ঈদের ছুটিকে ঘিরে রাঙ্গামাটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। পাহাড়, হ্রদ আর ঝরনার টানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।
সোমবার (৯ জুন) ঈদের ছুটির তৃতীয় দিনে পর্যটন শহর হিসেবে খ্যাত রাঙ্গামাটি ও কাপ্তাইয়ের জনপ্রিয় বিনোদন স্পটগুলোতে শত শত পর্যটকের সমাগম ঘটেছে।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাঙ্গামাটির পলওয়েল পার্ক, ডিসি বাংলো, কাপ্তাই হ্রদ, পর্যটন ঝুলন্ত সেতু, আসামবস্তি, কাপ্তাই সড়ক এবং শুভলং ঝরনায় পর্যটকদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। হোটেল-মোটেলে ৭০-৮০% বুকিং আছে।
সোমবার বিকেলে রাঙ্গামাটি পলওয়েল পার্কে সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো পার্ক এলাকা জুড়ে শতশত পর্যটকদের ভিড়। পলওয়েল পার্কের টুরিস্টরা ঝুলন্ত সেতু কাপ্তাই লেকে ভ্রমণ ও পলওয়েল পার্কের বিভিন্ন স্পটগুলোতে পরিদর্শন করছেন।
এদিকে, কাপ্তাই নৌবাহিনীর শহীদ মোয়াজ্জেম ঘাঁটি পরিচালিত লেক প্যারাডাইসে গিয়েও দেখা গেছে পর্যটকের ভিড়। কাপ্তাই লেকের এক বোট চালক মো. জাহাঙ্গীর জানান, এখানে প্রচুর পর্যটক এসেছেন। অনেকে বোট নিয়ে কাপ্তাই লেক ঘুরছেন।
এছাড়া কাপ্তাই ৪১ বিজিবি পরিচালিত ওয়াগ্গা প্যানোরোমা জুম রেস্তোরাঁ, কাপ্তাই রিভার ভিউ পার্ক, সেনাবাহিনী পরিচালিত জীবতলি লেকশোর ও লেকভিউ আইল্যান্ড, ফ্লোটিং প্যারাডাইস, বনশ্রী পর্যটন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে পরিবার-পরিজন এবং বন্ধু-বান্ধব নিয়ে অসংখ্য পর্যটক ঈদের ছুটি উপভোগ করছেন।
রাঙ্গামাটির আবাসিক হোটেল ও মোটেলগুলোতেও পর্যটকের চাপ বেড়েছে। হোটেল মালিকদের তথ্যমতে, বর্তমানে শহরের প্রায় ৭০-৮০% কক্ষ ইতিমধ্যেই বুকিং হয়ে গেছে।
কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অলি উল্লাহ জানান, পর্যটন শহর কাপ্তাইয়ে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন।
রাঙ্গামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, “আজকে ঝুলন্ত সেতুতে আড়াই হাজার পর্যটক ভ্রমণ করেছেন। মোটেলেও আাগামী ১৩ জুন পর্যন্ত রুম বুকিং আছে। এই ঈদের ছুটিতে রাঙ্গামাটিতে প্রচুর টুরিস্ট ভ্রমণ করছেন।”