ঢাকা ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

পাচার হওয়া টাকার সন্ধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরীক্ষক নিয়োগ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৭:০০:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৭৪ বার দেখা হয়েছে

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ শাসনামলে ব্যাংক খাত থেকে প্রায় ১৭ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ব্যাংকগুলোর সম্পদ পর্যালোচনা (অ্যাসেট কোয়ালিটি রিভিউ) করতে বিখ্যাত তিনটি আর্থিক পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান—ইওয়াই, ডেলয়েট এবং কেপিএমজিকে নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে (এফটি) দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেছেন, এই লোপাট হওয়া অর্থ দিয়ে কেনা সম্পদের হদিস ও পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট মোট ১১টি যৌথ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে চায় বাংলাদেশ।

এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ইওয়াই ও ডেলয়টের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা কর্মসময়ের পর মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এ ছাড়া তারা ই-মেইলের মাধ্যমে কেপিএমজির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেনি।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব পান আহসান এইচ মনসুর। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, দেশের ১০টি বৃহৎ কোম্পানি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুরের হাতে এখন অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার ভার। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশের ব্যাংক থেকে যে দুই লাখ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ, সেই টাকা ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তিনি।

পাচার হওয়া টাকার সন্ধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরীক্ষক নিয়োগ

প্রকাশিত : ০৭:০০:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ শাসনামলে ব্যাংক খাত থেকে প্রায় ১৭ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ব্যাংকগুলোর সম্পদ পর্যালোচনা (অ্যাসেট কোয়ালিটি রিভিউ) করতে বিখ্যাত তিনটি আর্থিক পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান—ইওয়াই, ডেলয়েট এবং কেপিএমজিকে নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে (এফটি) দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেছেন, এই লোপাট হওয়া অর্থ দিয়ে কেনা সম্পদের হদিস ও পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট মোট ১১টি যৌথ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে চায় বাংলাদেশ।

এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ইওয়াই ও ডেলয়টের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা কর্মসময়ের পর মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এ ছাড়া তারা ই-মেইলের মাধ্যমে কেপিএমজির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেনি।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব পান আহসান এইচ মনসুর। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, দেশের ১০টি বৃহৎ কোম্পানি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুরের হাতে এখন অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার ভার। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশের ব্যাংক থেকে যে দুই লাখ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ, সেই টাকা ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তিনি।