ঢাকা ০৪:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

স্বামীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি হায়দরাবাদে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০২:২০:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ৬ বার দেখা হয়েছে

লোকজন দিয়ে স্বামীকে অপহরণ করিয়ে তার কাছে ২ কোটি রুপি মুক্তিপণ চাওয়ার দাবিতে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদে ঘটেছে এ ঘটনা।

গ্রেপ্তার ওই নারীর নাম এম মাধবীলতা, আর তার স্বামীর নাম মান্ত্রি শ্যাম। হায়দরাবাদ পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, হায়দরাবাদের অন্যতম শহরতলী এলাকা অম্বেরপেতে থাকতেন শ্যাম এবং তার স্ত্রী মাধবীলতা। গত ২৯ অক্টোবর তাকে একদল লোক অপহরণ করে রাজধানীর অভিজাত এলাকা বানজারা হিলসের একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। তবে সেখান থেকে ৩১ অক্টোবর পালিয়ে যেতে সক্ষম হন শ্যাম।

বানজারা হিলসের ফ্ল্যাট থেকে পালিয়ে সোজা থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন শ্যাম। অভিযোগে তিনি তার স্ত্রী মাধবীলতাকে অপহরণের মূল পরিকাল্পনাকারী বলে উল্লেখ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, তাকে অপহরণ করার জন্য মাধবীলতা ভান্ডি দুর্গা বিনয়, কাট্টা দুর্গা প্রসাদ এবং কাটামনি পরশুরাম নামের তিন ব্যক্তিকে ভাড়া করেছিলেন। এই তিনজন গত ২৯ অক্টোবর শ্যামকে অপহরণ করে এবং চোখ বেঁধে তাকে বানজারা হিলসের সেই ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর তারা শ্যামের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

টাকার জন্য শ্যাম বাড়িতে যোগাযোগ করেন এবং টাকা পাঠাতে বলেন। বাড়ি থেকে টাকার চেক পাঠানো হয়। সেই চেক ভাঙানোর জন্য শ্যামকে ব্যাংকে নিয়ে যায় বিনয়, প্রসাদ ও পরশুরাম। সেই ব্যাংক থেকেই পালান শ্যাম।

শ্যাম থানায় মামলা করার পর হায়দরাবাদে অভিযান চালিয়ে মাধবীলতা, বিনয়, প্রসাদ, পরশুরামসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হায়দরাবাদ পুলিশের এক কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানান, গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্তদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। কর্মকর্তারা আরও জানান, মাধবীলতার মূল লক্ষ্য ছিল স্বামীর যাবতীয় সম্পদ নিজের নামে লিখিয়ে নেওয়া এবং পর তাকে হত্যা করা। হত্যার জন্যই এই তিন জনকে ভাড়া করেছিলেন মাধবীলতা। মুক্তিপণের এক কোটি টাকা ছিল আসলে শ্যামকে হত্যার জন্য বিনয়, প্রসাদ ও পরশুরামের পুরস্কার বা পারিশ্রমিক।

মাধবীলতা, বিনয়, প্রসাদ ও পরশুরামকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই অপহরণকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে হায়দরাবাদ পুলিশ। গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ৩টি গাড়ি, দু’টি বাইক এবং বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

স্বামীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি হায়দরাবাদে

প্রকাশিত : ০২:২০:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

লোকজন দিয়ে স্বামীকে অপহরণ করিয়ে তার কাছে ২ কোটি রুপি মুক্তিপণ চাওয়ার দাবিতে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদে ঘটেছে এ ঘটনা।

গ্রেপ্তার ওই নারীর নাম এম মাধবীলতা, আর তার স্বামীর নাম মান্ত্রি শ্যাম। হায়দরাবাদ পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, হায়দরাবাদের অন্যতম শহরতলী এলাকা অম্বেরপেতে থাকতেন শ্যাম এবং তার স্ত্রী মাধবীলতা। গত ২৯ অক্টোবর তাকে একদল লোক অপহরণ করে রাজধানীর অভিজাত এলাকা বানজারা হিলসের একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। তবে সেখান থেকে ৩১ অক্টোবর পালিয়ে যেতে সক্ষম হন শ্যাম।

বানজারা হিলসের ফ্ল্যাট থেকে পালিয়ে সোজা থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন শ্যাম। অভিযোগে তিনি তার স্ত্রী মাধবীলতাকে অপহরণের মূল পরিকাল্পনাকারী বলে উল্লেখ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, তাকে অপহরণ করার জন্য মাধবীলতা ভান্ডি দুর্গা বিনয়, কাট্টা দুর্গা প্রসাদ এবং কাটামনি পরশুরাম নামের তিন ব্যক্তিকে ভাড়া করেছিলেন। এই তিনজন গত ২৯ অক্টোবর শ্যামকে অপহরণ করে এবং চোখ বেঁধে তাকে বানজারা হিলসের সেই ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর তারা শ্যামের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

টাকার জন্য শ্যাম বাড়িতে যোগাযোগ করেন এবং টাকা পাঠাতে বলেন। বাড়ি থেকে টাকার চেক পাঠানো হয়। সেই চেক ভাঙানোর জন্য শ্যামকে ব্যাংকে নিয়ে যায় বিনয়, প্রসাদ ও পরশুরাম। সেই ব্যাংক থেকেই পালান শ্যাম।

শ্যাম থানায় মামলা করার পর হায়দরাবাদে অভিযান চালিয়ে মাধবীলতা, বিনয়, প্রসাদ, পরশুরামসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হায়দরাবাদ পুলিশের এক কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানান, গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্তদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। কর্মকর্তারা আরও জানান, মাধবীলতার মূল লক্ষ্য ছিল স্বামীর যাবতীয় সম্পদ নিজের নামে লিখিয়ে নেওয়া এবং পর তাকে হত্যা করা। হত্যার জন্যই এই তিন জনকে ভাড়া করেছিলেন মাধবীলতা। মুক্তিপণের এক কোটি টাকা ছিল আসলে শ্যামকে হত্যার জন্য বিনয়, প্রসাদ ও পরশুরামের পুরস্কার বা পারিশ্রমিক।

মাধবীলতা, বিনয়, প্রসাদ ও পরশুরামকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই অপহরণকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে হায়দরাবাদ পুলিশ। গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ৩টি গাড়ি, দু’টি বাইক এবং বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।