শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে দখলদারদের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে বলেছে, “হোম ফ্রন্ট কমান্ড সব নাগরিককে এখন আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে যাওয়ার নির্দেশনা দিচ্ছে। বাইরে সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখতে হবে এবং কোথাও জড়ো হওয়া যাবে না। কোনো ধরনের সতর্কতা পেলে যে কোনো নিরাপদ স্থানে চলে যাবেন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন।”
এদিকে দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র তেলআবিবের কিয়ারা মিলিটারি হেডকোয়ার্টারে কিছুক্ষণ আগে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছিলেন। তিনি হঠাৎ করে সম্মেলনটি সংক্ষিপ্ত করে চলে যান। ওই সময় লাউড স্পিকারে ঘোষণা দিতে শোনা যায়, এই হেডকোয়ার্টার প্রতিরক্ষা অবস্থানে চলে যাবে। যার অর্থ তারা ইরানের সম্ভাব্য হামলার ব্যাপারে প্রস্তুতি নেবে।
সর্বশেষ খবর পর্যন্ত ইরান থেকে কোনো ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়া হয়নি।
শুক্রবার ভোরে ইরানের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক হামলা চালায় ইসরায়েল। যা দুপুরের পর পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। এখন ইরানের পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। দখলদাররা হামলা চালিয়েছে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান, ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের প্রধানসহ ছয় উচ্চপদস্থ কমান্ডারকে হত্যা করেছে। একইসঙ্গে তাদের হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৯ পরমাণু বিজ্ঞানী।