ঢাকা ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

প্রধান সন্দেহভাজন মাহিরকে পুলিশে সোপর্দ মায়ের

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১২:০২:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
  • ১ বার দেখা হয়েছে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুবায়েদ হোসেনকে হত্যার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন মাহির রহমানকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন তার মা রেখা রহমান। সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে তিনি রাজধানীর চকবাজার থানায় ছেলেকে সোপর্দ করার কথা বললেও পুলিশ এ তথ্য স্বীকার করেনি।

মাহিরকে চকবাজার থানায় সোপর্দের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুজ্জামানের সঙ্গে। তবে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

ডিএমপির লালবাগ জোনের উপ-কমিশনার মল্লিক আহসান উদ্দিন সামির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রধান সন্দেহভাজনকে আটক করতে পেরেছি, এটাই বড় সফলতা। এই মুহূর্তে আমাদের হেফাজতে বর্ষাসহ চারজন রয়েছে।’

সোমবার রাতে মাহিরের মায়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি সকাল সাড়ে ৬টার সময় তাকে চকবাজার থানায় দিয়ে আসি। মাহির যখন গতকাল (রোববার) সন্ধ্যা ৬টার সময় হাত রক্তাক্ত অবস্থায় বাসায় পৌঁছায়, তখন আমি জিজ্ঞেস করলে আমাকে ও বিস্তারিত বলে।’

রেখা রহমান বলেন, ‘মাহিরের সঙ্গে নয় বছর বর্ষার প্রেম ছিল। কিন্তু বর্তমানে যে ছেলেটা মারা গেছে (জুবায়েদ), মেয়েটির সঙ্গে তার প্রেম হওয়ায় সেটা মাহির মানতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ছেলেটাকে একটা কোপ দেয়। আমার ছেলে অপরাধ করেছে দেখে আমি নিজেই তাকে থানায় দিয়ে এসেছি।’

সোমবার সন্ধ্যায় লালবাগ জোনের ডিসি মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি বলেন, ‘বিশেষ অভিযানে আমরা এখন পর্যন্ত তিনজন আসামিকে আটক করেছি। তবে এখনই তাদের নাম-পরিচয় আমরা প্রকাশ করব না তদন্তের স্বার্থে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকালে আমরা বিস্তারিত ব্রিফিং করব।’

এর আগে রোববার বর্ষাকে তার নিজ বাসা থেকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

এদিকে এ খুনের ঘটনায় প্রায় ৩০ ঘণ্টা পরও কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজনদের আটক করে তারপর একসঙ্গে সব অপরাধীর নাম উল্লেখ করে মামলা করা হবে।

জুবায়েদ হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। রোববার (১৯ অক্টোবর) পুরান ঢাকার আরমানিটোলার নূরবক্স লেনের একটি বাসায় টিউশনি করতে গেলে বাসার সিঁড়িতে ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

প্রধান সন্দেহভাজন মাহিরকে পুলিশে সোপর্দ মায়ের

প্রকাশিত : ১২:০২:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুবায়েদ হোসেনকে হত্যার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন মাহির রহমানকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন তার মা রেখা রহমান। সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে তিনি রাজধানীর চকবাজার থানায় ছেলেকে সোপর্দ করার কথা বললেও পুলিশ এ তথ্য স্বীকার করেনি।

মাহিরকে চকবাজার থানায় সোপর্দের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুজ্জামানের সঙ্গে। তবে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

ডিএমপির লালবাগ জোনের উপ-কমিশনার মল্লিক আহসান উদ্দিন সামির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রধান সন্দেহভাজনকে আটক করতে পেরেছি, এটাই বড় সফলতা। এই মুহূর্তে আমাদের হেফাজতে বর্ষাসহ চারজন রয়েছে।’

সোমবার রাতে মাহিরের মায়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি সকাল সাড়ে ৬টার সময় তাকে চকবাজার থানায় দিয়ে আসি। মাহির যখন গতকাল (রোববার) সন্ধ্যা ৬টার সময় হাত রক্তাক্ত অবস্থায় বাসায় পৌঁছায়, তখন আমি জিজ্ঞেস করলে আমাকে ও বিস্তারিত বলে।’

রেখা রহমান বলেন, ‘মাহিরের সঙ্গে নয় বছর বর্ষার প্রেম ছিল। কিন্তু বর্তমানে যে ছেলেটা মারা গেছে (জুবায়েদ), মেয়েটির সঙ্গে তার প্রেম হওয়ায় সেটা মাহির মানতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ছেলেটাকে একটা কোপ দেয়। আমার ছেলে অপরাধ করেছে দেখে আমি নিজেই তাকে থানায় দিয়ে এসেছি।’

সোমবার সন্ধ্যায় লালবাগ জোনের ডিসি মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি বলেন, ‘বিশেষ অভিযানে আমরা এখন পর্যন্ত তিনজন আসামিকে আটক করেছি। তবে এখনই তাদের নাম-পরিচয় আমরা প্রকাশ করব না তদন্তের স্বার্থে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকালে আমরা বিস্তারিত ব্রিফিং করব।’

এর আগে রোববার বর্ষাকে তার নিজ বাসা থেকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

এদিকে এ খুনের ঘটনায় প্রায় ৩০ ঘণ্টা পরও কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজনদের আটক করে তারপর একসঙ্গে সব অপরাধীর নাম উল্লেখ করে মামলা করা হবে।

জুবায়েদ হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। রোববার (১৯ অক্টোবর) পুরান ঢাকার আরমানিটোলার নূরবক্স লেনের একটি বাসায় টিউশনি করতে গেলে বাসার সিঁড়িতে ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি।