ঢাকা ০৫:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

কাগুজে রপ্তানির ২২ কোটি টাকার কারসাজি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৩:১৪:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
  • ১ বার দেখা হয়েছে

চট্টগ্রাম বন্দরে রপ্তানির কোনো পণ্য প্রবেশ করেনি, জাহাজেও কোনো পণ্য লোড করা হয়নি। অথচ আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, কানাডা ও সিঙ্গাপুরে রপ্তানি হয়ে গেছে কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য! রপ্তানিকারকের ব্যাংক হিসাবে এসে গেছে ১৮ কোটি টাকাও। আবার রপ্তানি বাবদ সরকারের নগদ প্রণোদনা হিসেবেও উত্তোলন করা হয়েছে ৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এমন অসম্ভব ঘটনা ঘটিয়েছে ডিওই (দো) এমপেক্স লিমিটেড নামে একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান।

কাগজে-কলমে রপ্তানি দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা জালিয়াতি করার এ ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের অনুসন্ধান বলছে, ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ডিওই এমপেক্স লিমিটেড মোট ৪১টি বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল করে সরকারের প্রণোদনা গ্রহণ করে। যার মধ্যে ৭টি বিল অব এক্সপোর্টের বিপরীতে শাকসবজি, ফলমূল ও প্রক্রিয়াজাত কৃষি পণ্যের চালান দুবাই ও অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর সত্যতা পাওয়া গেলেও ৩৪টি বিল অব এক্সপোর্টের বিপরীতে কোনো পণ্য বিদেশে রপ্তানি হয়নি।

অথচ পণ্য রপ্তানির বিপরীতে অগ্রিম হিসেবে পুরো অর্থ ২২ লাখ ১৮ হাজার ১৭.৪৪ মার্কিন ডলার অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে প্রত্যাবাসন হয়েছে। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ১৮ কোটি ৬০ লাখ ৯১ হাজার ৪০৪ টাকা। রপ্তানি দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ৩ কোটি ৭১ লাখ ৮১ হাজার টাকার সরকারি নগদ প্রণোদনাও উত্তোলন করেছে।

দুদক বলছে, এখানে মানিলন্ডারিং ও জাল-জালিয়াতির মতো দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে। যার সঙ্গে দো এমপেক্স লিমিটেডের মালিক ও কর্মকর্তা, সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট, কাস্টমস কর্মকর্তা ও ব্যাংক কর্মকর্তাসহ মোট ২৬ জনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছে দুদক।

দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি জানতে চাইলে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, রপ্তানির নামে নগদ প্রণোদনা হাতিয়ে নেওয়ার নজির আগেও দেখেছি। দুদকে চলমান অনুসন্ধানে যাদের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যাবে, কমিশনের অনুমোদনক্রমে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

কাগুজে রপ্তানির ২২ কোটি টাকার কারসাজি

প্রকাশিত : ০৩:১৪:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরে রপ্তানির কোনো পণ্য প্রবেশ করেনি, জাহাজেও কোনো পণ্য লোড করা হয়নি। অথচ আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, কানাডা ও সিঙ্গাপুরে রপ্তানি হয়ে গেছে কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য! রপ্তানিকারকের ব্যাংক হিসাবে এসে গেছে ১৮ কোটি টাকাও। আবার রপ্তানি বাবদ সরকারের নগদ প্রণোদনা হিসেবেও উত্তোলন করা হয়েছে ৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এমন অসম্ভব ঘটনা ঘটিয়েছে ডিওই (দো) এমপেক্স লিমিটেড নামে একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান।

কাগজে-কলমে রপ্তানি দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা জালিয়াতি করার এ ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের অনুসন্ধান বলছে, ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ডিওই এমপেক্স লিমিটেড মোট ৪১টি বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল করে সরকারের প্রণোদনা গ্রহণ করে। যার মধ্যে ৭টি বিল অব এক্সপোর্টের বিপরীতে শাকসবজি, ফলমূল ও প্রক্রিয়াজাত কৃষি পণ্যের চালান দুবাই ও অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর সত্যতা পাওয়া গেলেও ৩৪টি বিল অব এক্সপোর্টের বিপরীতে কোনো পণ্য বিদেশে রপ্তানি হয়নি।

অথচ পণ্য রপ্তানির বিপরীতে অগ্রিম হিসেবে পুরো অর্থ ২২ লাখ ১৮ হাজার ১৭.৪৪ মার্কিন ডলার অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে প্রত্যাবাসন হয়েছে। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ১৮ কোটি ৬০ লাখ ৯১ হাজার ৪০৪ টাকা। রপ্তানি দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ৩ কোটি ৭১ লাখ ৮১ হাজার টাকার সরকারি নগদ প্রণোদনাও উত্তোলন করেছে।

দুদক বলছে, এখানে মানিলন্ডারিং ও জাল-জালিয়াতির মতো দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে। যার সঙ্গে দো এমপেক্স লিমিটেডের মালিক ও কর্মকর্তা, সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট, কাস্টমস কর্মকর্তা ও ব্যাংক কর্মকর্তাসহ মোট ২৬ জনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছে দুদক।

দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি জানতে চাইলে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, রপ্তানির নামে নগদ প্রণোদনা হাতিয়ে নেওয়ার নজির আগেও দেখেছি। দুদকে চলমান অনুসন্ধানে যাদের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যাবে, কমিশনের অনুমোদনক্রমে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।