ঢাকা ১১:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫

ইশা কোপিকরকে প্রকাশ্যে ১৪ বার চড় মেরেছিলেন নাগার্জুন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৮:৩০:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫
  • ১ বার দেখা হয়েছে

বলিউড অভিনেত্রী ইশা কোপিকরের নাম অনেকেই মনে রেখেছেন ‘ডন’, ‘এলওসি কার্গিল’, ‘সালাম-এ-ইশক’-এর মতো ছবির জন্য। কিন্তু ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তার জীবনে ঘটে যাওয়া এক চমকপ্রদ অভিজ্ঞতার কথা জানেন খুব কম মানুষই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই গল্পই শেয়ার করলেন অভিনেত্রী।

ইশা জানিয়েছেন, তার দ্বিতীয় ছবি ‘চন্দ্রলেখা’র শুটিংয়ে দক্ষিণী তারকা নাগার্জুনকে অনুরোধ করেছিলেন তাকে সত্যিকারের চড় মারার জন্য। উদ্দেশ্য একটাই—অভিনয়ে বাস্তবতার ছোঁয়া আনা। আর এই কারণেই তাকে একই দৃশ্যে ১৪ বার চড় খেতে হয়েছিল!

ইশা বলেন, আমার দ্বিতীয় ছবি ছিল সেটা। আমি চাইছিলাম, আসল রাগটা যেন চোখেমুখে ফুটে ওঠে। তাই তাকে বলেছিলাম, ‘নাগ, তুমি সত্যিকরে কষিয়ে চড় মারো আমাকে।’ ও প্রথমে মানতে চায়নি। পরে যখন রাজি হয়, প্রথমবার আস্তে করে চড় মারে।

তবে প্রথমবারের চড় যথেষ্ট ছিল না। কাঙ্খিত অভিব্যক্তি ক্যামেরায় ধরা না পড়ায় পুরো ১৪ বার চড় খেতে হয় তাকে।

ইশা জানান, একসময় তার মুখে স্পষ্ট দাগ পড়ে গিয়েছিল। তখন নাগার্জুন দুঃখ প্রকাশ করলেও, ইশা তাকে আশ্বস্ত করেন, কারণ চড় খাওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল একান্তই তার নিজস্ব।

১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘চন্দ্রলেখা’ ছবির মাধ্যমেই দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন ইশা কোপিকর। এটি ছিল একটি মালয়ালম ছবির রিমেক, পরিচালনায় ছিলেন কৃষ্ণা ভামসি। ছবিতে ইশা ও নাগার্জুন ছাড়াও অভিনয় করেছিলেন রাম্যা কৃষ্ণন, চন্দ্র মোহন ও গিরি বাবু।

এদিকে, ২০২৪ সালে ইশাকে শেষ দেখা গিয়েছে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি নির্ভর ‘এয়লাং’ ছবিতে, যেখানে তাঁর সহ-অভিনেতা ছিলেন শিবকার্তিকেয়ান ও রকুল প্রীত সিং। ছবিটি বিশ্বব্যাপী ৭৬.৫ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা করেছে। তবে আপাতত নতুন কোনো ছবির ঘোষণা দেননি ইশা।

চলচ্চিত্রের বাইরেও গেল বছর ব্যক্তিগত জীবনে বড়সড় পরিবর্তন এসেছে অভিনেত্রীর। ২০২৪ সালের নভেম্বরে দীর্ঘ ১৫ বছরের বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙে হোটেল ব্যবসায়ী টিমি নারং-এর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটেন ইশা।

২০০৯ সালে টিমির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ইশার। তাঁদের একমাত্র কন্যা রিয়ানার জন্ম ২০১৪ সালে। ইশার দাবি, বিবাহবিচ্ছেদের প্রস্তাব প্রথম দেন তার স্বামী। বিষয়টি সহজভাবে গ্রহণ করে কোনও আইনি ঝামেলাতেও যাননি তিনি।

ইশা কোপিকরকে প্রকাশ্যে ১৪ বার চড় মেরেছিলেন নাগার্জুন

প্রকাশিত : ০৮:৩০:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

বলিউড অভিনেত্রী ইশা কোপিকরের নাম অনেকেই মনে রেখেছেন ‘ডন’, ‘এলওসি কার্গিল’, ‘সালাম-এ-ইশক’-এর মতো ছবির জন্য। কিন্তু ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তার জীবনে ঘটে যাওয়া এক চমকপ্রদ অভিজ্ঞতার কথা জানেন খুব কম মানুষই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই গল্পই শেয়ার করলেন অভিনেত্রী।

ইশা জানিয়েছেন, তার দ্বিতীয় ছবি ‘চন্দ্রলেখা’র শুটিংয়ে দক্ষিণী তারকা নাগার্জুনকে অনুরোধ করেছিলেন তাকে সত্যিকারের চড় মারার জন্য। উদ্দেশ্য একটাই—অভিনয়ে বাস্তবতার ছোঁয়া আনা। আর এই কারণেই তাকে একই দৃশ্যে ১৪ বার চড় খেতে হয়েছিল!

ইশা বলেন, আমার দ্বিতীয় ছবি ছিল সেটা। আমি চাইছিলাম, আসল রাগটা যেন চোখেমুখে ফুটে ওঠে। তাই তাকে বলেছিলাম, ‘নাগ, তুমি সত্যিকরে কষিয়ে চড় মারো আমাকে।’ ও প্রথমে মানতে চায়নি। পরে যখন রাজি হয়, প্রথমবার আস্তে করে চড় মারে।

তবে প্রথমবারের চড় যথেষ্ট ছিল না। কাঙ্খিত অভিব্যক্তি ক্যামেরায় ধরা না পড়ায় পুরো ১৪ বার চড় খেতে হয় তাকে।

ইশা জানান, একসময় তার মুখে স্পষ্ট দাগ পড়ে গিয়েছিল। তখন নাগার্জুন দুঃখ প্রকাশ করলেও, ইশা তাকে আশ্বস্ত করেন, কারণ চড় খাওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল একান্তই তার নিজস্ব।

১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘চন্দ্রলেখা’ ছবির মাধ্যমেই দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন ইশা কোপিকর। এটি ছিল একটি মালয়ালম ছবির রিমেক, পরিচালনায় ছিলেন কৃষ্ণা ভামসি। ছবিতে ইশা ও নাগার্জুন ছাড়াও অভিনয় করেছিলেন রাম্যা কৃষ্ণন, চন্দ্র মোহন ও গিরি বাবু।

এদিকে, ২০২৪ সালে ইশাকে শেষ দেখা গিয়েছে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি নির্ভর ‘এয়লাং’ ছবিতে, যেখানে তাঁর সহ-অভিনেতা ছিলেন শিবকার্তিকেয়ান ও রকুল প্রীত সিং। ছবিটি বিশ্বব্যাপী ৭৬.৫ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা করেছে। তবে আপাতত নতুন কোনো ছবির ঘোষণা দেননি ইশা।

চলচ্চিত্রের বাইরেও গেল বছর ব্যক্তিগত জীবনে বড়সড় পরিবর্তন এসেছে অভিনেত্রীর। ২০২৪ সালের নভেম্বরে দীর্ঘ ১৫ বছরের বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙে হোটেল ব্যবসায়ী টিমি নারং-এর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটেন ইশা।

২০০৯ সালে টিমির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ইশার। তাঁদের একমাত্র কন্যা রিয়ানার জন্ম ২০১৪ সালে। ইশার দাবি, বিবাহবিচ্ছেদের প্রস্তাব প্রথম দেন তার স্বামী। বিষয়টি সহজভাবে গ্রহণ করে কোনও আইনি ঝামেলাতেও যাননি তিনি।