ঢাকা ১২:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

কমেছে আশ্রয় আবেদন জার্মানিতে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৮:২৪:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ৬ বার দেখা হয়েছে

চলতি বছর ইউরোপের দেশ জার্মানিতে আশ্রয় চেয়ে করা আবদনের সংখ্যা কমেছে। বছরের প্রথম ১০ মাসে আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এক লাখেরও বেশি কমেছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে মোট ৯২ হাজার ২৭৭ জন প্রার্থী প্রথমবারের মতো জার্মানিতে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন। তার আগের বছরের অর্থাৎ ২০২৪ সালের প্রথম দশ মাসে এই সংখ্যা ছিল এক লাখ ৯৯ হাজার ৯৪৭। সেই হিসেবে চলতি বছরের প্রথমবার আবেদনকারীর সংখ্যা এক লাখেরও বেশি কমেছে।

এ বিষয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডোব্রিন্ডট বলেছেন, অভিবাসন বিষয়ে আমাদের পদক্ষেপ কাজ করছে।

অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে নানা ধরনের পক্ষেপ নিচ্ছে জার্মান সরকার। গত নির্বাচনের আগে এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়েছিল দলগুলো। তারই ধারাবাহিকতায় চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসের নেতৃত্বাধীন সরকার অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে আইনি পরিবর্তনসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে সীমান্তে কড়া নজরদারি আরোপসহ সীমান্তে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়া।

সরকার বলেছে, গত মে থেকে চলতি সময় পর্যন্ত মোট ১৮ হাজার ৬০০ ব্যক্তিকে সীমান্তে থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদনের সংখ্যা কমে আসার পেছনে বলকান দেশগুলোর ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া সিরিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে আসাও এর আরেকটি কারণ বলে অনুমান করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এক যুগেরও বেশি সময় পর জার্মানিতে বসবাসরত শরণার্থীর সংখ্যাও কিছুটা কমেছে। গত সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত সরকারি তথ্য বলছে, ২০১১ সালের পর এই প্রথমবারের মতো দেশটিতে বসবাসরত শরণার্থীর সংখ্যায় এই পরিবর্তন এসেছে।

জার্মানির বামপন্থি দল ডি লিংকের এক সংসদীয় প্রশ্নের উত্তরে সরকার এই তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে শরণার্থীর সংখ্যা অন্তত ৫০ হাজার কমেছে। ২০২৪ সালের শেষে শরণার্থীর সংখ্যা ছিল ৩৫ লাখ ৫০ হাজার, সংখ্যাটি কমে এখন হয়েছে ৩৫ লাখ।

শরণার্থীর এই সংখ্যার মধ্যে রয়েছে জার্মানিতে বিভিন্ন মর্যাদায় বসবাসের অনুমতি পাওয়া আশ্রয়প্রার্থী ও শরণার্থীরা। নতুন আসা আশ্রয়প্রার্থী থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন ধরে যারা দেশটিতে আছেন, তাদেরও রাখা হয়েছে এই তালিকায়। ইউক্রেন থেকে আসা শরণার্থীরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। ইনফোমাইগ্রেন্টস।

কমেছে আশ্রয় আবেদন জার্মানিতে

প্রকাশিত : ০৮:২৪:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

চলতি বছর ইউরোপের দেশ জার্মানিতে আশ্রয় চেয়ে করা আবদনের সংখ্যা কমেছে। বছরের প্রথম ১০ মাসে আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এক লাখেরও বেশি কমেছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে মোট ৯২ হাজার ২৭৭ জন প্রার্থী প্রথমবারের মতো জার্মানিতে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন। তার আগের বছরের অর্থাৎ ২০২৪ সালের প্রথম দশ মাসে এই সংখ্যা ছিল এক লাখ ৯৯ হাজার ৯৪৭। সেই হিসেবে চলতি বছরের প্রথমবার আবেদনকারীর সংখ্যা এক লাখেরও বেশি কমেছে।

এ বিষয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডোব্রিন্ডট বলেছেন, অভিবাসন বিষয়ে আমাদের পদক্ষেপ কাজ করছে।

অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে নানা ধরনের পক্ষেপ নিচ্ছে জার্মান সরকার। গত নির্বাচনের আগে এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়েছিল দলগুলো। তারই ধারাবাহিকতায় চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসের নেতৃত্বাধীন সরকার অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে আইনি পরিবর্তনসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে সীমান্তে কড়া নজরদারি আরোপসহ সীমান্তে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়া।

সরকার বলেছে, গত মে থেকে চলতি সময় পর্যন্ত মোট ১৮ হাজার ৬০০ ব্যক্তিকে সীমান্তে থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদনের সংখ্যা কমে আসার পেছনে বলকান দেশগুলোর ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া সিরিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে আসাও এর আরেকটি কারণ বলে অনুমান করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এক যুগেরও বেশি সময় পর জার্মানিতে বসবাসরত শরণার্থীর সংখ্যাও কিছুটা কমেছে। গত সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত সরকারি তথ্য বলছে, ২০১১ সালের পর এই প্রথমবারের মতো দেশটিতে বসবাসরত শরণার্থীর সংখ্যায় এই পরিবর্তন এসেছে।

জার্মানির বামপন্থি দল ডি লিংকের এক সংসদীয় প্রশ্নের উত্তরে সরকার এই তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে শরণার্থীর সংখ্যা অন্তত ৫০ হাজার কমেছে। ২০২৪ সালের শেষে শরণার্থীর সংখ্যা ছিল ৩৫ লাখ ৫০ হাজার, সংখ্যাটি কমে এখন হয়েছে ৩৫ লাখ।

শরণার্থীর এই সংখ্যার মধ্যে রয়েছে জার্মানিতে বিভিন্ন মর্যাদায় বসবাসের অনুমতি পাওয়া আশ্রয়প্রার্থী ও শরণার্থীরা। নতুন আসা আশ্রয়প্রার্থী থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন ধরে যারা দেশটিতে আছেন, তাদেরও রাখা হয়েছে এই তালিকায়। ইউক্রেন থেকে আসা শরণার্থীরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। ইনফোমাইগ্রেন্টস।