ডেস্ক রিপোর্ট 
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে বাংলাদেশের ক্লাব বসুন্ধরা কিংস টানা দ্বিতীয় ম্যাচ হারল। আজ লেবাননের ক্লাব আল আনসার এফসি তাদের এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসকে ৩-০ গোলে পরাজিত করেছে। কিংসের মতো তারাও নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরেছিল। লেবাননের ক্লাব জয়ের ধারায় ফিরলেও টানা দুই হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় বসুন্ধরা কিংসের।
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে বিশটি দল পাঁচ গ্রুপে খেলছে। ওয়েস্ট জোনে তিন আর ইস্ট জোনে দুই গ্রুপ। ওয়েস্ট জোনের তিন গ্রুপের তিন চ্যাম্পিয়ন ও সেরা রানার্স আপ আর ইস্ট জোনের দুই গ্রুপের দুই চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে। বসুন্ধরা কিংস ওয়েস্ট জোনের বি গ্রুপে খেলছে। দুই ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট শূন্য। ইতোমধ্যে গ্রুপের অন্য তিন দলেরই তিন পয়েন্ট হয়েছে।
আল সীব ও কুয়েত এসসির মধ্যকার ম্যাচ ড্র হলে দুই দলেরই চার পয়েন্ট হবে। আর এক দল জিতলে হবে ছয়। ফলে কিংসের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ নেই। আজ কুয়েত এসসি হারলে পয়েন্ট থাকবে তিন। শেষ ম্যাচে কিংস জিতলে এবং সীব আল আনসারকে হারালে এক দলের ছয় বাকি তিন দলের তিন থাকবে। তখন গোল ব্যবধান, হেড টু হেডে কিংসের গ্রুপ রানার্স আপ হওয়ার মৃদু সুযোগ থাকবে। তবে ওয়েস্ট জোনের অন্য দুই গ্রুপ এ ও সি গ্রুপে দুই দলের যথাক্রমে ৬ পয়েন্ট করে হওয়ায় কিংসের তিন গ্রুপের মধ্যে সেরা রানার্স আপ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
ম্যাচ হারলেও শুরুটা ভালো করেছিল বসুন্ধরা কিংস। আল আনসার রক্ষণভাগের ভুলে বল পেয়ে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রাফায়েল বক্সের বাইরে থেকে শট নিলেও বলটি ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে যায়। বাংলাদেশের ক্লাবটি দ্বিতীয় মিনিটেই গোলের ভালো সুযোগ পেয়েছিল। সানডে ইমানুয়েলের দারুণ থ্রু পাসে আরেক ব্রাজিলিয়ান ডরিয়েল্টন বল পেয়েছিলেন, কিন্তু তার নিচু শটটি ঠেকিয়ে দেন নাসরের গোলরক্ষক নাজিহ আসাদ।
এর চার মিনিট পর আল আনসার পাল্টা আক্রমণে ওঠে। মাজেদ ওসমান টানা দুটি সুযোগ নষ্ট করেন। বসুন্ধরা কিংসের গতি থেমে গেলে আল আনসারও আগ্রাসী হয়। ওসমান ও আলি দু’জনই বক্সের বাইরে থেকে শট নিলেও গোল পাননি। তবে প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে (৪৩তম মিনিটে) লেবাননের ক্লাবটি লিড নেয়। মোহাম্মদের সেট-পিস থেকে করা ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে আবুবকর আকুকি সুন্দর হেডে গোল করেন।
দ্বিতীয়ার্ধের ৮ মিনিটে আল আনসার পেনাল্টি পায়। কিংসের ইমানুয়েল ফাউল করেন মোহাম্মদকে। কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ চমৎকারভাবে ডান দিকে ঝাপিয়ে পড়ে গোল সেভ করেন। ১০ মিনিট পর কিংসের জালে বল পাঠায় আল আনসার। কিন্তু বক্সের মধ্যে বল রিসিভের সময় হাতে লাগায় রেফারি গোল বাতিল করেন।
৭৩তম মিনিটে আবারও বক্সে ফাউল করেন এমানুয়েল। এইবার হিশেম খালফাল্লাহ স্পট কিক থেকে গোল করে লিড দ্বিগুণ করেন।
ইনজুরি টাইমে হেবুস অসাধারণভাবে গোলরক্ষক শ্রাবণকে পরাস্ত করলে নাসরের ৩-০ গোলের জয় নিশ্চিত হয়। শুক্রবার আল আনসার মুখোমুখি হবে ওমানের আল সিব ক্লাবের আর বসুন্ধরা কিংস খেলবে স্বাগতিক কুয়েত এসসির বিপক্ষে।
