ঢাকা ০৩:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ডোনাল্ড লুর বিদায়

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৫:৪২:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৮৫ বার দেখা হয়েছে

আলোচিত কূটনীতিক মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর মেয়াদ শেষ হয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার আগে ১৭ জানুয়ারি দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি পদে তার মেয়াদের অবসান ঘটে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে এক বার্তায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সহকারী সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করে আসা লু’র মেয়াদ ১৭ জানুয়ারি শেষ হয়েছে।

ডোনাল্ড লু দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক কূটনীতিক হলেও তিনি বহুল পরিচিত ছিলেন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের আগে ও পরে ডোনাল্ড লু দুই দফায় ঢাকা সফর করেন।

পাকিস্তানের রাজনীতিতেও তার প্রভাব ছিল বলে মনে করা হয়। তাকে ইমরান খানের ‘সরকারের পতনের কারিগর’ বলে মনে করে তার দল পিটিআই। যদিও তা বরাবরই নাকচ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র পফতর।

ডোনাল্ড লু গত বছরের মে মাসে বাংলাদেশ সফরে আসেন। তার ওই সেই সফরের আগে ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে ‘ডামি’ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনের আগে কিছু সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সেসময় সতর্কতা দিয়ে বলা হয়, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে যারা বাধা হবেন তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

হাসিনা সরকারের পতনের পর গত সেপ্টেম্বরে আবার ঢাকায় আসেন ডোনাল্ড লু। সেসময় অবশ্য তার সঙ্গে আরও কিছু ঊর্ধ্বতন কূটনীতিক এসেছিলেন।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, স্থিতিশীলতা, সুশাসন এবং উন্নয়নের প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে তা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেন লুসহ মার্কিন কূটনীতিকরা।

২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন জো বাইডেন। তিনি ক্ষমতায় বসার প্রায় আট মাসের মাথায় ডোনাল্ড লু যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনের মেয়াদ শেষ হয় ২০ জানুয়ারি। একই দিন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্ব নেওয়ার তিন দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ডোনাল্ড লুর মেয়াদ শেষ হয়।

৩০ বছরের বেশি সময় মার্কিন সরকারে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে ডোনাল্ড লুর। এই সময়কালে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কিরগিজ প্রজাতন্ত্রে এবং ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আলবেনিয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে পুলিশ সক্ষমতা প্রমাণ করতে চায়

যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ডোনাল্ড লুর বিদায়

প্রকাশিত : ০৫:৪২:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

আলোচিত কূটনীতিক মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর মেয়াদ শেষ হয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার আগে ১৭ জানুয়ারি দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি পদে তার মেয়াদের অবসান ঘটে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে এক বার্তায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সহকারী সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করে আসা লু’র মেয়াদ ১৭ জানুয়ারি শেষ হয়েছে।

ডোনাল্ড লু দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক কূটনীতিক হলেও তিনি বহুল পরিচিত ছিলেন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের আগে ও পরে ডোনাল্ড লু দুই দফায় ঢাকা সফর করেন।

পাকিস্তানের রাজনীতিতেও তার প্রভাব ছিল বলে মনে করা হয়। তাকে ইমরান খানের ‘সরকারের পতনের কারিগর’ বলে মনে করে তার দল পিটিআই। যদিও তা বরাবরই নাকচ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র পফতর।

ডোনাল্ড লু গত বছরের মে মাসে বাংলাদেশ সফরে আসেন। তার ওই সেই সফরের আগে ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে ‘ডামি’ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনের আগে কিছু সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সেসময় সতর্কতা দিয়ে বলা হয়, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে যারা বাধা হবেন তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

হাসিনা সরকারের পতনের পর গত সেপ্টেম্বরে আবার ঢাকায় আসেন ডোনাল্ড লু। সেসময় অবশ্য তার সঙ্গে আরও কিছু ঊর্ধ্বতন কূটনীতিক এসেছিলেন।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, স্থিতিশীলতা, সুশাসন এবং উন্নয়নের প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে তা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেন লুসহ মার্কিন কূটনীতিকরা।

২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন জো বাইডেন। তিনি ক্ষমতায় বসার প্রায় আট মাসের মাথায় ডোনাল্ড লু যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনের মেয়াদ শেষ হয় ২০ জানুয়ারি। একই দিন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্ব নেওয়ার তিন দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ডোনাল্ড লুর মেয়াদ শেষ হয়।

৩০ বছরের বেশি সময় মার্কিন সরকারে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে ডোনাল্ড লুর। এই সময়কালে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কিরগিজ প্রজাতন্ত্রে এবং ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আলবেনিয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।