ঢাকা ০৬:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

তিন দিন ধরে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের শত শত ফ্লাইট বাতিল

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৩:৪২:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫ বার দেখা হয়েছে

টানা তিন দিন ধরে একের পর এক ফ্লাইট বাতিল করছে ভারতীয় বিমান পরিষেবা সংস্থা ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স। এতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন লক্ষাধিক যাত্রী।

পরিষেবা ও যাত্রীসংখ্যার বিবেচনায় বর্তমানে ভারতের বৃহত্তম বিমান পরিষেবা সংস্থা ইন্ডিগো। আজ শুক্রবার ৬০০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে ইন্ডিগো। আগের দিন বৃহস্পতিবার বাতিল করেছিল ৫৫০টি ফ্লাইট। পূর্ব নোটিশ ছাড়া ফ্লাইট বাতিল করায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।

যাত্রীদের এই ভোগান্তি অবশ্য চলছে বেশ কয়েক দিন ধরেই। বৃহস্পতিবার দিনভর এবং শুক্রবার সকালে দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে সার্বিক অব্যবস্থাই লক্ষ্য করা গেছে। ইন্ডিগোর যাত্রীদের অভিযোগ, খাবার এবং আশ্রয় ছাড়াই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন তারা। কিন্তু ঠিক কোন সময়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যের ফ্লাইট ছাড়বে, তা বিমানসংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে না। অন্য দিকে, এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অন্য বিমানসংস্থাগুলি বিমানের টিকিটের দাম হু হু করে করে বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।

কেন বেশি সমস্যায় ইন্ডিগো

অন্যান্য বিমান পরিষেবা সংস্থার তুলনায় ইন্ডিগো সস্তায় বিমান পরিষেবা দিয়ে থাকে যাত্রীদের। পরিষেবা প্রদানের বিচারে ভারতের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে সমৃদ্ধ পরিষেবা সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার তুলনায় অনেক এগিয়ে রয়েছে ইন্ডিগো। দেশের ৯০টি এবং বিদেশের ৪৫টি বিমানবন্দরে পরিষেবা দিয়ে থাকে তারা।

ইন্ডিগোর অনেক বিমানই রাতে অবতরণ করে। তাই নতুন বিধিতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে এই বিমানসংস্থাই। এ বিধি মেনে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে যত সংখ্যক কর্মী এবং পাইলট প্রয়োজন, বর্তমানে তা ইন্ডিগোর নেই। পাইলট এবং কর্মী অপ্রতুলতার কথা স্বীকার করে ইতিমধ্যেই যাত্রীদের কাছে একাধিক বার ক্ষমাও চেয়েছে ইন্ডিগো।

তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রীয় সরকারের

বৃহস্পতিবার রাতে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে পরিষেবার উপর ‘নেতিবাচক প্রভাব’ পড়ার জন্য প্রযুক্তিগত ত্রুটি, শীতকালীন সময়সূচি পরিবর্তন, প্রতিকূল আবহাওয়া, বিমান ব্যবস্থায় ক্রমবর্ধমান যানজট এবং বিমানকর্মীদের কাজের সংশোধিত সময়সূচিকে দায়ী করেছে ইন্ডিগো। তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়।

জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল

তিন দিন ধরে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের শত শত ফ্লাইট বাতিল

প্রকাশিত : ০৩:৪২:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

টানা তিন দিন ধরে একের পর এক ফ্লাইট বাতিল করছে ভারতীয় বিমান পরিষেবা সংস্থা ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স। এতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন লক্ষাধিক যাত্রী।

পরিষেবা ও যাত্রীসংখ্যার বিবেচনায় বর্তমানে ভারতের বৃহত্তম বিমান পরিষেবা সংস্থা ইন্ডিগো। আজ শুক্রবার ৬০০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে ইন্ডিগো। আগের দিন বৃহস্পতিবার বাতিল করেছিল ৫৫০টি ফ্লাইট। পূর্ব নোটিশ ছাড়া ফ্লাইট বাতিল করায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।

যাত্রীদের এই ভোগান্তি অবশ্য চলছে বেশ কয়েক দিন ধরেই। বৃহস্পতিবার দিনভর এবং শুক্রবার সকালে দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে সার্বিক অব্যবস্থাই লক্ষ্য করা গেছে। ইন্ডিগোর যাত্রীদের অভিযোগ, খাবার এবং আশ্রয় ছাড়াই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন তারা। কিন্তু ঠিক কোন সময়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যের ফ্লাইট ছাড়বে, তা বিমানসংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে না। অন্য দিকে, এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অন্য বিমানসংস্থাগুলি বিমানের টিকিটের দাম হু হু করে করে বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।

কেন বেশি সমস্যায় ইন্ডিগো

অন্যান্য বিমান পরিষেবা সংস্থার তুলনায় ইন্ডিগো সস্তায় বিমান পরিষেবা দিয়ে থাকে যাত্রীদের। পরিষেবা প্রদানের বিচারে ভারতের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে সমৃদ্ধ পরিষেবা সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার তুলনায় অনেক এগিয়ে রয়েছে ইন্ডিগো। দেশের ৯০টি এবং বিদেশের ৪৫টি বিমানবন্দরে পরিষেবা দিয়ে থাকে তারা।

ইন্ডিগোর অনেক বিমানই রাতে অবতরণ করে। তাই নতুন বিধিতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে এই বিমানসংস্থাই। এ বিধি মেনে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে যত সংখ্যক কর্মী এবং পাইলট প্রয়োজন, বর্তমানে তা ইন্ডিগোর নেই। পাইলট এবং কর্মী অপ্রতুলতার কথা স্বীকার করে ইতিমধ্যেই যাত্রীদের কাছে একাধিক বার ক্ষমাও চেয়েছে ইন্ডিগো।

তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রীয় সরকারের

বৃহস্পতিবার রাতে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে পরিষেবার উপর ‘নেতিবাচক প্রভাব’ পড়ার জন্য প্রযুক্তিগত ত্রুটি, শীতকালীন সময়সূচি পরিবর্তন, প্রতিকূল আবহাওয়া, বিমান ব্যবস্থায় ক্রমবর্ধমান যানজট এবং বিমানকর্মীদের কাজের সংশোধিত সময়সূচিকে দায়ী করেছে ইন্ডিগো। তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়।