ঢাকা ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

মশাল জ্বালিয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি নদীপাড়ের বাসিন্দাদের

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৯:২২:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ৯ বার দেখা হয়েছে

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা ব্যারেজ এলাকার নদীর তীরে মশাল প্রজ্বলন করেছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নীলফামারী ও লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান।

এর আগে লালমনিরহাটের কাকিনা পয়েন্টে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক, সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।

এ সময় চলতি বছরের নভেম্বর মাসে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করার দাবি জানানো হয়।

অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, নদী রক্ষায় জনগণের এই ঐক্যবদ্ধ অবস্থান প্রমাণ করে যে তিস্তা ইস্যুটি এখন আর কেবল পরিবেশগত বা অর্থনৈতিক বিষয় নয়, এটি উত্তরাঞ্চলের মানুষের জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন। এই অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ নেমে আসার আগেই সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের মানুষ খাদ্যের জন্য রাজধানী অভিমুখে লংমার্চ করতে বাধ্য হবে।

তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় মিছিল কর্মসূচিতে তিস্তা পাড়ের মানুষ ছাড়াও লালমনিরহাট, নীলফামারী ও কুড়িগ্রামের হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করে।

ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান বলেন, আমরা আর কোনো প্রতিশ্রুতি চাই না। এখন তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন দেখতে চাই। এটা নদীপাড়ের কয়েক কোটি মানুষের প্রাণের দাবি। এর আগে ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। নতুন করে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এবং নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন দূশ্যমান না হলে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

এ সময় নীলফামারী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মীর সেলিম ফারুক, সদস্য সচিব এএইচএম সাইফুল্লাহ রুবেল এবং লালমনিরহাটসহ পার্শ্ববর্তী জেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

তিস্তা নদীর ১১টি পয়েন্টে ১০৫ কিলোমিটার জুড়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয় বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

বিজয়ীদের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে রাকসু ভবন

মশাল জ্বালিয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি নদীপাড়ের বাসিন্দাদের

প্রকাশিত : ০৯:২২:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা ব্যারেজ এলাকার নদীর তীরে মশাল প্রজ্বলন করেছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নীলফামারী ও লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান।

এর আগে লালমনিরহাটের কাকিনা পয়েন্টে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক, সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।

এ সময় চলতি বছরের নভেম্বর মাসে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করার দাবি জানানো হয়।

অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, নদী রক্ষায় জনগণের এই ঐক্যবদ্ধ অবস্থান প্রমাণ করে যে তিস্তা ইস্যুটি এখন আর কেবল পরিবেশগত বা অর্থনৈতিক বিষয় নয়, এটি উত্তরাঞ্চলের মানুষের জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন। এই অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ নেমে আসার আগেই সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের মানুষ খাদ্যের জন্য রাজধানী অভিমুখে লংমার্চ করতে বাধ্য হবে।

তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় মিছিল কর্মসূচিতে তিস্তা পাড়ের মানুষ ছাড়াও লালমনিরহাট, নীলফামারী ও কুড়িগ্রামের হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করে।

ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান বলেন, আমরা আর কোনো প্রতিশ্রুতি চাই না। এখন তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন দেখতে চাই। এটা নদীপাড়ের কয়েক কোটি মানুষের প্রাণের দাবি। এর আগে ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। নতুন করে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এবং নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন দূশ্যমান না হলে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

এ সময় নীলফামারী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মীর সেলিম ফারুক, সদস্য সচিব এএইচএম সাইফুল্লাহ রুবেল এবং লালমনিরহাটসহ পার্শ্ববর্তী জেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

তিস্তা নদীর ১১টি পয়েন্টে ১০৫ কিলোমিটার জুড়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয় বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।