ঢাকা ১০:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

সুন্দরবনে ঘুরতে এসে আইরিশ পর্যটকের মৃত্যু, ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৮:২৩:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫১ বার দেখা হয়েছে

সুন্দরবনে ঘুরতে এসে জাহাজের মধ্যে মারা যাওয়া বিদেশি নাগরিক কারমেল নইলিনের (৫৭) ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে নইলিনের মরদেহ তার স্বামীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর সকালে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী অভয়ারণ্য স্টেশনের ঘাটে জাহাজে তার মৃত্যু হয়।

নিহত কারমেল নইলিন আয়ারল্যান্ডের (আইরিশ) নাগরিক এবং মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার খন্দকার মুরাদ মাহমুদের স্ত্রী।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, মুরাদ মাহমুদ দীর্ঘদিন আয়ারল্যান্ডে ছিলেন। সেখানে তিনি কারমেল নইলিনকে বিবাহ করেন। পরে ২০২৩ সালে মুরাদ মাহমুদ স্থায়ীভাবে দেশে চলে আসেন। এরপর থেকে তার স্ত্রী কারমেল নইলিন মাঝে মধ্যে বাংলাদেশে আসতেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে মোংলা থেকে এমভি আলাস্কা নামের একটি জাহাজে সুন্দরবন ভ্রমণে আসেন তারা। সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের কচিখালী অভয়ারণ্য স্টেশন ঘাটে জাহাজে অবস্থানকালে মারা যান কারমেল নইলিন।

বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার বলেন, শরণখোলা থানা থেকে একটি মরদেহ নিয়ে আসা হয়। মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছি।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহীদুল্লাহ বলেন, বনবিভাগ, নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডের সহায়তায় নিহতের মরদেহ সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় শরণখোলা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ডিএফও মো. রেজাউল করিম বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সুন্দরবনে ঘুরতে এসে আইরিশ পর্যটকের মৃত্যু, ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

প্রকাশিত : ০৮:২৩:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সুন্দরবনে ঘুরতে এসে জাহাজের মধ্যে মারা যাওয়া বিদেশি নাগরিক কারমেল নইলিনের (৫৭) ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে নইলিনের মরদেহ তার স্বামীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর সকালে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী অভয়ারণ্য স্টেশনের ঘাটে জাহাজে তার মৃত্যু হয়।

নিহত কারমেল নইলিন আয়ারল্যান্ডের (আইরিশ) নাগরিক এবং মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার খন্দকার মুরাদ মাহমুদের স্ত্রী।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, মুরাদ মাহমুদ দীর্ঘদিন আয়ারল্যান্ডে ছিলেন। সেখানে তিনি কারমেল নইলিনকে বিবাহ করেন। পরে ২০২৩ সালে মুরাদ মাহমুদ স্থায়ীভাবে দেশে চলে আসেন। এরপর থেকে তার স্ত্রী কারমেল নইলিন মাঝে মধ্যে বাংলাদেশে আসতেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে মোংলা থেকে এমভি আলাস্কা নামের একটি জাহাজে সুন্দরবন ভ্রমণে আসেন তারা। সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের কচিখালী অভয়ারণ্য স্টেশন ঘাটে জাহাজে অবস্থানকালে মারা যান কারমেল নইলিন।

বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার বলেন, শরণখোলা থানা থেকে একটি মরদেহ নিয়ে আসা হয়। মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছি।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহীদুল্লাহ বলেন, বনবিভাগ, নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডের সহায়তায় নিহতের মরদেহ সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় শরণখোলা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ডিএফও মো. রেজাউল করিম বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।