ঢাকা ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

বুক দিয়ে ঘানি টানা বৃদ্ধ পাচ্ছেন নতুন ঘর

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৩:৪৪:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৩ বার দেখা হয়েছে

একটু কাজ করলেই হাঁপিয়ে ওঠেন মোস্তাকিন আলী। বয়স ৬৫ বছর। শরীরে আর আগের সেই শক্তি নেই। তবুও ৩৫ বছর ধরে বুকের জোরেই টানছেন তেলের ঘানি। কারণ, গরু কেনার সামর্থ্য নেই। তার এই সংগ্রামে পাশে ছিলেন স্ত্রী ছকিনা বেগম।

সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারি গ্রামে মোস্তাকিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পুরোনো টিনের ছাপড়া ঘরের পাশে নির্মাণ হচ্ছে নতুন টিনের ঘর। শুধু ঘরই নয়, নতুন ঘরের পাশে বসানো হবে একটি বিদ্যুৎচালিত তেলের ঘানি মেশিন। এবার আর শরীরের জোরে নয়, মেশিনেই চলবে ঘানি।

নিজের জীবনে এমন পরিবর্তনে আবেগাপ্লুত মোস্তাকিন আলী বলেন, আগে সাংবাদিকরা এসে আমার ভিডিও করেছিল। এরপর অনেক মানুষ সাহায্য করছে। এখন নতুন ঘর হচ্ছে, মেশিন বসবে। আমি খুব খুশি। যারা সাহায্য করছে, আল্লাহ তাদের সুখে রাখুক।

তার স্ত্রী ছকিনা বেগম বলেন, আমরা খুব গরিব মানুষ। দিনে একবেলা খাই, কখনো না খেয়েও থাকি। এখন অনেক মানুষ খোঁজ নিচ্ছে, চাল-ডাল দিচ্ছে, কেউ টাকা দিয়ে সাহায্য করছে। একজন ভাই নতুন ঘর দিয়েছেন। আল্লাহ তাদের ভালো রাখুক।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ডাবলু মিয়া জানান, মোস্তাকিন আমাদের এলাকার খুব গরিব মানুষ। নিজের শরীর দিয়ে ঘানি টানেন। আগে আমরা মাঝে মাঝে সাহায্য করতাম। একই গ্রামের বাসিন্দা হাসান আলী বলেন, মোস্তাকিনের মতো পরিশ্রমী মানুষ খুব কম। সমাজের বিত্তবানরা যদি এমন মানুষের পাশে দাঁড়ান, তাহলে অনেক কষ্টই দূর হবে।

সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর গফুর সরকার বলেন, বাহাগিলী ইউনিয়নের ওই তেলীর খবর আমাদের নেতারা দেখেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন, দলের পক্ষ থেকেও তাকে সহায়তা করা হবে।

বুক দিয়ে ঘানি টানা বৃদ্ধ পাচ্ছেন নতুন ঘর

প্রকাশিত : ০৩:৪৪:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

একটু কাজ করলেই হাঁপিয়ে ওঠেন মোস্তাকিন আলী। বয়স ৬৫ বছর। শরীরে আর আগের সেই শক্তি নেই। তবুও ৩৫ বছর ধরে বুকের জোরেই টানছেন তেলের ঘানি। কারণ, গরু কেনার সামর্থ্য নেই। তার এই সংগ্রামে পাশে ছিলেন স্ত্রী ছকিনা বেগম।

সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারি গ্রামে মোস্তাকিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পুরোনো টিনের ছাপড়া ঘরের পাশে নির্মাণ হচ্ছে নতুন টিনের ঘর। শুধু ঘরই নয়, নতুন ঘরের পাশে বসানো হবে একটি বিদ্যুৎচালিত তেলের ঘানি মেশিন। এবার আর শরীরের জোরে নয়, মেশিনেই চলবে ঘানি।

নিজের জীবনে এমন পরিবর্তনে আবেগাপ্লুত মোস্তাকিন আলী বলেন, আগে সাংবাদিকরা এসে আমার ভিডিও করেছিল। এরপর অনেক মানুষ সাহায্য করছে। এখন নতুন ঘর হচ্ছে, মেশিন বসবে। আমি খুব খুশি। যারা সাহায্য করছে, আল্লাহ তাদের সুখে রাখুক।

তার স্ত্রী ছকিনা বেগম বলেন, আমরা খুব গরিব মানুষ। দিনে একবেলা খাই, কখনো না খেয়েও থাকি। এখন অনেক মানুষ খোঁজ নিচ্ছে, চাল-ডাল দিচ্ছে, কেউ টাকা দিয়ে সাহায্য করছে। একজন ভাই নতুন ঘর দিয়েছেন। আল্লাহ তাদের ভালো রাখুক।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ডাবলু মিয়া জানান, মোস্তাকিন আমাদের এলাকার খুব গরিব মানুষ। নিজের শরীর দিয়ে ঘানি টানেন। আগে আমরা মাঝে মাঝে সাহায্য করতাম। একই গ্রামের বাসিন্দা হাসান আলী বলেন, মোস্তাকিনের মতো পরিশ্রমী মানুষ খুব কম। সমাজের বিত্তবানরা যদি এমন মানুষের পাশে দাঁড়ান, তাহলে অনেক কষ্টই দূর হবে।

সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর গফুর সরকার বলেন, বাহাগিলী ইউনিয়নের ওই তেলীর খবর আমাদের নেতারা দেখেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন, দলের পক্ষ থেকেও তাকে সহায়তা করা হবে।