ঢাকা ১১:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

দিল্লির বাতাস ৭টি সিগারেট খাওয়ার সমান দূষণে জর্জরিত

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০২:০৩:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ৭ বার দেখা হয়েছে

সোমবার ফের ‘ভীষণ খারাপ’ পর্যায়ে পৌঁছল দিল্লির বাতাসের গুণগত মান। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি)-এর মতে, দিনে সাতটার বেশি সিগারেট খেলে মানব শরীরে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়, বর্তমানে দিল্লির বাতাসে শ্বাস নিলে, সেই পরিমাণই ক্ষতি হতে পারে।

বাতাসের গুণাগুণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সূচক এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই)-এর তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ রাজধানীর সামগ্রিক বাতাসের গুণমান সূচক ছিল ৩১৬। একইসঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় বাতাসে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে পিএম ২.৫-এর ঘনত্বও।

সোমবার সকালে দিল্লির বাতাসে পিএম ২.৫-এর পরিমাণ ছিল ১৬৮ µg/m³, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত সীমা থেকে অনেকটাই উপরে। সিপিসিবি-এর মনে করছে, একদিকে ধোঁয়াশার ঘনত্ব, অন্যদিকে বায়ুর গতিবেগ একেবারে মৃদু- যার ফলে দূষণ লাফিয়ে বাড়ছে। সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতি হোলাম্বি খুরদ গ্রাম, গৌতমপুরী, মুস্তাফাবাদ, মহরম মহল্লা এবং শাহদারার। সেখানে দূষণের মাত্রা যথাক্রমে ৫৬১, ৪০৮, ৩৮০, ৩৪৪ এবং ৩১২।

উল্লেখ্য, একিউআই ০-৫০ -এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’, ৫১-১০০ থাকেল ‘সন্তোষজনক’, ১০১-২০০ থাকলে ‘মাঝারি’, ২০১-৩০০ থাকলে ‘খারাপ’, ৩০১-৪০০ থাকলে ‘ভীষণ খারাপ’ এবং ৪০১-৫০০ থাকলে ‘ভয়ানক’ বলে বিবেচিত হয়।

প্রসঙ্গত, ২০ অক্টোবর দীপাবলির পর থেকেই বিষাক্ত হয়ে উঠেছে দিল্লির বাতাস। তাই ‘ক্লাউড সিডিং’-এর ব্যবস্থা করেছিল দিল্লি সরকার। মঙ্গলবার তার ট্রায়াল হয়। কিন্তু বৃষ্টি হয়েছে প্রত্যাশিত মাত্রার চেয়ে অনেক কম। অথচ ইতিমধ্যেই তিনটি ব্যর্থ ট্রায়াল বাবদ প্রায় ১.০৭ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। বরং লাফিয়ে বাড়ছে দূষণ।

সময়সীমা বেঁধে দীপাবলিতে ‘সবুজ বাজি’তে সম্মতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে সে সময়সীমা বাস্তবে কার্যকর হয়নি। রাতভর অবিরাম আতশবাজির দৌরাত্ম্যে দূষণে হয়ে উঠেছিল দিল্লির বাতাস। বাতাসের গুণগত মান (AQI) ৪৫১তে পৌঁছে যায়। যা ‘ভীষণ খারাপ’ পর্যায়ে পড়ে। এরপর বেশ কয়েকটা দিন কেটে গেলেও ‘দমবন্ধ’ অবস্থা কাটেনি দিল্লির। আর এই পরিবেশে বাড়ছে অসুস্থতা, বাড়ছে উদ্বেগ।

দিল্লির বাতাস ৭টি সিগারেট খাওয়ার সমান দূষণে জর্জরিত

প্রকাশিত : ০২:০৩:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

সোমবার ফের ‘ভীষণ খারাপ’ পর্যায়ে পৌঁছল দিল্লির বাতাসের গুণগত মান। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি)-এর মতে, দিনে সাতটার বেশি সিগারেট খেলে মানব শরীরে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়, বর্তমানে দিল্লির বাতাসে শ্বাস নিলে, সেই পরিমাণই ক্ষতি হতে পারে।

বাতাসের গুণাগুণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সূচক এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই)-এর তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ রাজধানীর সামগ্রিক বাতাসের গুণমান সূচক ছিল ৩১৬। একইসঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় বাতাসে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে পিএম ২.৫-এর ঘনত্বও।

সোমবার সকালে দিল্লির বাতাসে পিএম ২.৫-এর পরিমাণ ছিল ১৬৮ µg/m³, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত সীমা থেকে অনেকটাই উপরে। সিপিসিবি-এর মনে করছে, একদিকে ধোঁয়াশার ঘনত্ব, অন্যদিকে বায়ুর গতিবেগ একেবারে মৃদু- যার ফলে দূষণ লাফিয়ে বাড়ছে। সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতি হোলাম্বি খুরদ গ্রাম, গৌতমপুরী, মুস্তাফাবাদ, মহরম মহল্লা এবং শাহদারার। সেখানে দূষণের মাত্রা যথাক্রমে ৫৬১, ৪০৮, ৩৮০, ৩৪৪ এবং ৩১২।

উল্লেখ্য, একিউআই ০-৫০ -এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’, ৫১-১০০ থাকেল ‘সন্তোষজনক’, ১০১-২০০ থাকলে ‘মাঝারি’, ২০১-৩০০ থাকলে ‘খারাপ’, ৩০১-৪০০ থাকলে ‘ভীষণ খারাপ’ এবং ৪০১-৫০০ থাকলে ‘ভয়ানক’ বলে বিবেচিত হয়।

প্রসঙ্গত, ২০ অক্টোবর দীপাবলির পর থেকেই বিষাক্ত হয়ে উঠেছে দিল্লির বাতাস। তাই ‘ক্লাউড সিডিং’-এর ব্যবস্থা করেছিল দিল্লি সরকার। মঙ্গলবার তার ট্রায়াল হয়। কিন্তু বৃষ্টি হয়েছে প্রত্যাশিত মাত্রার চেয়ে অনেক কম। অথচ ইতিমধ্যেই তিনটি ব্যর্থ ট্রায়াল বাবদ প্রায় ১.০৭ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। বরং লাফিয়ে বাড়ছে দূষণ।

সময়সীমা বেঁধে দীপাবলিতে ‘সবুজ বাজি’তে সম্মতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে সে সময়সীমা বাস্তবে কার্যকর হয়নি। রাতভর অবিরাম আতশবাজির দৌরাত্ম্যে দূষণে হয়ে উঠেছিল দিল্লির বাতাস। বাতাসের গুণগত মান (AQI) ৪৫১তে পৌঁছে যায়। যা ‘ভীষণ খারাপ’ পর্যায়ে পড়ে। এরপর বেশ কয়েকটা দিন কেটে গেলেও ‘দমবন্ধ’ অবস্থা কাটেনি দিল্লির। আর এই পরিবেশে বাড়ছে অসুস্থতা, বাড়ছে উদ্বেগ।