জাতীয় রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেপালের কিছু মানুষ। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বৃহৎ নাগরিক আন্দোলনের ব্যানারে কয়েকজন মানববন্ধন করেন।
ওই সময় তারা সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন করেন। তারা দাবি করেছেন, সেনাবাহিনী নেপালে রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র করছে।
সংগঠনটি বিবৃতিতে বলেছে, “গণআন্দোলনের শহীদদের মৃতদেহের ওপর দিয়ে গুরুতর ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য হলো সামরিক বাহিনীর মধ্যস্থতায় নেপালে রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। একই সাথে তারা দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা, যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা এবং সমানুপাতিক অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি বাতিল করতে চায়। এটি একটি গভীর ষড়যন্ত্র, যা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ পরিবর্তন করার জন্য সাজানো হয়েছে।”
এ ধরনের চেষ্টা কোনোভাবেই মানা হবে না বলে জানিয়েছে তারা।বিবৃতিতে তারা আরও বলেছে, “এ গণআন্দোলনের যে ত্যাগ— তা কোনোভাবেই প্রজাতন্ত্রবাদ বা ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে ছিল না। সামরিকবাহিনীর অসাংবিধানিক কার্যকলাপ বাড়ানোর জন্যও এই আত্মত্যাগ করা হয়নি।”
নেপালে যেন কোনোভাবেই কোন ধরনের পাল্টা বিপ্লব না হয় সেজন্য সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে বলেছে সংগঠনটি। তারা বলেছে, জেন-জি গণবিক্ষোভের মাধ্যমে পরিবর্তনের যে সুযোগ এনে দিয়েছে সেটি কাজে লাগাতে হবে।
সংগঠনটি জোর দিয়ে বলেছে, যেকোনো নতুন বেসামরিক সরকার অবশ্যই সংবিধানের ওপর দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। সেই সরকারকে দুর্নীতি ও অরাজকতা প্রতিরোধের ব্যাপারেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। এটি আরও নিশ্চিত করতে হবে যে, নতুন সরকারের ভেতর ‘কোনো প্রতিবিপ্লবীর স্থান থাকবে না।’
এছাড়া সেনাবাহিনীকে ‘অবিলম্বে প্রতিবিপ্লবীদের সাথে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছে তারা। সঙ্গে সব আলোচনা শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতির তত্ত্বাবধানে হতে হবে বলেও দাবি জানায় তারা।