ঢাকা ০৯:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

সয়াফুড এখন বিদেশেও জনপ্রিয়

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৫:৫৮:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩ বার দেখা হয়েছে

দেশে উৎপাদিত তেলজাতীয় ফসল সয়াবিন দিয়ে আগে শুধু পোল্ট্রি, মাছ ও গরুর খাদ্য তৈরি হতো। তবে এখন এই সয়াবিন দিয়ে মুখরোচক ও পুষ্টিকর খাবার তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের নারী শারমিন আক্তার (৩৫)। সয়াল্যান্ড খ্যাত মেঘনা উপকূলীয় এই জেলায় তিনি তৈরি করছেন সয়াবিনভিত্তিক ৫০ রকমের খাবার। ঢাকার অভিজাত ফুডশপ থেকে শুরু করে দেশের বাইরেও তার তৈরি খাবারের কদর বাড়ছে।

এই পুষ্টিকর খাবারগুলো সয়াফুড নামে পরিচিত। তার খাদ্য তৈরির খবরে নেদারল্যান্ডসের কয়েকজন নাগরিক পর্যন্ত ছুটে এসেছেন তার বাড়িতে। শারমিনের এ উদ্যোগে যেমন তার পরিবার স্বচ্ছলতা পেয়েছে, তেমনি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে স্থানীয় নারীদের জন্য।

শারমিন লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চর কাদিরা ইউনিয়নের চরঠিকা গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামী ইলেকট্রিশিয়ান মাসুম বাঘা বিভিন্নভাবে তাকে সহায়তা করে যাচ্ছেন। তাদের বড় মেয়ে মায়ের কাজ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে কৃষি নিয়ে স্নাতক পড়ছেন। মেজো মেয়ে মাদরাসায় আলিম শ্রেণিতে এবং ছোট মেয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ছে।

শারমিন জানান, ছোটবেলা থেকেই তার বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরির শখ ছিল। কিন্তু নদীভাঙন ও পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে তা পূরণ হয়নি। ২০১৮ সালে একটি এনজিওতে কাজ করার সময় তিনি দেখেন, নারীরা সয়াবিন মিশিয়ে পুষ্টিকর খাবার তৈরি করছেন। সেখান থেকেই উৎসাহ পান। এরপর নিজেই বিভিন্ন মেলা ও অনুষ্ঠানে পণ্য বিক্রি করতে থাকেন। ২০২৪ সালে ঢাকায় পাঁচ দিনের একটি প্রশিক্ষণ নেন। সেখানে ফুড প্রসেসিং, সংরক্ষণ এবং বিপণন বিষয়ে ধারণা পান এবং একটি চেইন ফুডশপের সঙ্গে যোগাযোগ হয়, যারা তার পণ্য নেয়ার আগ্রহ দেখায়। এরপর ২৫ জন নারীকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন খাদ্য উৎপাদন। নারীরা প্রতিদিন খাবার তৈরি করে নিরাপদভাবে প্যাকেট করে। পরদিন সকালে যাত্রীবাহী বাসে খাবার পাঠানো হয় ঢাকায়। ফুডশপের লোকেরা বাস কাউন্টার থেকে পণ্য বুঝে নেন। এভাবেই গড়ে ওঠে শারমিনের সয়াফুড ব্র্যান্ড।

এখন পর্যন্ত তার কাছ থেকে অন্তত ৩০০ নারী সয়াফুড তৈরির প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তাদের অনেকেই স্থানীয়ভাবে সয়াবিনভিত্তিক খাবার তৈরি করছেন। শারমিন মাসে সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৩০ হাজার টাকা আয় করেন। অন্য নারীরাও মাসে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে উপার্জন করছেন।

টাস্কফোর্সের অভিযান ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি রোধে

সয়াফুড এখন বিদেশেও জনপ্রিয়

প্রকাশিত : ০৫:৫৮:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

দেশে উৎপাদিত তেলজাতীয় ফসল সয়াবিন দিয়ে আগে শুধু পোল্ট্রি, মাছ ও গরুর খাদ্য তৈরি হতো। তবে এখন এই সয়াবিন দিয়ে মুখরোচক ও পুষ্টিকর খাবার তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের নারী শারমিন আক্তার (৩৫)। সয়াল্যান্ড খ্যাত মেঘনা উপকূলীয় এই জেলায় তিনি তৈরি করছেন সয়াবিনভিত্তিক ৫০ রকমের খাবার। ঢাকার অভিজাত ফুডশপ থেকে শুরু করে দেশের বাইরেও তার তৈরি খাবারের কদর বাড়ছে।

এই পুষ্টিকর খাবারগুলো সয়াফুড নামে পরিচিত। তার খাদ্য তৈরির খবরে নেদারল্যান্ডসের কয়েকজন নাগরিক পর্যন্ত ছুটে এসেছেন তার বাড়িতে। শারমিনের এ উদ্যোগে যেমন তার পরিবার স্বচ্ছলতা পেয়েছে, তেমনি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে স্থানীয় নারীদের জন্য।

শারমিন লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চর কাদিরা ইউনিয়নের চরঠিকা গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামী ইলেকট্রিশিয়ান মাসুম বাঘা বিভিন্নভাবে তাকে সহায়তা করে যাচ্ছেন। তাদের বড় মেয়ে মায়ের কাজ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে কৃষি নিয়ে স্নাতক পড়ছেন। মেজো মেয়ে মাদরাসায় আলিম শ্রেণিতে এবং ছোট মেয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ছে।

শারমিন জানান, ছোটবেলা থেকেই তার বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরির শখ ছিল। কিন্তু নদীভাঙন ও পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে তা পূরণ হয়নি। ২০১৮ সালে একটি এনজিওতে কাজ করার সময় তিনি দেখেন, নারীরা সয়াবিন মিশিয়ে পুষ্টিকর খাবার তৈরি করছেন। সেখান থেকেই উৎসাহ পান। এরপর নিজেই বিভিন্ন মেলা ও অনুষ্ঠানে পণ্য বিক্রি করতে থাকেন। ২০২৪ সালে ঢাকায় পাঁচ দিনের একটি প্রশিক্ষণ নেন। সেখানে ফুড প্রসেসিং, সংরক্ষণ এবং বিপণন বিষয়ে ধারণা পান এবং একটি চেইন ফুডশপের সঙ্গে যোগাযোগ হয়, যারা তার পণ্য নেয়ার আগ্রহ দেখায়। এরপর ২৫ জন নারীকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন খাদ্য উৎপাদন। নারীরা প্রতিদিন খাবার তৈরি করে নিরাপদভাবে প্যাকেট করে। পরদিন সকালে যাত্রীবাহী বাসে খাবার পাঠানো হয় ঢাকায়। ফুডশপের লোকেরা বাস কাউন্টার থেকে পণ্য বুঝে নেন। এভাবেই গড়ে ওঠে শারমিনের সয়াফুড ব্র্যান্ড।

এখন পর্যন্ত তার কাছ থেকে অন্তত ৩০০ নারী সয়াফুড তৈরির প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তাদের অনেকেই স্থানীয়ভাবে সয়াবিনভিত্তিক খাবার তৈরি করছেন। শারমিন মাসে সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৩০ হাজার টাকা আয় করেন। অন্য নারীরাও মাসে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে উপার্জন করছেন।