ঢাকা ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে গরুর ঘাস খাওয়া নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৮:১৯:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
  • ২৪ বার দেখা হয়েছে

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের আলিয়ারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত ১৩ জুলাই আলিয়ারা গ্রামের সাবেক মেম্বার ছালেহ আহম্মদ গোষ্ঠীর একটি গরু আবুল খায়ের গোষ্ঠীর জমির ধান খায়। এ নিয়ে উভয় গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি এবং পরে হাতাহাতি হয়। এরপর ছালেহ আহম্মদ গোষ্ঠীর লোকজন আবুল খায়ের গোষ্ঠীর বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় দুই পক্ষ থানায় চারটি এবং আদালতে একটিসহ মোট পাঁচটি মামলা করে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাতে পুলিশ শেখ ফরিদ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। তিনি ছালেহ আহম্মদ গোষ্ঠীর লোক বলে জানা গেছে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা চরমে ওঠে।

শেখ ফরিদের গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার সকালে উত্তর পাড়ায় জাফর আহম্মদের দোকানের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম দফায় সংঘর্ষ হয়, পরে তা ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হন।

এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সীমা মজুমদার বলেন, হাসপাতালে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ মোট ১৪ জনকে ভর্তি করা হয়। গুলিবিদ্ধদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

দুই পক্ষের সাবেক ইউপি সদস্য ছালেহ আহম্মদ ও আবুল খায়েরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক বলেন, সংঘর্ষের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু ততক্ষণে তারা পালিয়ে যান। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে গরুর ঘাস খাওয়া নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ

প্রকাশিত : ০৮:১৯:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের আলিয়ারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত ১৩ জুলাই আলিয়ারা গ্রামের সাবেক মেম্বার ছালেহ আহম্মদ গোষ্ঠীর একটি গরু আবুল খায়ের গোষ্ঠীর জমির ধান খায়। এ নিয়ে উভয় গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি এবং পরে হাতাহাতি হয়। এরপর ছালেহ আহম্মদ গোষ্ঠীর লোকজন আবুল খায়ের গোষ্ঠীর বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় দুই পক্ষ থানায় চারটি এবং আদালতে একটিসহ মোট পাঁচটি মামলা করে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাতে পুলিশ শেখ ফরিদ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। তিনি ছালেহ আহম্মদ গোষ্ঠীর লোক বলে জানা গেছে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা চরমে ওঠে।

শেখ ফরিদের গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার সকালে উত্তর পাড়ায় জাফর আহম্মদের দোকানের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম দফায় সংঘর্ষ হয়, পরে তা ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হন।

এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সীমা মজুমদার বলেন, হাসপাতালে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ মোট ১৪ জনকে ভর্তি করা হয়। গুলিবিদ্ধদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

দুই পক্ষের সাবেক ইউপি সদস্য ছালেহ আহম্মদ ও আবুল খায়েরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক বলেন, সংঘর্ষের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু ততক্ষণে তারা পালিয়ে যান। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।