ঢাকা ০৬:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫

সার সংকটে তরমুজ চাষিরা, দুশ্চিন্তায় কৃষকরা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৪:০০:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ২ বার দেখা হয়েছে

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:  পটুয়াখালীতে তরমুজ মৌসুম শুরুর দিকেই সার সংকটে পড়েছেন চাষিরা। প্রয়োজনের তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় অনেকেই বেশি দামে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি ডিসেম্বরের জন্য জেলায় বিভিন্ন প্রকার সারের চাহিদা ধরা হয়েছে ২৬ হাজার ৪০০ টন। কিন্তু সরবরাহ হয়েছে মাত্র ৪ হাজার ২৪২ টন। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন উপকূলীয় এলাকার তরমুজচাষিরা।

পটুয়াখালীর তরমুজ দেশের বাজারে আকারে বড়, সুস্বাদু ও সুমিষ্ট হওয়ায় এর চাহিদা সব সময়ই বেশি। গত বছর জেলায় ২৭ হাজার ৩২৬ হেক্টর জমিতে তরমুজ উৎপাদন হয়েছিল ৮ লাখ ৭৪ হাজার মেট্রিক টন, যার বাজারমূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৩ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা।

চাষিরা জানান, প্রতি একর জমিতে টিএসপি, ইউরিয়া মিলিয়ে ১০ থেকে ১২ বস্তা সার দরকার হয়। কিন্তু এ মৌসুমে প্রয়োজনমতো সার পাওয়া যাচ্ছে না।
রাঙ্গাবালীর চর নজির এলাকার কৃষক মাসুদ ফকির বলেন, “এবার ৩ একর ২২ শতাংশ জমিতে তরমুজ করছি। কমপক্ষে ৪০ বস্তা সার দরকার। এখন পর্যন্ত মাত্র ১০ বস্তা পেয়েছি, তাও বেশি দামে। ইউরিয়া আর টিএসপি দুটোই ১ হাজার ৫০০ টাকায় কিনতে হয়েছে।”

সরকারি নির্ধারিত দাম অনুযায়ী ৫০ কেজির প্রতি বস্তা ইউরিয়া ও টিএসপি—দু’টোরই দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা।
কলাপাড়ার বানাতিপাড়ার কৃষক রুহুল আমিন জানান, “আমরা ১০ জন মিলে ৫০ একর জমিতে আবাদ করেছি। ৫০০ বস্তা সার দরকার, পেয়েছি মাত্র ১০০ বস্তা। সার না পেলে উৎপাদন কমে যাবে।”

রাঙ্গাবালীর ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের সার ব্যবসায়ী কামাল পাশা বলেন, “চাহিদা দিয়ে সার পাই না। ২০০ বস্তা চেয়ে মাত্র ৪০ বস্তা পেয়েছি।”
মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা জানান, অনেকে তাদের পরামর্শ না নিয়ে অধিক ফলনের আশায় অতিরিক্ত সার ব্যবহার করেন। মৌসুমের শুরুতেই একসঙ্গে সার কেনার প্রবণতাও সংকট বাড়ায়। ধাপে ধাপে সার তুললে এ সমস্যার সুযোগ পেত না ব্যবসায়ীরা।

পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. আমিনুল ইসলাম বলেন,“জেলায় সার সংকট আছে—এমন তথ্য আমার কাছে নেই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। সরকার নির্ধারিত দামের বেশি নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তিনি আরও জানান, সময়মতো আবাদ অনুযায়ী ধাপে ধাপে সার সংগ্রহ করলে সমস্যা হবে না। তরমুজ মৌসুমের জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে, ফলে সংকটের আশঙ্কা নেই।

সার সংকটে তরমুজ চাষিরা, দুশ্চিন্তায় কৃষকরা

প্রকাশিত : ০৪:০০:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:  পটুয়াখালীতে তরমুজ মৌসুম শুরুর দিকেই সার সংকটে পড়েছেন চাষিরা। প্রয়োজনের তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় অনেকেই বেশি দামে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি ডিসেম্বরের জন্য জেলায় বিভিন্ন প্রকার সারের চাহিদা ধরা হয়েছে ২৬ হাজার ৪০০ টন। কিন্তু সরবরাহ হয়েছে মাত্র ৪ হাজার ২৪২ টন। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন উপকূলীয় এলাকার তরমুজচাষিরা।

পটুয়াখালীর তরমুজ দেশের বাজারে আকারে বড়, সুস্বাদু ও সুমিষ্ট হওয়ায় এর চাহিদা সব সময়ই বেশি। গত বছর জেলায় ২৭ হাজার ৩২৬ হেক্টর জমিতে তরমুজ উৎপাদন হয়েছিল ৮ লাখ ৭৪ হাজার মেট্রিক টন, যার বাজারমূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৩ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা।

চাষিরা জানান, প্রতি একর জমিতে টিএসপি, ইউরিয়া মিলিয়ে ১০ থেকে ১২ বস্তা সার দরকার হয়। কিন্তু এ মৌসুমে প্রয়োজনমতো সার পাওয়া যাচ্ছে না।
রাঙ্গাবালীর চর নজির এলাকার কৃষক মাসুদ ফকির বলেন, “এবার ৩ একর ২২ শতাংশ জমিতে তরমুজ করছি। কমপক্ষে ৪০ বস্তা সার দরকার। এখন পর্যন্ত মাত্র ১০ বস্তা পেয়েছি, তাও বেশি দামে। ইউরিয়া আর টিএসপি দুটোই ১ হাজার ৫০০ টাকায় কিনতে হয়েছে।”

সরকারি নির্ধারিত দাম অনুযায়ী ৫০ কেজির প্রতি বস্তা ইউরিয়া ও টিএসপি—দু’টোরই দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা।
কলাপাড়ার বানাতিপাড়ার কৃষক রুহুল আমিন জানান, “আমরা ১০ জন মিলে ৫০ একর জমিতে আবাদ করেছি। ৫০০ বস্তা সার দরকার, পেয়েছি মাত্র ১০০ বস্তা। সার না পেলে উৎপাদন কমে যাবে।”

রাঙ্গাবালীর ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের সার ব্যবসায়ী কামাল পাশা বলেন, “চাহিদা দিয়ে সার পাই না। ২০০ বস্তা চেয়ে মাত্র ৪০ বস্তা পেয়েছি।”
মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা জানান, অনেকে তাদের পরামর্শ না নিয়ে অধিক ফলনের আশায় অতিরিক্ত সার ব্যবহার করেন। মৌসুমের শুরুতেই একসঙ্গে সার কেনার প্রবণতাও সংকট বাড়ায়। ধাপে ধাপে সার তুললে এ সমস্যার সুযোগ পেত না ব্যবসায়ীরা।

পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. আমিনুল ইসলাম বলেন,“জেলায় সার সংকট আছে—এমন তথ্য আমার কাছে নেই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। সরকার নির্ধারিত দামের বেশি নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তিনি আরও জানান, সময়মতো আবাদ অনুযায়ী ধাপে ধাপে সার সংগ্রহ করলে সমস্যা হবে না। তরমুজ মৌসুমের জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে, ফলে সংকটের আশঙ্কা নেই।