মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি পরিপূর্ণ জনযুদ্ধ। দেশের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ—ছাত্র, শিক্ষক, পেশাজীবী, কৃষক, শ্রমিক, নারী, যুবক সক্রিয়ভাবে এতে অংশ নিয়েছিল। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বঞ্চনা, অর্থনৈতিক শোষণ, সাংস্কৃতিক দমন-পীড়ন এবং গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল সবাই।
১৯৪৭ সালের পর থেকে পূর্ববাংলার মানুষ বৈষম্যের শিকার হচ্ছিল। ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা, গণঅভ্যুত্থান—সবকিছু মিলিয়ে জনগণের মধ্যে স্বাধীনতার তীব্র আকাঙ্ক্ষা সুদৃঢ় হয়।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা এই সংগ্রামকে সশস্ত্র সংগ্রামে রূপ দেয়। তখন সবাই নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ কোনো সাধারণ যুদ্ধ ছিল না। এটি ট্যাংক, কামান বা আধুনিক অস্ত্রের একক যুদ্ধও নয়; এটি ছিল সর্বাংশে জনযুদ্ধ। এখানে সবাই যার যার অবস্থান থেকে অংশ নিয়েছিল। এটি ছিল একটি জাতির অস্তিত্ব, মর্যাদা ও অধিকার আদায়ের সংগ্রাম। এ যুদ্ধ ছিল নিপীড়ন, নির্যাতন, বৈষম্য ও শোষণের বিরুদ্ধে বঞ্চিত মানুষের সম্মিলিত প্রতিবাদ। এ যুদ্ধের মালিক ছিল না কোনো একক শ্রেণি, দল বা মতাদর্শ, এ যুদ্ধের মালিক ছিল বাংলার মানুষ।
পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বঞ্চনা, অর্থনৈতিক শোষণ ও সাংস্কৃতিক দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে পূর্ববাংলার মানুষ ধীরে ধীরে জেগে উঠেছিল। ভাষা আন্দোলন থেকে ছয় দফা, গণঅভ্যুত্থান থেকে ৭ মার্চ সব আন্দোলন মানুষকে যুদ্ধের দিকে ধাবিত করে।

ডেস্ক রিপোর্ট 






















