ঢাকা ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫

চাঁদপুরের মেঘনা উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৮:১৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
  • ৩৪ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে চাঁদপুরের মেঘনা উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির উচ্চতা বেড়েছে প্রায় ৩ ফুট। এতে ওইসব অঞ্চলের সড়ক, পুকুর ও বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, জোয়ারের সময় মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপরে গিয়ে সন্ধ্যা ৬টায় ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেঘনার পানির উচ্চতা বাড়তে থাকে। এ সময় চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার নদী-উপকূলীয় এলাকায় পানি বৃদ্ধি পায়। শহর রক্ষা বাঁধের পুরানবাজার এলাকায় নদীর পানি সড়ক সমান অবস্থানে পৌঁছায়।

পুরানবাজার রনাগোয়াল এলাকার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, আজ বিকেল থেকে বাতাসের তীব্রতার সঙ্গে নদীতে ঢেউও বেড়েছে। আমাদের দোকানে পানি উঠে গেছে। তাই মালপত্র সরিয়ে নিয়েছি।

সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের হরিণা ফেরিঘাট এলাকার বাসিন্দা মনির শেখ জানান, ফেরিঘাট এলাকায় পানি রাস্তা সমান। আশপাশের নিচু সড়কগুলোতে পানি উঠে গেছে।

পাশবর্তী চান্দ্রা ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ গাজী বলেন, সেচ প্রকল্পের বাইরে সব বাড়ি, রাস্তা ও পুকুরে পানি ঢুকে পড়েছে। আমার পুকুরের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে মাছ চাষে ক্ষতি হবে, পাশাপাশি পাকা সড়কও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

হাইমচর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আশরাফুল হক বলেন, চলতি মাসের সমন্বয় সভায় মৎস্যচাষীদের সতর্ক করা হয়েছে। তাদের জানানো হয়েছে- ২৪ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত পানি বাড়তে পারে। এরপরও আমরা জেলেদের সতর্ক করতে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহরুল হক বলেন, নদীর পানি বেড়েছে, বিষয়টি আমরা জানি। আমাদের কর্মকর্তারা সতর্ক আছেন। তবে মেঘনার পানির উচ্চতা বাড়লেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। আজ বিকেলে জোয়ারের সময় মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটারের ওপরে গিয়ে ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

চাঁদপুরের মেঘনা উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত

প্রকাশিত : ০৮:১৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে চাঁদপুরের মেঘনা উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির উচ্চতা বেড়েছে প্রায় ৩ ফুট। এতে ওইসব অঞ্চলের সড়ক, পুকুর ও বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, জোয়ারের সময় মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপরে গিয়ে সন্ধ্যা ৬টায় ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেঘনার পানির উচ্চতা বাড়তে থাকে। এ সময় চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার নদী-উপকূলীয় এলাকায় পানি বৃদ্ধি পায়। শহর রক্ষা বাঁধের পুরানবাজার এলাকায় নদীর পানি সড়ক সমান অবস্থানে পৌঁছায়।

পুরানবাজার রনাগোয়াল এলাকার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, আজ বিকেল থেকে বাতাসের তীব্রতার সঙ্গে নদীতে ঢেউও বেড়েছে। আমাদের দোকানে পানি উঠে গেছে। তাই মালপত্র সরিয়ে নিয়েছি।

সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের হরিণা ফেরিঘাট এলাকার বাসিন্দা মনির শেখ জানান, ফেরিঘাট এলাকায় পানি রাস্তা সমান। আশপাশের নিচু সড়কগুলোতে পানি উঠে গেছে।

পাশবর্তী চান্দ্রা ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ গাজী বলেন, সেচ প্রকল্পের বাইরে সব বাড়ি, রাস্তা ও পুকুরে পানি ঢুকে পড়েছে। আমার পুকুরের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে মাছ চাষে ক্ষতি হবে, পাশাপাশি পাকা সড়কও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

হাইমচর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আশরাফুল হক বলেন, চলতি মাসের সমন্বয় সভায় মৎস্যচাষীদের সতর্ক করা হয়েছে। তাদের জানানো হয়েছে- ২৪ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত পানি বাড়তে পারে। এরপরও আমরা জেলেদের সতর্ক করতে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহরুল হক বলেন, নদীর পানি বেড়েছে, বিষয়টি আমরা জানি। আমাদের কর্মকর্তারা সতর্ক আছেন। তবে মেঘনার পানির উচ্চতা বাড়লেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। আজ বিকেলে জোয়ারের সময় মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটারের ওপরে গিয়ে ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।