ঢাকা ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

দেবীদ্বারে মোবাইল কোর্টের অভিযান সংবাদে শতাধিক ফার্মেসি বন্ধ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৫:৫৪:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ০ বার দেখা হয়েছে

দেবীদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার দেবীদ্বার নিউমার্কেট এলাকায় মোবাইল কোর্টের অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রায় শতাধিক ফার্মেসি একযোগে দোকানের সাটার ফেলে পালিয়ে যায়। এতে জরুরি ওষুধের প্রয়োজন পড়া রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। অভিযানে দুই ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়াসহ সর্বমোট ৮ প্রতিষ্ঠানকে ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বিকেল সোয়া ৪ টায় ম্যাজিস্ট্রেট আসার সংবাদে আবারো ব্যবসায়িরা সাটার ফেলে পালাতে দেখা যায়।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার মো. ফয়সল উদ্দীনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নাজমুল হোসেন, উপজেলা স্যানিটারি পরিদর্শক কামরুন নাহার এবং পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানের খবর এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে নিউমার্কেট এলাকার প্রায় শতাধিক ফার্মেসি দ্রæত দোকান বন্ধ করে দেয়। পরে খোলা পাওয়া দুই ফার্মেসি ‘গোমতী ফার্মেসি’ ও ‘রউফ ফার্মেসি’র তাক থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ উদ্ধার করা হয়। এতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ৫১ ধারায় প্রত্যেকটিকে ৩০ হাজার টাকা করে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।


এ ছাড়া ‘লোকনাথ মিষ্টি ভান্ডার’ ও ‘মধুরাজ মিষ্টি ভান্ডার’কে মিষ্টির উৎপাদন তারিখ না থাকায় আইনের ৫৩ ধারায় ১০ হাজার টাকা করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১১-এর ২৪ ধারায় আরও ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মোট ৬ মামলায় জরিমানার পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৮ হাজার টাকা।
ফার্মেসি মালিক সমিতির এক নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, “দোকানে কিছু ত্রæটি থাকতেই পারে। ধরা পড়লে জরিমানা দিতেই হবে। কিন্তু একেক ফার্মেসিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ব্যবসার জন্য বড় ধাক্কা। অনেকেরই ট্রেড লাইসেন্স বা ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন ঠিক নেই। আবার কিছু দালাল সরকারি হাসপাতালের নিষিদ্ধ ওষুধ ও ডিব্বা কোম্পানীর ঔষধ ফার্মেসিতে রাখতে চাপ দেয়। চিকিৎসক যে ঔষধ লিখবে সে ঔষধ দিতে হবে বলেও হুমকী দেয়।”
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফয়সল উদ্দীন বলেন, “নাগরিকের স্বাস্থ্যসুরক্ষায় নিয়মিতভাবে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা অভিযান এড়িয়ে দোকান বন্ধ করে পালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

দেবীদ্বারে মোবাইল কোর্টের অভিযান সংবাদে শতাধিক ফার্মেসি বন্ধ

দেবীদ্বারে মোবাইল কোর্টের অভিযান সংবাদে শতাধিক ফার্মেসি বন্ধ

প্রকাশিত : ০৫:৫৪:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

দেবীদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার দেবীদ্বার নিউমার্কেট এলাকায় মোবাইল কোর্টের অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রায় শতাধিক ফার্মেসি একযোগে দোকানের সাটার ফেলে পালিয়ে যায়। এতে জরুরি ওষুধের প্রয়োজন পড়া রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। অভিযানে দুই ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়াসহ সর্বমোট ৮ প্রতিষ্ঠানকে ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বিকেল সোয়া ৪ টায় ম্যাজিস্ট্রেট আসার সংবাদে আবারো ব্যবসায়িরা সাটার ফেলে পালাতে দেখা যায়।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার মো. ফয়সল উদ্দীনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নাজমুল হোসেন, উপজেলা স্যানিটারি পরিদর্শক কামরুন নাহার এবং পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানের খবর এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে নিউমার্কেট এলাকার প্রায় শতাধিক ফার্মেসি দ্রæত দোকান বন্ধ করে দেয়। পরে খোলা পাওয়া দুই ফার্মেসি ‘গোমতী ফার্মেসি’ ও ‘রউফ ফার্মেসি’র তাক থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ উদ্ধার করা হয়। এতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ৫১ ধারায় প্রত্যেকটিকে ৩০ হাজার টাকা করে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।


এ ছাড়া ‘লোকনাথ মিষ্টি ভান্ডার’ ও ‘মধুরাজ মিষ্টি ভান্ডার’কে মিষ্টির উৎপাদন তারিখ না থাকায় আইনের ৫৩ ধারায় ১০ হাজার টাকা করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১১-এর ২৪ ধারায় আরও ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মোট ৬ মামলায় জরিমানার পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৮ হাজার টাকা।
ফার্মেসি মালিক সমিতির এক নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, “দোকানে কিছু ত্রæটি থাকতেই পারে। ধরা পড়লে জরিমানা দিতেই হবে। কিন্তু একেক ফার্মেসিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ব্যবসার জন্য বড় ধাক্কা। অনেকেরই ট্রেড লাইসেন্স বা ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন ঠিক নেই। আবার কিছু দালাল সরকারি হাসপাতালের নিষিদ্ধ ওষুধ ও ডিব্বা কোম্পানীর ঔষধ ফার্মেসিতে রাখতে চাপ দেয়। চিকিৎসক যে ঔষধ লিখবে সে ঔষধ দিতে হবে বলেও হুমকী দেয়।”
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফয়সল উদ্দীন বলেন, “নাগরিকের স্বাস্থ্যসুরক্ষায় নিয়মিতভাবে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা অভিযান এড়িয়ে দোকান বন্ধ করে পালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”