এবং উপদেষ্টা তদন্তের কথা বলেছেন। ফলে আমাদের শুটিংয়ের বিষয়টিও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। শুটিং ফেডারেশনের নতুন কমিটি হওয়ার আগেই আমরা কয়েকজন শুটার জিএম হায়দার সাজ্জাদকে নিয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। তার উপর নারী সংক্রান্ত অনেক অভিযোগই ছিল। এজন্য তাকে শুটিং ফেডারেশনের কমিটিতে না রাখার দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেল তিনি কমিটির যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন।’

ক্রীড়া উপদেষ্টা বরাবর জিএম হায়দার সাজ্জাদকে নিয়ে বেশ গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন শুটাররা। সেখানে তারা উল্লেখ করেন, ‘অতীতে উল্লেখিত ব্যক্তি আমাদের বিভিন্ন নারী শুটারদের সাথে অনৈতিক আচরণ করার চেষ্টা করেছেন এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারী শুটাররা তার অনৈতিক আচরণ ও অশ্লীল কর্মকান্ডের শিকার হয়েছেন। সেই চিঠিতে শুটারদের পক্ষে রত্না স্বাক্ষর করেন। তবে সেই চিঠি মন্ত্রণালয় বা এনএসসি আনুষ্ঠানিকভাবে রিসিভ করেছে এ রকম প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’

ক্রিকেট, ফুটবল বাদে দেশের সকল ফেডারেশনই সাধারণ সম্পাদক নির্ভর। শুটিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আলেয়া ফেরদৌসের বয়স প্রায় আশি। তাই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএম হায়দার সাজ্জাদের হাতেই ফেডারেশনের চালিকাশক্তি। সাজ্জাদ যুগ্ম সম্পাদক হওয়ার পরপরই সাবেক শুটার রত্না কোচ হিসেবে পদত্যাগ করেছেন।

শুটার সাবরিনার ছেলে শুটিংয়ে এসেছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে ক্যাম্পের পরিবেশ ও কিছু ঘটনার কারণে উৎসাহ হারিয়েছেন। তাই ছেলেকে শুটিং থেকে ফিরিয়ে এনেছেন কিংবদন্তী এই শুটার, ‘আমার ছেলে ছোট এরপরও কিছু কিছু বিষয় সে শুনেছে। অস্বস্তিতের জন্য শুটিং থেকে ফিরে সে এখন পড়াশোনায় মনোযোগী। একজন ছেলের যদি এমন পরিস্থিতি হয় তাহলে মেয়েরা কতটা চ্যালেঞ্জে পড়তে হয়।’

দেশের অন্যতম এক সেরা নারী শুটার মানসিক নিপীড়নের মধ্যে রয়েছেন। তিনি আজ এই সংক্রান্ত একটি পোস্টও করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ক্যাম্প থেকে বাদ পড়া কিংবা ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার ভয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ মুখ খোলার সাহস করছেন না শুটাররা।

শুটিংয়ে ‘নিপীড়ন’ তদন্তের দাবি

প্রকাশিত : ০৪:০৫:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। যা পুরো ক্রীড়াঙ্গনে আলোচনার ঝড় তুলেছে। ক্রিকেটের পর এবার শুটিংয়েও নিপীড়ন তদন্তের দাবি জোরালোভাবে উঠেছে।

ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম প্রতিবাদী কন্ঠস্বর সাবেক শুটার ও কোচ শারমিন আক্তার রত্না। তিনি বলেন, ‘জাহানারার অভিযোগের পর এখন বিসিবি এবং উপদেষ্টা তদন্তের কথা বলেছেন। ফলে আমাদের শুটিংয়ের বিষয়টিও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। শুটিং ফেডারেশনের নতুন কমিটি হওয়ার আগেই আমরা কয়েকজন শুটার জিএম হায়দার সাজ্জাদকে নিয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। তার উপর নারী সংক্রান্ত অনেক অভিযোগই ছিল। এজন্য তাকে শুটিং ফেডারেশনের কমিটিতে না রাখার দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেল তিনি কমিটির যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন।’

ক্রীড়া উপদেষ্টা বরাবর জিএম হায়দার সাজ্জাদকে নিয়ে বেশ গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন শুটাররা। সেখানে তারা উল্লেখ করেন, ‘অতীতে উল্লেখিত ব্যক্তি আমাদের বিভিন্ন নারী শুটারদের সাথে অনৈতিক আচরণ করার চেষ্টা করেছেন এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারী শুটাররা তার অনৈতিক আচরণ ও অশ্লীল কর্মকান্ডের শিকার হয়েছেন। সেই চিঠিতে শুটারদের পক্ষে রত্না স্বাক্ষর করেন। তবে সেই চিঠি মন্ত্রণালয় বা এনএসসি আনুষ্ঠানিকভাবে রিসিভ করেছে এ রকম প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’

ক্রিকেট, ফুটবল বাদে দেশের সকল ফেডারেশনই সাধারণ সম্পাদক নির্ভর। শুটিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আলেয়া ফেরদৌসের বয়স প্রায় আশি। তাই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএম হায়দার সাজ্জাদের হাতেই ফেডারেশনের চালিকাশক্তি। সাজ্জাদ যুগ্ম সম্পাদক হওয়ার পরপরই সাবেক শুটার রত্না কোচ হিসেবে পদত্যাগ করেছেন।

শুটার সাবরিনার ছেলে শুটিংয়ে এসেছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে ক্যাম্পের পরিবেশ ও কিছু ঘটনার কারণে উৎসাহ হারিয়েছেন। তাই ছেলেকে শুটিং থেকে ফিরিয়ে এনেছেন কিংবদন্তী এই শুটার, ‘আমার ছেলে ছোট এরপরও কিছু কিছু বিষয় সে শুনেছে। অস্বস্তিতের জন্য শুটিং থেকে ফিরে সে এখন পড়াশোনায় মনোযোগী। একজন ছেলের যদি এমন পরিস্থিতি হয় তাহলে মেয়েরা কতটা চ্যালেঞ্জে পড়তে হয়।’

দেশের অন্যতম এক সেরা নারী শুটার মানসিক নিপীড়নের মধ্যে রয়েছেন। তিনি আজ এই সংক্রান্ত একটি পোস্টও করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ক্যাম্প থেকে বাদ পড়া কিংবা ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার ভয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ মুখ খোলার সাহস করছেন না শুটাররা।