ঢাকা ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব মুকিতুল বরখাস্ত

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৭:৩৮:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • ৩৯ বার দেখা হয়েছে

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দ্বিতীয় সচিব ও উপকর কমিশনার মুকিতুল হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গোপন দলিল প্রকাশ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সই করা আদেশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, মুকিতুল হাসান রাষ্ট্রের অত্যন্ত গোপন দলিল প্রকাশপূর্বক চাকরির শৃঙ্খলা পরিপন্থি আচরণ করায় তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক বিভাগীয় কার্যধারা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তাকে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ৩৯ (১) ধারা অনুযায়ী এনবিআরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগপূর্বক সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার বদলির আদেশ অবজ্ঞাপূর্বক প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার মাধ্যমে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগ এনে এনবিআরের আয়কর ও কাস্টমস বিভাগের মোট ১৪ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এদের মধ্যে দুপুরে আটজন, রাতে আরও ছয়জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। যাদের মধ্যে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার রয়েছেন।বরখাস্তকৃত কর্মকর্তারা এনবিআর সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। যদিও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমানের সই করা প্রজ্ঞাপনে সবার বিরুদ্ধেই গত ২২ জুন ইস্যু করা বদলির আদেশ অবজ্ঞাপূর্বক প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার মাধ্যমে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।

একই দিন বদলির আদেশ অবজ্ঞাপূর্বক প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার মাধ্যমে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগ এনে এবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর ও কাস্টমস বিভাগের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে আদেশ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে গতকাল হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগে কর অঞ্চল-১০ এর নিরাপত্তা প্রহরী মো. সেলিম মিয়াকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২ জুলাই এনবিআরের কর বিভাগ ও কাস্টমস বিভাগের তিন সদস্য ও এক কর কমিশনারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। আগের দিন ১ জুলাই রাতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। সবমিলিয়ে এনবিআরে আন্দোলন পরিবর্তী সময়ে মোট ২৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত ও বাধ্যমূলক অবসরের মুখোমুখি হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব মুকিতুল বরখাস্ত

প্রকাশিত : ০৭:৩৮:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দ্বিতীয় সচিব ও উপকর কমিশনার মুকিতুল হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গোপন দলিল প্রকাশ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সই করা আদেশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, মুকিতুল হাসান রাষ্ট্রের অত্যন্ত গোপন দলিল প্রকাশপূর্বক চাকরির শৃঙ্খলা পরিপন্থি আচরণ করায় তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক বিভাগীয় কার্যধারা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তাকে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ৩৯ (১) ধারা অনুযায়ী এনবিআরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগপূর্বক সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার বদলির আদেশ অবজ্ঞাপূর্বক প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার মাধ্যমে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগ এনে এনবিআরের আয়কর ও কাস্টমস বিভাগের মোট ১৪ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এদের মধ্যে দুপুরে আটজন, রাতে আরও ছয়জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। যাদের মধ্যে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার রয়েছেন।বরখাস্তকৃত কর্মকর্তারা এনবিআর সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। যদিও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমানের সই করা প্রজ্ঞাপনে সবার বিরুদ্ধেই গত ২২ জুন ইস্যু করা বদলির আদেশ অবজ্ঞাপূর্বক প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার মাধ্যমে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।

একই দিন বদলির আদেশ অবজ্ঞাপূর্বক প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার মাধ্যমে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগ এনে এবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর ও কাস্টমস বিভাগের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে আদেশ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে গতকাল হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগে কর অঞ্চল-১০ এর নিরাপত্তা প্রহরী মো. সেলিম মিয়াকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২ জুলাই এনবিআরের কর বিভাগ ও কাস্টমস বিভাগের তিন সদস্য ও এক কর কমিশনারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। আগের দিন ১ জুলাই রাতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। সবমিলিয়ে এনবিআরে আন্দোলন পরিবর্তী সময়ে মোট ২৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত ও বাধ্যমূলক অবসরের মুখোমুখি হয়েছে।