ঢাকা ০৯:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৬:০৩:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
  • ২ বার দেখা হয়েছে

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে জাতিসংঘের নিযুক্ত শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। রোববার দক্ষিণ লেবাননে শান্তিরক্ষীদের ওপর এই গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ। ইসরায়েলি বাহিনীর এই কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের এল হামামেস এলাকায় দুই সন্দেহভাজনের ওপর গুলি চালিয়েছে সৈন্যরা। ওই দুই সন্দেহভাজনের অবস্থান ইসরায়েল সীমান্তের কাছে ছিল। পরে জানা যায়, তারা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্য।

বৈরী আবহাওয়ার কারণে শান্তিরক্ষীদের ভুলভাবে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। ইসরায়েল বলেছে, এই ঘটনায় ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।

জাতিসংঘের লেবাননে নিযুক্ত অন্তর্বর্তীকালীন শান্তিরক্ষা মিশন (ইউএনআইএফআইএল) বলেছে, লেবাননের ভেতরে অবস্থিত একটি মার্কাভা ট্যাংক থেকে ইসরায়েলি বাহিনী পায়ে হেঁটে চলা শান্তিরক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে। ভারী মেশিনগান থেকে ছোড়া গুলি শান্তিরক্ষীদের অবস্থান থেকে মাত্র পাঁচ মিটার দূরে গিয়ে পড়ে। যে কারণে তারা আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।

ইউএনআইএফআইএল বলেছে, শান্তিরক্ষীরা আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে ট্যাংকটি পিছু হটে। ইউএনআইএফআইএল এই ঘটনাকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৭০১ নম্বর প্রস্তাবের ‌‘গুরুতর লঙ্ঘন’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী ও লেবানন সেনাবাহিনী ছাড়া অন্য কোনও সশস্ত্র বাহিনী থাকতে পারবে না।

লেবানন সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীলতা তৈরি এবং দক্ষিণে নিজেদের বাহিনী মোতায়েনে বাধা সৃষ্টি করছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বর্তমানে লেবাননের ভেতরে পাঁচটি এলাকা দখলে রেখেছে এবং প্রায়ই দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালাচ্ছে। ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এই বিমান হামলার লক্ষ্য বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।

গত বছর ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। ওই চুক্তির শর্তে হিজবুল্লাহ দক্ষিণ লেবাননে কোনও ধরনের অস্ত্র রাখবে না এবং ইসরায়েলি বাহিনী পুরোপুরি লেবানন ত্যাগ করবে বলে বলা হয়েছিল।

ইসরায়েল অভিযোগ করে বলেছে, হিজবুল্লাহ পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করছে। অন্যদিকে লেবানন সরকার বলেছে, ইসরায়েল চুক্তি ভঙ্গ করে এখনো লেবানন ত্যাগ করেনি এবং বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

সূত্র: রয়টার্স।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি

প্রকাশিত : ০৬:০৩:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে জাতিসংঘের নিযুক্ত শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। রোববার দক্ষিণ লেবাননে শান্তিরক্ষীদের ওপর এই গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ। ইসরায়েলি বাহিনীর এই কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের এল হামামেস এলাকায় দুই সন্দেহভাজনের ওপর গুলি চালিয়েছে সৈন্যরা। ওই দুই সন্দেহভাজনের অবস্থান ইসরায়েল সীমান্তের কাছে ছিল। পরে জানা যায়, তারা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্য।

বৈরী আবহাওয়ার কারণে শান্তিরক্ষীদের ভুলভাবে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। ইসরায়েল বলেছে, এই ঘটনায় ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।

জাতিসংঘের লেবাননে নিযুক্ত অন্তর্বর্তীকালীন শান্তিরক্ষা মিশন (ইউএনআইএফআইএল) বলেছে, লেবাননের ভেতরে অবস্থিত একটি মার্কাভা ট্যাংক থেকে ইসরায়েলি বাহিনী পায়ে হেঁটে চলা শান্তিরক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে। ভারী মেশিনগান থেকে ছোড়া গুলি শান্তিরক্ষীদের অবস্থান থেকে মাত্র পাঁচ মিটার দূরে গিয়ে পড়ে। যে কারণে তারা আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।

ইউএনআইএফআইএল বলেছে, শান্তিরক্ষীরা আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে ট্যাংকটি পিছু হটে। ইউএনআইএফআইএল এই ঘটনাকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৭০১ নম্বর প্রস্তাবের ‌‘গুরুতর লঙ্ঘন’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী ও লেবানন সেনাবাহিনী ছাড়া অন্য কোনও সশস্ত্র বাহিনী থাকতে পারবে না।

লেবানন সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীলতা তৈরি এবং দক্ষিণে নিজেদের বাহিনী মোতায়েনে বাধা সৃষ্টি করছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বর্তমানে লেবাননের ভেতরে পাঁচটি এলাকা দখলে রেখেছে এবং প্রায়ই দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালাচ্ছে। ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এই বিমান হামলার লক্ষ্য বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।

গত বছর ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। ওই চুক্তির শর্তে হিজবুল্লাহ দক্ষিণ লেবাননে কোনও ধরনের অস্ত্র রাখবে না এবং ইসরায়েলি বাহিনী পুরোপুরি লেবানন ত্যাগ করবে বলে বলা হয়েছিল।

ইসরায়েল অভিযোগ করে বলেছে, হিজবুল্লাহ পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করছে। অন্যদিকে লেবানন সরকার বলেছে, ইসরায়েল চুক্তি ভঙ্গ করে এখনো লেবানন ত্যাগ করেনি এবং বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

সূত্র: রয়টার্স।