ঢাকা ১২:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

রাজধানীবাসী এমন ভূমিকম্প ‘আগে কখনো দেখেনি’

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১১:৪৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • ০ বার দেখা হয়েছে

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যা বিগত বছরগুলোতে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে অন্যতম তীব্র।

শুক্রবার সকালে কম্পনের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে বহু মানুষ আতঙ্কে ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। অনেক প্রত্যক্ষদর্শী বলছেন, এমন তীব্র ভূমিকম্প এর আগে কখনও দেখিনি।

ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ও রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। তবে এর তীব্রতা ছিল লক্ষণীয়।

ভূমিকম্প শুরু হতেই শহরের বিভিন্ন বহুতল ভবন থেকে মানুষজন দ্রুত নিচে নেমে আসতে শুরু করেন। অফিস, স্কুল ও বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোতে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা শায়লা পারভীন বলেন, আমি রান্নাঘরে ছিলাম। হঠাৎ মনে হলো মেঝে দুলছে, প্রথমে বুঝিনি। যখন দেখি জিনিসপত্র পড়ে যাচ্ছে, তখন দৌড়ে নিচে নামি। ২০ বছরের জীবনে এমন কাঁপন দেখিনি।

গুলশানের একটি বহুতল ভবনের নিরাপত্তাকর্মী রফিক মিয়া জানান, বিল্ডিংটা এতো জোরে দুলছিল যে আমরা সবাই ভয়ে জমে গিয়েছিলাম। সবাই চিৎকার করতে করতে নিচে নামছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা ঢাকা পোস্টকে ভূমিকম্পের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আজ সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি, আতঙ্কিত না হয়ে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করুন।

আফটার শকের সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ফারজানা সুলতানা বলেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী— এই ধরনের ভূমিকম্পের পর ছোটখাটো আফটার শকের সম্ভাবনা থাকতেই পারে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এখন পর্যন্ত তেমন সম্ভাবনা আমরা দেখতে পাইনি।

এর আগে, চলতি বছরের ৫ মার্চ রাজধানীতে মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল৷

রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। তারও আগে ২৮ মে বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ২টা ২৪ মিনিটে ভারতের মণিপুর রাজ্যের মোইরাং শহরের কাছাকাছি আরেকটি ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। সেসময়ও ভূমিকম্পের দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলসহ রাজধানী ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলায় হালকা কম্পন অনুভূত হয়েছিল।

রাজধানীবাসী এমন ভূমিকম্প ‘আগে কখনো দেখেনি’

প্রকাশিত : ১১:৪৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যা বিগত বছরগুলোতে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে অন্যতম তীব্র।

শুক্রবার সকালে কম্পনের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে বহু মানুষ আতঙ্কে ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। অনেক প্রত্যক্ষদর্শী বলছেন, এমন তীব্র ভূমিকম্প এর আগে কখনও দেখিনি।

ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ও রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। তবে এর তীব্রতা ছিল লক্ষণীয়।

ভূমিকম্প শুরু হতেই শহরের বিভিন্ন বহুতল ভবন থেকে মানুষজন দ্রুত নিচে নেমে আসতে শুরু করেন। অফিস, স্কুল ও বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোতে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা শায়লা পারভীন বলেন, আমি রান্নাঘরে ছিলাম। হঠাৎ মনে হলো মেঝে দুলছে, প্রথমে বুঝিনি। যখন দেখি জিনিসপত্র পড়ে যাচ্ছে, তখন দৌড়ে নিচে নামি। ২০ বছরের জীবনে এমন কাঁপন দেখিনি।

গুলশানের একটি বহুতল ভবনের নিরাপত্তাকর্মী রফিক মিয়া জানান, বিল্ডিংটা এতো জোরে দুলছিল যে আমরা সবাই ভয়ে জমে গিয়েছিলাম। সবাই চিৎকার করতে করতে নিচে নামছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা ঢাকা পোস্টকে ভূমিকম্পের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আজ সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি, আতঙ্কিত না হয়ে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করুন।

আফটার শকের সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ফারজানা সুলতানা বলেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী— এই ধরনের ভূমিকম্পের পর ছোটখাটো আফটার শকের সম্ভাবনা থাকতেই পারে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এখন পর্যন্ত তেমন সম্ভাবনা আমরা দেখতে পাইনি।

এর আগে, চলতি বছরের ৫ মার্চ রাজধানীতে মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল৷

রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। তারও আগে ২৮ মে বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ২টা ২৪ মিনিটে ভারতের মণিপুর রাজ্যের মোইরাং শহরের কাছাকাছি আরেকটি ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। সেসময়ও ভূমিকম্পের দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলসহ রাজধানী ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলায় হালকা কম্পন অনুভূত হয়েছিল।