বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি (ওটিএ) প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ওয়েবসাইটটি বন্ধ হয়ে গেছে। ওয়েবসাইটটি দিয়ে যারা প্লেনের টিকিট কেটেছিলেন, সেই টিকেটগুলো দেখা যাচ্ছে না।
এছাড়াও যেসব ট্রাভেল এজেন্সি ও হজ এজেন্সি ফ্লাইট এক্সপার্ট থেকে টিকিট কিনে বিক্রি করত, তারাও ফ্লাইট এক্সপার্টের ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারছেন না। তারা নিজেদের টিকিট এবং ওয়ালেটে জমা টাকার পরিমাণও দেখতে পারছে না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুঞ্জন উঠেছে, প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে গেছে, প্রতিষ্ঠানের মালিক টিকিটের টাকা নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ওটিএ প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ওয়েবসাইটে ঢুকতে না পেরে প্রতিষ্ঠানটির মতিঝিলের সিটি সেন্টারের কার্যালয়ে ভিড় করেছে শত শত ট্রাভেল এজেন্ট ও হজযাত্রীরা। সেখানে ফ্লাইট এক্সপার্টের কয়েকজন কর্মচারীও আটকা আছেন।
ফ্লাইট এক্সপার্টের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিইও সালমান বিন রশিদ শাহ সায়েম।
সহকর্মীদের উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, আপনাদের সঙ্গে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেয়ার করতে চাই। সম্প্রতি একটি পরিকল্পিত বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছি। সাঈদ হোসেন ও সাকিব এ ঘটনার পেছনে ছিলেন। গত বৃহস্পতিবারের মিটিংয়ে তারা সমন্বিতভাবে সমস্ত দায় আমার ওপর চাপিয়ে দেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমাকে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করার সুযোগও দেওয়া হয়নি। আজ সকালে তারা প্রায় ৩ কোটি টাকা তুলে নেন এবং নিজেদের কাছে রেখে দেন। এরপর থেকেই কোম্পানির কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। দায় চাপানো ও হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে আমি শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তার জন্য ছুটিতে যেতে বাধ্য হয়েছি। এভাবে সরে যাওয়া আমার উদ্দেশ্য ছিল না– আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।
সর্বশেষ রাত ৮টায় প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত জানা গেছে, বিভিন্ন এজেন্সি মালিক মতিঝিল সিটি সেন্টারে তাদের টিকিটের কাগজপত্র নিয়ে গেছেন। যেসব টিকিট এখনো ইস্যু হয়নি সেগুলো শনাক্তের চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে রাতেই তারা মতিঝিল থানায় একটি মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।