ঢাকা ০৪:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

৮৯১ প্রকল্পে ২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০১:৫৩:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • ৩ বার দেখা হয়েছে

জলবায়ুর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সরকারের গঠন করা বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্টের ৮৯১টি প্রকল্পে ২ হাজার ১১০ কোটি টাকার দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (৯ নভেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এক অভিযানে বিভিন্ন অনিয়মের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।

এর আগে গত ৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্টের (বিসিসিটি) ৮৯১টি প্রকল্পে ২ হাজার ১১০ কোটি টাকার দুর্নীতি নিয়ে এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

রোববারের অভিযান নিয়ে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট কর্তৃক প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বরাদ্দক করা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেইঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড (বিসিসিটি) কার্যালয়, মহাখালী, ঢাকা থেকে সরেজমিনে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়।

তিনি বলেন, দুদকের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিলের অধীনে ৮৯টি প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ২,১১০ কোটি টাকার মধ্যে ৫৪ শতাংশে প্রকল্পে বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে প্রতিফলিত হয়েছে। দুদক টিমের প্রাথমিক পর্যালোচনায় রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রকল্প গ্রহণসহ বাস্তবায়নে বিভিন্ন অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। অভিযোগ সংক্রান্ত সব রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা শেষে টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।

জলবায়ুর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সরকারের গঠন করা বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্টের (বিসিসিটি) ৮৯১টি প্রকল্পে ২ হাজার ১১০ কোটি টাকার দুর্নীতির তথ্য পায় টিআইবি। দুর্নীতি নিয়ে কাজ করা সংস্থাটির হিসাবে বিসিসিটি প্রকল্পের ৫৪ শতাংশের বেশি অর্থ অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।

সংস্থাটির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্প অনুমোদনে ঘুষ ও অবৈধ লেনদেনে ১৭৫ কোটি টাকা, ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়মে ৬০০ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়ন পর্যায়ে ১ হাজার ২৮০ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। তদারকি পর্যায়েও ৫৪ কোটি টাকার ঘুষ লেনদেন হয়েছে। ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিসিসিটির অধীনে অনুমোদিত ৮৯১টি প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ২ হাজার ১১১ কোটি টাকা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অপচয় বা আত্মসাৎ হয়েছে।

প্রকল্পে দুর্নীতির মূল ক্ষেত্রগুলো হলো- প্রকল্প অনুমোদনে ঘুষ ও অবৈধ লেনদেন, ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং বাস্তবায়ন পর্যায়ে অর্থ আত্মসাৎ। ২০১৯–২০২৩ সালে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর অর্ধেকের বেশি ছিল সৌর সড়কবাতি স্থাপনসংক্রান্ত, যেখানে অতিমূল্যায়নের মাধ্যমে ১৭০ কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ হয়েছে বলে টিআইবির অনুমান।

৮৯১ প্রকল্পে ২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক

প্রকাশিত : ০১:৫৩:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

জলবায়ুর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সরকারের গঠন করা বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্টের ৮৯১টি প্রকল্পে ২ হাজার ১১০ কোটি টাকার দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (৯ নভেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এক অভিযানে বিভিন্ন অনিয়মের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।

এর আগে গত ৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্টের (বিসিসিটি) ৮৯১টি প্রকল্পে ২ হাজার ১১০ কোটি টাকার দুর্নীতি নিয়ে এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

রোববারের অভিযান নিয়ে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট কর্তৃক প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বরাদ্দক করা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেইঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড (বিসিসিটি) কার্যালয়, মহাখালী, ঢাকা থেকে সরেজমিনে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়।

তিনি বলেন, দুদকের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিলের অধীনে ৮৯টি প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ২,১১০ কোটি টাকার মধ্যে ৫৪ শতাংশে প্রকল্পে বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে প্রতিফলিত হয়েছে। দুদক টিমের প্রাথমিক পর্যালোচনায় রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রকল্প গ্রহণসহ বাস্তবায়নে বিভিন্ন অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। অভিযোগ সংক্রান্ত সব রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা শেষে টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।

জলবায়ুর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সরকারের গঠন করা বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্টের (বিসিসিটি) ৮৯১টি প্রকল্পে ২ হাজার ১১০ কোটি টাকার দুর্নীতির তথ্য পায় টিআইবি। দুর্নীতি নিয়ে কাজ করা সংস্থাটির হিসাবে বিসিসিটি প্রকল্পের ৫৪ শতাংশের বেশি অর্থ অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।

সংস্থাটির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্প অনুমোদনে ঘুষ ও অবৈধ লেনদেনে ১৭৫ কোটি টাকা, ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়মে ৬০০ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়ন পর্যায়ে ১ হাজার ২৮০ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। তদারকি পর্যায়েও ৫৪ কোটি টাকার ঘুষ লেনদেন হয়েছে। ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিসিসিটির অধীনে অনুমোদিত ৮৯১টি প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ২ হাজার ১১১ কোটি টাকা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অপচয় বা আত্মসাৎ হয়েছে।

প্রকল্পে দুর্নীতির মূল ক্ষেত্রগুলো হলো- প্রকল্প অনুমোদনে ঘুষ ও অবৈধ লেনদেন, ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং বাস্তবায়ন পর্যায়ে অর্থ আত্মসাৎ। ২০১৯–২০২৩ সালে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর অর্ধেকের বেশি ছিল সৌর সড়কবাতি স্থাপনসংক্রান্ত, যেখানে অতিমূল্যায়নের মাধ্যমে ১৭০ কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ হয়েছে বলে টিআইবির অনুমান।