দশকের পর দশক ধরে চলা সশস্ত্র আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর এক অভিযানে মাওবাদী বিদ্রোহী কমান্ডার হিদমাসহ ছয় মাওবাদী নিহত হয়েছেন। হিদমাসহ তার সহযোগীদের ‘ভয়ংকরতম’ গেরিলা হামলার জন্য দায়ী হিসেবে অভিহিত করে এই খবর নিশ্চিত করেছে ভারতের পুলিশ।
২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দশকব্যাপী চলে আসা মাওবাদী বিদ্রোহ সম্পূর্ণরূপে শেষ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত সরকার। মঙ্গলবারের অভিযান সম্পর্কে ভারতের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা মহেশ চন্দ্র লাড্ডা বলেন, অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যে ‘পুলিশের সঙ্গে এক সংঘর্ষে’ শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার মাদভি হিদমা, তার স্ত্রী রাজে এবং আরও চারজন যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
তিনি বলেছেন, হিদমা ছিলেন সবচেয়ে ভয়ংকর মাওবাদী কমান্ডার। তার মাথার দাম ১ কোটি টাকা (প্রায় ১১০,০০০ ডলার) পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।

ভারতীয় পুলিশ বলেছে, এ অভিযানের সময় অ্যাসল্ট রাইফেল, পিস্তল এবং অনেক বিস্ফোরকও জব্দ করা হয়েছে। মাওবাদী বিদ্রোহ দমনের লক্ষ্যে নয়াদিল্লি সর্বাত্মক অভিযান শুরু করেছে। একই সঙ্গে আগামী মার্চের মধ্যে এই বিদ্রোহ পুরোপুরি দমনের অঙ্গীকার করেছে।
কয়েক দশক ধরে চলা সশস্ত্র সংগ্রাম স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে দুই মাস আগে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মাওবাদী বিদ্রোহীরা। এই প্রস্তাবের মাঝেই মঙ্গলবার আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে মাওবাদী বিদ্রোহীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।
২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে মাওবাদীরা দেশটির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেছিল এবং সেই সময় তাদের যোদ্ধার সংখ্যা ছিল ১৫ থেকে ২০ হাজার। তবে গত কয়েক বছরে মাওবাদী বিদ্রোহীদের শক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।
গত অক্টোবরে দেশটির ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার বলেছিল, দুই দিনের অভিযানে মাওবাদী বিদ্রোহীদের জ্যেষ্ঠ নেতা মল্লোজুলা ভেনুগোপাল রাওসহ ২৫০ জনেরও বেশি সদস্য আত্মসমর্পণ করেছেন।

ডেস্ক রিপোর্ট 






















