আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একসঙ্গে নানা অঙ্ক কষছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। জুলাই সনদের ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ পাঁচ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো নিয়ে নির্বাচনী জোটের চেষ্টায় আরও কিছু ছোট দলকে যুক্ত করার চেষ্টা করছে জামায়াত।
জামায়াতের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নির্বাচনে মনোনয়ন দেয় না জামায়াত— এমন সমালোচনা আছে। তবে, ডাকসু ও জাকসুতে ইনক্লুসিভ প্যানেল দিয়ে শিবির পেয়েছে ভূমিধস বিজয়। সেই জায়গা থেকে আগামী নির্বাচনেও প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে কিছু জায়গায় পরিবর্তনের চিন্তা-ভাবনা চলছে। যেখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও আদিবাসীদের মধ্য থেকে দেওয়া হতে পারে মনোনয়ন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তৃণমূলের ভোটে ২৯৮টি আসনে প্রার্থী বাছাই করেছে জামায়াতে ইসলামী। যদিও দুটি আসনে চেইন অব কমান্ডের ঐতিহ্য ভেঙে প্রার্থী নিয়ে প্রকাশ্যে অসন্তোষের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার তকমা পাওয়া আওয়ামী লীগের পতন ঘটে। দীর্ঘ সময় জোটসঙ্গী ও পরবর্তীতে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী জামায়াতে ইসলামী এখন বিএনপির মিত্র থেকে নির্বাচনী ময়দানে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড়িয়েছে। সংস্কার প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা এবং যুক্তি-তর্কেও কয়েকটি বিষয়ে বিএনপির বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে জামায়াত। এই বিপরীত অবস্থানে থাকতে ইসলামী আন্দোলন, এনসিপি ও এবি পার্টির খুব কাছাকাছি সমর্থন পাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী।