ঢাকা ০৭:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

তেলপাম্প দখলের অভিযোগ, বিএনপি নেতা বললেন ‘ষড়যন্ত্র’

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০২:৩৮:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৩৫ বার দেখা হয়েছে

যশোরের শার্শায় তেলপাম্প দখলের অভিযোগে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলনের পর পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে প্রেস ক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।আনোয়ার হোসেন শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

তিনি দাবি করেন, যারা অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুবিধা নিয়েছেন, তারাই নেপথ্যে থেকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা চলছে।

আনোয়ার হোসেন জানান, ১৯৯৯ সালে রেজিস্ট্রিকৃত কবলা দলিলের মাধ্যমে গোলাম কিবরিয়ার কাছ থেকে ১৭ শতক জমি কিনে নেন এবং মেসার্স কিবরিয়া ফিলিং স্টেশনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। ২০১২-১৩ সালে গোলাম কিবরিয়া আর্থিক সংকটে পড়লে আনোয়ার তার ভাই জামালের কাছ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা নিয়ে কিবরিয়াকে দেন এবং অঙ্গীকারনামা নেন। এর মধ্যে ২০২২ সালের জুনে গোলাম কিবরিয়ার মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশরা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত একটি পক্ষ ২০২৪ সালে পাম্পে হামলা চালিয়ে খুলনা ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। পরে মিথ্যা মামলায় তাকে আটক করা হয় এবং কিবরিয়ার মেয়ে তনিমা তাসনুমাসহ আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা তার তেলপাম্প দখল করে নেয়।

তিনি আরও জানান, ২০১৭ সালে গোলাম কিবরিয়ার ঋণের চাপের কারণে তার জমি, বাড়িসহ বিভিন্ন সম্পদ নিলামে ওঠে। এ সময় কিবরিয়ার ছোট ভাই বেনাপোলের কাগজপুকুরের ‘তনিমা ফিলিং স্টেশন’টি ১১৫ শতক জমিসহ তার ছোট ভাই জামাল হোসেনের কাছে ৬ কোটি ৭ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। বর্তমানে এর মালিক জামাল হোসেন। পরে বিস্ফোরক পরিদপ্তর খুলনা তনিমা ফিলিং স্টেশনের লাইসেন্স বাতিল করে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ‘মেসার্স আনোয়ার ফিলিং স্টেশন’ নামে নতুন লাইসেন্স দেয়, যা ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ রয়েছে। অথচ সেটিও এখন তনিমারা দখলে রেখেছেন, যেটা অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা হচ্ছে বলে দাবি করেন আনোয়ার।

আনোয়ার ফিলিং স্টেশন পরিচালনার সময় কোথা থেকে তেল আনতেন, তার কোনো কাগজপত্র আছে কিনা- সাংবাদিকরা এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি আনোয়ার। এছাড়া আনোয়ার ও তার ভাই জামাল হোসেনের টাকার উৎস সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে থাকা একাধিক মামলা এবং বিচারকের স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগসমর্থিত একাধিক ব্যক্তি ও একটি প্রভাবশালী মহল এর নেপথ্যে থেকে ষড়যন্ত্র করছেন। তাদের মধ্যে বেনাপোলের গোলাম মোর্শেদ সেলিম ও কামরুল অন্যতম।

আনোয়ার বলেন, তনিমার বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। এসব বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসেনের ভাই জামাল হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে আইআরআই

তেলপাম্প দখলের অভিযোগ, বিএনপি নেতা বললেন ‘ষড়যন্ত্র’

প্রকাশিত : ০২:৩৮:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যশোরের শার্শায় তেলপাম্প দখলের অভিযোগে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলনের পর পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে প্রেস ক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।আনোয়ার হোসেন শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

তিনি দাবি করেন, যারা অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুবিধা নিয়েছেন, তারাই নেপথ্যে থেকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা চলছে।

আনোয়ার হোসেন জানান, ১৯৯৯ সালে রেজিস্ট্রিকৃত কবলা দলিলের মাধ্যমে গোলাম কিবরিয়ার কাছ থেকে ১৭ শতক জমি কিনে নেন এবং মেসার্স কিবরিয়া ফিলিং স্টেশনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। ২০১২-১৩ সালে গোলাম কিবরিয়া আর্থিক সংকটে পড়লে আনোয়ার তার ভাই জামালের কাছ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা নিয়ে কিবরিয়াকে দেন এবং অঙ্গীকারনামা নেন। এর মধ্যে ২০২২ সালের জুনে গোলাম কিবরিয়ার মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশরা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত একটি পক্ষ ২০২৪ সালে পাম্পে হামলা চালিয়ে খুলনা ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। পরে মিথ্যা মামলায় তাকে আটক করা হয় এবং কিবরিয়ার মেয়ে তনিমা তাসনুমাসহ আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা তার তেলপাম্প দখল করে নেয়।

তিনি আরও জানান, ২০১৭ সালে গোলাম কিবরিয়ার ঋণের চাপের কারণে তার জমি, বাড়িসহ বিভিন্ন সম্পদ নিলামে ওঠে। এ সময় কিবরিয়ার ছোট ভাই বেনাপোলের কাগজপুকুরের ‘তনিমা ফিলিং স্টেশন’টি ১১৫ শতক জমিসহ তার ছোট ভাই জামাল হোসেনের কাছে ৬ কোটি ৭ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। বর্তমানে এর মালিক জামাল হোসেন। পরে বিস্ফোরক পরিদপ্তর খুলনা তনিমা ফিলিং স্টেশনের লাইসেন্স বাতিল করে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ‘মেসার্স আনোয়ার ফিলিং স্টেশন’ নামে নতুন লাইসেন্স দেয়, যা ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ রয়েছে। অথচ সেটিও এখন তনিমারা দখলে রেখেছেন, যেটা অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা হচ্ছে বলে দাবি করেন আনোয়ার।

আনোয়ার ফিলিং স্টেশন পরিচালনার সময় কোথা থেকে তেল আনতেন, তার কোনো কাগজপত্র আছে কিনা- সাংবাদিকরা এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি আনোয়ার। এছাড়া আনোয়ার ও তার ভাই জামাল হোসেনের টাকার উৎস সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে থাকা একাধিক মামলা এবং বিচারকের স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগসমর্থিত একাধিক ব্যক্তি ও একটি প্রভাবশালী মহল এর নেপথ্যে থেকে ষড়যন্ত্র করছেন। তাদের মধ্যে বেনাপোলের গোলাম মোর্শেদ সেলিম ও কামরুল অন্যতম।

আনোয়ার বলেন, তনিমার বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। এসব বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসেনের ভাই জামাল হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।