বরিশাল প্রতিনিধি :
পিরোজপুরে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের শহিদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) গভীর রাতে জেলা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পাশে নির্মিত জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে স্থানীয়রা স্মৃতিস্তম্ভের নিচের অংশে আগুন দেওয়ার চিহ্ন ও কালো দাগ দেখতে পান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আগুন দেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে।
পিরোজপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বাতেন গণমাধ্যমকে বলেন, শহিদদের প্রতি অবমাননাকর এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীদের দিয়ে পিরোজপুসহ একাধিক স্থানে শহিদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ গুলোতে নাশকতার কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে ঘটনাটি তদন্তে পুলিশ ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি দেখে মনে হয় ওড়না বা কাপড় জাতীয় কোন কিছু জড়িয়ে দিয়ে আগুন দিয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।
এদিকে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ আবু নাসের গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষণিক পাহারায় নিয়েজিত ছিল। রাত ৩টার সময় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম তদারকি করে চলে যান। ধারণা করা হচ্ছে ফজর নামাজের আগে-পরে কোন এক সময় দুর্বৃত্তরা স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় দুজন পুলিশ সদস্যকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, থানায় মামলা নিয়ে অনতিবিলম্বে এসব দুস্কৃতকারিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

ডেস্ক রিপোর্ট 






















