ঢাকা ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

উত্তাল সারাদেশ ওসমান হাদিকে গুলির প্রতিবাদে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১২:১১:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৩ বার দেখা হয়েছে

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে ফুঁসে উঠেছে ছাত্র-জনতা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দেশের প্রায় সব জেলাতেই বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, মশাল মিছিল, সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এসব কর্মসূচিতে অংশ নেন জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধা, ছাত্র সংগঠন, রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ।

লক্ষ্মীপুরে বিক্ষোভ

শুক্রবার রাতে চকবাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উত্তর তেমুহনী গিয়ে শেষ হয়। ইসলামী আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, ছাত্রশিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। শিবির নেতা ফরিদ উদ্দিন বলেন, ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়নি, গুলি করা হয়েছে জুলাই শক্তিকে। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।

কুমিল্লায় শিবিরের বিক্ষোভ

কুমিল্লা মহানগর ছাত্রশিবির টমছমব্রিজ থেকে কান্দির পাড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করে। “হাদীর ওপর গুলি কেন, প্রশাসন জবাব চাই” স্লোগানে মুখর ছিল পুরো এলাকা। নেতারা বলেন, প্রকাশ্যে গুলি করে গণতান্ত্রিক কণ্ঠস্বরকে দমন করা যাবে না।

মাদারীপুরে বৃহত্তর রাজনৈতিক শক্তির সমাবেশ

শকুনি লেকপাড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বলেন, একজন হাদিকে আক্রমণ করলেই পথ পরিষ্কার হবে- এ ধারণা ভুল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

কুড়িগ্রামে সড়ক অবরোধ

বিজয় স্তম্ভ থেকে মিছিল শেষে শাপলা চত্বরে সমাবেশ হয়। বিক্ষোভকারীরা কুড়িগ্রাম-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালান। বক্তারা বলেন, হাদির মাথায় গুলি মানে ছাত্র-জনতার মাথায় গুলি।

জয়পুরহাটে মশাল মিছিল

শহীদ ডা. আবুল কাশেম ময়দান থেকে মশাল মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। নেতারা বলেন, হামলা শুধু একজন প্রার্থীর ওপর নয়-এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ভীতি প্রদর্শনের অপচেষ্টা।

রাজবাড়ীতে উত্তাল মশাল মিছিল

প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মশাল মিছিল বের হয়ে শহীদ স্মৃতি চত্বরে সমাবেশে মিলিত হয়। বক্তারা বলেন, নির্বাচনের তফসিলের পরই হামলা থেকে পরিষ্কার- নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে কর্তৃপক্ষ।

পটুয়াখালীতে শিক্ষার্থীদের মিছিল

ঝাউতলা থেকে সোনালী ব্যাংক মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল হয়। বক্তারা বলেন, হাদির ওপর হামলা পূর্বপরিকল্পিত ও নব্য ফ্যাসিবাদী তৎপরতার অংশ। হামলাকারীদের প্রকাশ্যে শাস্তির দাবি তোলেন তারা।

ঝিনাইদহে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র জোটের বিক্ষোভ

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বের হওয়া মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তারা দ্রুত গ্রেপ্তার না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

উত্তাল সারাদেশ ওসমান হাদিকে গুলির প্রতিবাদে

প্রকাশিত : ১২:১১:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে ফুঁসে উঠেছে ছাত্র-জনতা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দেশের প্রায় সব জেলাতেই বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, মশাল মিছিল, সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এসব কর্মসূচিতে অংশ নেন জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধা, ছাত্র সংগঠন, রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ।

লক্ষ্মীপুরে বিক্ষোভ

শুক্রবার রাতে চকবাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উত্তর তেমুহনী গিয়ে শেষ হয়। ইসলামী আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, ছাত্রশিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। শিবির নেতা ফরিদ উদ্দিন বলেন, ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়নি, গুলি করা হয়েছে জুলাই শক্তিকে। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।

কুমিল্লায় শিবিরের বিক্ষোভ

কুমিল্লা মহানগর ছাত্রশিবির টমছমব্রিজ থেকে কান্দির পাড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করে। “হাদীর ওপর গুলি কেন, প্রশাসন জবাব চাই” স্লোগানে মুখর ছিল পুরো এলাকা। নেতারা বলেন, প্রকাশ্যে গুলি করে গণতান্ত্রিক কণ্ঠস্বরকে দমন করা যাবে না।

মাদারীপুরে বৃহত্তর রাজনৈতিক শক্তির সমাবেশ

শকুনি লেকপাড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বলেন, একজন হাদিকে আক্রমণ করলেই পথ পরিষ্কার হবে- এ ধারণা ভুল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

কুড়িগ্রামে সড়ক অবরোধ

বিজয় স্তম্ভ থেকে মিছিল শেষে শাপলা চত্বরে সমাবেশ হয়। বিক্ষোভকারীরা কুড়িগ্রাম-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালান। বক্তারা বলেন, হাদির মাথায় গুলি মানে ছাত্র-জনতার মাথায় গুলি।

জয়পুরহাটে মশাল মিছিল

শহীদ ডা. আবুল কাশেম ময়দান থেকে মশাল মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। নেতারা বলেন, হামলা শুধু একজন প্রার্থীর ওপর নয়-এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ভীতি প্রদর্শনের অপচেষ্টা।

রাজবাড়ীতে উত্তাল মশাল মিছিল

প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মশাল মিছিল বের হয়ে শহীদ স্মৃতি চত্বরে সমাবেশে মিলিত হয়। বক্তারা বলেন, নির্বাচনের তফসিলের পরই হামলা থেকে পরিষ্কার- নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে কর্তৃপক্ষ।

পটুয়াখালীতে শিক্ষার্থীদের মিছিল

ঝাউতলা থেকে সোনালী ব্যাংক মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল হয়। বক্তারা বলেন, হাদির ওপর হামলা পূর্বপরিকল্পিত ও নব্য ফ্যাসিবাদী তৎপরতার অংশ। হামলাকারীদের প্রকাশ্যে শাস্তির দাবি তোলেন তারা।

ঝিনাইদহে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র জোটের বিক্ষোভ

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বের হওয়া মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তারা দ্রুত গ্রেপ্তার না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন।