সাংবাদিকতা কেবল পেশা নয়, এটি একটি দায়বদ্ধতা, একটি দায়িত্ব। আর এই দায়িত্ব পালনে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সহযোগিতা যেমন অপরিহার্য, তেমনি প্রয়োজন একে অন্যকে জানার ও বোঝার আন্তরিক প্রয়াস। ঠিক এমন এক আন্তরিক পরিবেশেই অনুষ্ঠিত হলো এক সৌজন্য সাক্ষাৎ, যা সংবাদমাধ্যম অঙ্গনে একটি সৌহার্দ্যময় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল।
আজ বনানীর দৈনিক রুপালী বাংলাদেশ পত্রিকার কার্যালয়ে শুভেচ্ছা সফরে উপস্থিত হন ভাইয়া গ্রুপের পরিচালক, দেশের নিউজ পত্রিকার প্রকাশক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান কমল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দৈনিক বাংলা কাগজ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক, রুপালী বাংলাদেশ পত্রিকার স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট এবং দেশের নিউজ পত্রিকার সম্পাদক মো. আফজাল হোসেন।
অতিথিদের শুভাগমনে কার্যালয়ের পরিবেশ ছিল উৎসবমুখর। রুপালী বাংলাদেশ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মো.সায়েম ফারুকী এবং ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক করিম আহমেদের নেতৃত্বে পত্রিকার সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকবৃন্দ অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। ছিল উষ্ণ শুভেচ্ছা, সৌহার্দ্যের হাসি, এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা বলার এক আন্তরিক সময়।
আলোচনার এক পর্যায়ে জনাব সাইদুজ্জামান কমল দেশের সংবাদপত্র শিল্পের বর্তমান অবস্থা, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, “আমরা যারা গণমাধ্যমে কাজ করি, তারা জাতির বিবেক রচনায় নিয়োজিত। দায়িত্বশীল ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হতে পারে।”
তিনি আরও জানান, দেশের নিউজ পত্রিকা নতুন প্রযুক্তি এবং পাঠকের চাহিদা বিবেচনায় ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে দ্রুত এগিয়ে যেতে চায়। এই লক্ষ্যে তিনি সহযোগিতা চান সব পত্রিকা এবং মিডিয়া সংগঠনের কাছে। সাংবাদিক মো: আফজাল হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আমাদের মতো সংবাদকর্মীরা প্রতিদিন নানা প্রতিকূলতার মধ্যে থেকেও সত্য ও মানবতার পক্ষে কাজ করে চলেছি। সেই কাজকে সম্মিলিতভাবে আরও কার্যকর করতে হলে একে অন্যের প্রতি সহমর্মিতা জরুরি।” রুপালী বাংলাদেশ সম্পাদক মো.সায়েম ফারুকী বলেন, “আমরা সবসময় চেয়েছি একটি দায়িত্বশীল ও ইতিবাচক সাংবাদিকতা চর্চা হোক। এই সৌজন্য সাক্ষাৎ আমাদের সম্পর্কের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করল।”
এ সময় সংবাদপত্রের নীতি, পাঠকের চাহিদা, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকদের করণীয় নিয়েও প্রাণবন্ত আলোচনা হয়। ছিল চা-আড্ডা, মৃদু হাস্যরস আর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কিছু ভাবনা।
এই সৌজন্য সাক্ষাৎ শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা ছিল না—এ যেন ছিল সাংবাদিকতার এক নীরব প্রতিজ্ঞা, যেখানে মতের ভিন্নতা থাকলেও উদ্দেশ্য একটাই: একটি সঠিক, সুন্দর, এবং দায়িত্বশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা। সংবাদপত্র যে শুধু খবর ছাপায় না, বরং সমাজ গঠনে একটি শক্তিশালী মাধ্যম—আজকের এই সাক্ষাৎ তারই নিদর্শন হয়ে থাকবে।