ঢাকা ০১:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

মিরপুর রোডে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের বিক্ষোভ, যান চলাচল বন্ধ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০১:৪৭:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৭২ বার দেখা হয়েছে

সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে রাজধানীর মিরপুর রোডের শিশুমেলার কাছে তিন রাস্তার মোড়ে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহতরা।

আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন আহত ও তাদের স্বজনেরা।

সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভের কারণে যান চলাচল বন্ধ আছে, এতে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। তাতে মিরপুর রোডের উভয় দিকের পাশাপাশি শ্যামলী থেকে আগারগাঁও সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। মিরপুর রোডের দুই পাশেই বিপুল সংখ্যক যানবাহন আটকে থাকতে দেখা গেছে। পুলিশ সদস্যরা আসাদগেট থেকে গাবতলী-মিরপুরগামী যানবাহনগুলোকে মোহাম্মদপুরের ভেতর দিয়ে ঘুরিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

এর আগে শনিবার রাত থেকেই জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।

পঙ্গু হাসপাতাল, নিউ সায়েন্স ও চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালসহ আশপাশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শতাধিক আহত ব্যক্তি রাস্তায় নেমে এসেছেন। সড়কে শুয়ে অনেকেই স্লোগান দিচ্ছেন। কেউ কেউ স্ট্রেচারে ভর করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। তারা নানা ধরনের বৈষম্যবিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন।

মো. নেসারউদ্দিন নাঈম নামে বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, ছাত্রজনতার আন্দোলনে আমরা সামনের সারিতে ছিলাম। আজকে দীর্ঘ ৫ মাস পরও দেখা যাচ্ছে সরকার বিভিন্ন কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছে। আমাদেরই সরকার কিন্তু আমাদের দিকেই তাকানোর তাদের সময় নাই। এটা তো হতে পারে না। যার হাত পা না গেছে সে তো বুঝবে না আমাদের কষ্ট। আজকে ছয়- সাত মাস আমাদের কোনো কাজ নাই।

চোখে গুলি লাগা রেদোয়ান সিদ্দিকি বলেন, আমার চোখে গুলি লেগেছে। রাতে চোখে ব্যথার যন্ত্রণায় ঘুম হয় না। তিনি আরও বলেন, আহতদের পুনর্বাসন করতে হবে। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে। তার আগ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। আমাদের হেলথ কার্ড করা হয়েছে, সেটি কোথায়। আমরা চাই আহতদের সঠিক চিকিৎসা। প্রয়োজনে দেশের বাইরে নিতে হলে সেটাও যেন সরকার করে।

সড়কে অবস্থান নেওয়া নাঈম শেখ নামে একজন বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত আশ্বাস পাইছি, কিন্তু কোনো আশ্বাসের বাস্তবায়ন হয়নি। গতকাল রাতে রাস্তায় নামছি, কিন্তু এখনও আমাদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। দাবি পূরণের ব্যবস্থা নেয়নি।

ডিএমপির শেরেবাংলা নগর ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার উদয় কুমার সাহা বলেন, আগারগাঁও থেকে শ্যামলী ও শিশুমেলাগামী ছোট গাড়িগুলো ৬০ ফিট দিয়ে ঘুরিয়ে দিচ্ছি, আর বড় গাড়িগুলো পাসপোর্ট অফিসের সামনে দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর যেহেতু এখন শিশুমেলায় মিরপুরের মেইন রোড বন্ধ করে দিয়েছে, এখন ইনকামিং গাড়িগুলো আসা সম্ভব হচ্ছে না।

নেইমার বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নে নতুন ধাক্কা খেলেন

মিরপুর রোডে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের বিক্ষোভ, যান চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত : ০১:৪৭:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে রাজধানীর মিরপুর রোডের শিশুমেলার কাছে তিন রাস্তার মোড়ে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহতরা।

আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন আহত ও তাদের স্বজনেরা।

সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভের কারণে যান চলাচল বন্ধ আছে, এতে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। তাতে মিরপুর রোডের উভয় দিকের পাশাপাশি শ্যামলী থেকে আগারগাঁও সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। মিরপুর রোডের দুই পাশেই বিপুল সংখ্যক যানবাহন আটকে থাকতে দেখা গেছে। পুলিশ সদস্যরা আসাদগেট থেকে গাবতলী-মিরপুরগামী যানবাহনগুলোকে মোহাম্মদপুরের ভেতর দিয়ে ঘুরিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

এর আগে শনিবার রাত থেকেই জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।

পঙ্গু হাসপাতাল, নিউ সায়েন্স ও চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালসহ আশপাশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শতাধিক আহত ব্যক্তি রাস্তায় নেমে এসেছেন। সড়কে শুয়ে অনেকেই স্লোগান দিচ্ছেন। কেউ কেউ স্ট্রেচারে ভর করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। তারা নানা ধরনের বৈষম্যবিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন।

মো. নেসারউদ্দিন নাঈম নামে বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, ছাত্রজনতার আন্দোলনে আমরা সামনের সারিতে ছিলাম। আজকে দীর্ঘ ৫ মাস পরও দেখা যাচ্ছে সরকার বিভিন্ন কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছে। আমাদেরই সরকার কিন্তু আমাদের দিকেই তাকানোর তাদের সময় নাই। এটা তো হতে পারে না। যার হাত পা না গেছে সে তো বুঝবে না আমাদের কষ্ট। আজকে ছয়- সাত মাস আমাদের কোনো কাজ নাই।

চোখে গুলি লাগা রেদোয়ান সিদ্দিকি বলেন, আমার চোখে গুলি লেগেছে। রাতে চোখে ব্যথার যন্ত্রণায় ঘুম হয় না। তিনি আরও বলেন, আহতদের পুনর্বাসন করতে হবে। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে। তার আগ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। আমাদের হেলথ কার্ড করা হয়েছে, সেটি কোথায়। আমরা চাই আহতদের সঠিক চিকিৎসা। প্রয়োজনে দেশের বাইরে নিতে হলে সেটাও যেন সরকার করে।

সড়কে অবস্থান নেওয়া নাঈম শেখ নামে একজন বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত আশ্বাস পাইছি, কিন্তু কোনো আশ্বাসের বাস্তবায়ন হয়নি। গতকাল রাতে রাস্তায় নামছি, কিন্তু এখনও আমাদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। দাবি পূরণের ব্যবস্থা নেয়নি।

ডিএমপির শেরেবাংলা নগর ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার উদয় কুমার সাহা বলেন, আগারগাঁও থেকে শ্যামলী ও শিশুমেলাগামী ছোট গাড়িগুলো ৬০ ফিট দিয়ে ঘুরিয়ে দিচ্ছি, আর বড় গাড়িগুলো পাসপোর্ট অফিসের সামনে দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর যেহেতু এখন শিশুমেলায় মিরপুরের মেইন রোড বন্ধ করে দিয়েছে, এখন ইনকামিং গাড়িগুলো আসা সম্ভব হচ্ছে না।