ঢাকা ১২:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের জট কমাতে চায় বন্দর কর্তৃপক্ষ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১০:০৪:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫
  • ১২ বার দেখা হয়েছে

চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজজট কমাতে চলাচলরত জাহাজের সংখ্যা ১৫টি কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ জন্য শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।

শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলছে, দুর্যোগের সময় ছাড়া কোনো বন্দরে চলাচলরত জাহাজের সংখ্যা কমানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার নজির বিশ্বে নেই। বরং বিশ্বের নানা বন্দর বা কনটেইনার টার্মিনালগুলোতে যাতে জাহাজ ভেড়ানো হয় সে জন্য শিপিং কোম্পানিগুলোকে উৎসাহ দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম বন্দরে হচ্ছে উলটো। জট কমানোর বিষয়টি বন্দরের দক্ষতার ওপর নির্ভর করে। জাহাজজট ও ইয়ার্ডে পড়ে থাকা কন্টেইনারের পরিমাণ কমাতে চলাচলকারী জাহাজের সংখ্যা না কমিয়ে অন্য উপায় বের করা উচিত।

বন্দর কর্মকর্তারা বলছেন, জাহাজজটের কারণে বহির্বিশ্বে চট্টগ্রাম বন্দরের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের পথে এখন ১১৮টি কনটেইনার জাহাজ নিয়মিত চলাচলের অনুমোদন রয়েছে। বন্দর থেকে সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ও চীনের বিভিন্ন বন্দরে এসব জাহাজ চলাচল করে। ২০ জুলাই বন্দরের এক সভায় বন্দরের পথে চলাচলরত ১৫টি জাহাজ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যে ১৫টি জাহাজ কমানো হবে তার তালিকা শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনকে নিজ উদ্যোগে বন্দরকে দেওয়ার জন্য বলা হয় ওই সভায়।

শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, ‘বন্দরের পথে চলাচলকারী জাহাজের সংখ্যা কমলে আমদানি-রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ জাহাজ বাড়লে এর প্রভাব শিপিং ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টদের ওপর পড়বে, এতে বন্দরের সমস্যা হওয়ার কথা না। হঠাৎ করে জাহাজ সংখ্যা কমানোর নির্দেশনা যৌক্তিক নয়। বরং কনটেইনার ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন উদ্যোগ নেওয়া দরকার।’

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, জাহাজ সংখ্যা কমানো নয়, যৌক্তিক পর্যায়ে আনতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছোট আকারের জাহাজ ও অ্যাডহক ভিত্তিতে জাহাজ চলায় কিছু সমস্যা হচ্ছে। তাই এই প্রস্তাব করা হয়েছি। সবার সাথে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের জট কমাতে চায় বন্দর কর্তৃপক্ষ

প্রকাশিত : ১০:০৪:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজজট কমাতে চলাচলরত জাহাজের সংখ্যা ১৫টি কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ জন্য শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।

শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলছে, দুর্যোগের সময় ছাড়া কোনো বন্দরে চলাচলরত জাহাজের সংখ্যা কমানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার নজির বিশ্বে নেই। বরং বিশ্বের নানা বন্দর বা কনটেইনার টার্মিনালগুলোতে যাতে জাহাজ ভেড়ানো হয় সে জন্য শিপিং কোম্পানিগুলোকে উৎসাহ দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম বন্দরে হচ্ছে উলটো। জট কমানোর বিষয়টি বন্দরের দক্ষতার ওপর নির্ভর করে। জাহাজজট ও ইয়ার্ডে পড়ে থাকা কন্টেইনারের পরিমাণ কমাতে চলাচলকারী জাহাজের সংখ্যা না কমিয়ে অন্য উপায় বের করা উচিত।

বন্দর কর্মকর্তারা বলছেন, জাহাজজটের কারণে বহির্বিশ্বে চট্টগ্রাম বন্দরের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের পথে এখন ১১৮টি কনটেইনার জাহাজ নিয়মিত চলাচলের অনুমোদন রয়েছে। বন্দর থেকে সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ও চীনের বিভিন্ন বন্দরে এসব জাহাজ চলাচল করে। ২০ জুলাই বন্দরের এক সভায় বন্দরের পথে চলাচলরত ১৫টি জাহাজ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যে ১৫টি জাহাজ কমানো হবে তার তালিকা শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনকে নিজ উদ্যোগে বন্দরকে দেওয়ার জন্য বলা হয় ওই সভায়।

শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, ‘বন্দরের পথে চলাচলকারী জাহাজের সংখ্যা কমলে আমদানি-রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ জাহাজ বাড়লে এর প্রভাব শিপিং ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টদের ওপর পড়বে, এতে বন্দরের সমস্যা হওয়ার কথা না। হঠাৎ করে জাহাজ সংখ্যা কমানোর নির্দেশনা যৌক্তিক নয়। বরং কনটেইনার ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন উদ্যোগ নেওয়া দরকার।’

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, জাহাজ সংখ্যা কমানো নয়, যৌক্তিক পর্যায়ে আনতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছোট আকারের জাহাজ ও অ্যাডহক ভিত্তিতে জাহাজ চলায় কিছু সমস্যা হচ্ছে। তাই এই প্রস্তাব করা হয়েছি। সবার সাথে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।