শিক্ষক পদে নিয়োগের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসা ১-১২তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই গ্রুপের নিবন্ধনধারীদের আর কোনোভাবেই শিক্ষক পদে নিয়োগের সুযোগ দেওয়া হবে না। বিষয়টি নিয়ে খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এনটিআরসিএর প্রতিনিধিদের সঙ্গে জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) মিজানুর রহমান, যুগ্মসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) হেলালুজ্জামান সরকার, এনটিআরসিএর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী এবং পরিচালক তাসনিম জেবিন বিনতে শেখ।

সভায় অংশ নেওয়া মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, ১-১২তম নিবন্ধনধারীদের বিষয়ে এনটিআরসিএর কাছে ব্যাখ্যা চান সচিব রেহানা পারভীন। এ সময় এনটিআরসিএ সচিবকে অবহিত করে জানায়, এই গ্রুপের নিবন্ধনধারীরা কোর্টে ১৬৬টি মামলায় হারায় এবং অধিকাংশের বয়সও পেরিয়ে গেছে। এসব বিবেচনায় সচিব তাদের নিয়োগ না দেওয়ার চূড়ান্ত নির্দেশনা দেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সাল থেকে এনটিআরসিএ শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিচ্ছে। তবে প্রথম ১০ বছর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা ছিল সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাতে। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে এনটিআরসিএকে সনদ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ক্ষমতাও দেওয়া হয়।

ডেস্ক রিপোর্ট 






















