ঢাকা ১১:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

মানিকগঞ্জে মাকে গলা কেটে হত্যা, ছেলের বিরুদ্ধে মামলা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১০:১৯:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৩ বার দেখা হয়েছে

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় টাকা ও জমি লিখে না দেওয়ায় মাকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত বড় ছেলে রবি চন্দ্র ভদ্রের (৪২) বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে উপজেলার চকমিরপুর ইউনিয়নের মান্দারতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত করুণা ভদ্র (৬২) উপজেলার মান্দারতা গ্রামের মৃত ফটিক চন্দ্র ভদ্রের স্ত্রী।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, করুণা ভদ্রের নামে বসতবাড়িসহ ১১৪ শতক জমি এবং ডাকঘরে সঞ্চয় হিসেবে প্রায় ৯ লাখ টাকা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি ও টাকা নিজের নামে লিখে দেওয়ার জন্য মাকে চাপ দিয়ে আসছিলেন বড় ছেলে রবি ভদ্র। এ নিয়ে মা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে রবির দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। প্রতিদিনের মতো গতকাল বুধবার রাতে মা করুণা ভদ্র তার ছয় বছরের নাতনিকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পাশের কক্ষে স্ত্রীসহ ঘুমিয়ে ছিলেন বড় ছেলে রবি ও অন্য রুমে ঘুমিয়ে ছিলেন ছোট ছেলে রথীন চন্দ্র ভদ্র। মধ্যরাতে শিশু সন্তানের কান্না শুনে রবির স্ত্রী জয়া ভদ্র কক্ষের ভেতরে গিয়ে শাশুড়ির গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। তবে ঘরে তার স্বামীকে দেখতে পাননি।

খবর পেয়ে আজকে ভোরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলা সদরের মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় আজ বিকেলে নিহতের ছোট ছেলে রথীন ভদ্র বাদী হয়ে বড় ভই রবির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

রথীন ভদ্র জানান, জোর করে মায়ের জমি ও পোস্ট অফিসে রাখা টাকা নিজের নামে লিখে নিতে চায় তার বড় ভাই। কিন্তু মা এতে সম্মতি না দেওয়ায় প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জেরেই মাকে হত্যা করে বড় ভাই পালিয়েছেন।

দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ.আর আল-মামুন বলেন, সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় ওই বৃদ্ধাকে বড় ছেলে গলা কেটে হত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মেট্রোরেল বাড়তি সতর্কতা জারি, কর্মীদের সব ছুটি বাতিল

মানিকগঞ্জে মাকে গলা কেটে হত্যা, ছেলের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত : ১০:১৯:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় টাকা ও জমি লিখে না দেওয়ায় মাকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত বড় ছেলে রবি চন্দ্র ভদ্রের (৪২) বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে উপজেলার চকমিরপুর ইউনিয়নের মান্দারতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত করুণা ভদ্র (৬২) উপজেলার মান্দারতা গ্রামের মৃত ফটিক চন্দ্র ভদ্রের স্ত্রী।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, করুণা ভদ্রের নামে বসতবাড়িসহ ১১৪ শতক জমি এবং ডাকঘরে সঞ্চয় হিসেবে প্রায় ৯ লাখ টাকা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি ও টাকা নিজের নামে লিখে দেওয়ার জন্য মাকে চাপ দিয়ে আসছিলেন বড় ছেলে রবি ভদ্র। এ নিয়ে মা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে রবির দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। প্রতিদিনের মতো গতকাল বুধবার রাতে মা করুণা ভদ্র তার ছয় বছরের নাতনিকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পাশের কক্ষে স্ত্রীসহ ঘুমিয়ে ছিলেন বড় ছেলে রবি ও অন্য রুমে ঘুমিয়ে ছিলেন ছোট ছেলে রথীন চন্দ্র ভদ্র। মধ্যরাতে শিশু সন্তানের কান্না শুনে রবির স্ত্রী জয়া ভদ্র কক্ষের ভেতরে গিয়ে শাশুড়ির গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। তবে ঘরে তার স্বামীকে দেখতে পাননি।

খবর পেয়ে আজকে ভোরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলা সদরের মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় আজ বিকেলে নিহতের ছোট ছেলে রথীন ভদ্র বাদী হয়ে বড় ভই রবির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

রথীন ভদ্র জানান, জোর করে মায়ের জমি ও পোস্ট অফিসে রাখা টাকা নিজের নামে লিখে নিতে চায় তার বড় ভাই। কিন্তু মা এতে সম্মতি না দেওয়ায় প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জেরেই মাকে হত্যা করে বড় ভাই পালিয়েছেন।

দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ.আর আল-মামুন বলেন, সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় ওই বৃদ্ধাকে বড় ছেলে গলা কেটে হত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।