ঢাকা ১১:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

পটুয়াখালীতে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা উপকূলে বীজতলা পানিতে ডুবেছে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৬:৫৬:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
  • ৪ বার দেখা হয়েছে

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :

পটুয়াখালীতে গত পাঁচদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে । তবে সোমবার সন্ধ্যা থেকে টানা বৃষ্টির কারণে শহরের নিন্মাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে ঘরবাড়ি, সড়ক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌরবাসী।
এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে জেলার উপকূলীয় রাঙ্গাবালী উপজেলাসহ উপকূলের নিন্মাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অধিকাংশ খালে বাঁধ, জলকপাট অকেজোসহ পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা অপ্রতুল হওয়ায় তলিয়ে যাচ্ছে কৃষি খেত। ডুবে গেছে আমন বীজলা। পানি বন্দী হয়ে পড়ছে নিন্মাঞ্চলের বাসিন্দারা।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার বেলা ১২ টা থেকে আজ মঙ্গলবার বেলা ১২ পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ২২৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। পটুয়াখালী আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ মাহাবুবা খুশী বলেন, জেলায় আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ভারী বর্ষণে পটুয়াখালী শহরের অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে রয়েছে শহরের নিচু সড়ক ও আশপাশের এলাকাগুলো হাঁটুসমান পানিতে ডুবে রয়েছে।
এর মধ্যে শহরের নতুন বাজার, সদর রোড, চরপাড়া, জুবিলী স্কুল সড়ক, মহিলা কলেজ,কালেক্টরেট স্কুল, কলেজ রোড, এসডিও রোড, পোস্ট অফিস সড়ক, সবুজবাগ, তিতাস সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকা ও পুরানবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার বসতবাড়ি, দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়েছে । জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় জমে থাকা পানি নামছে ধীরগতিতে। জলাবদ্ধতার কারণে শহরের শেরেবাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আজকের অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে।
শহরের পোস্ট অফিস সড়ক এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সুমন কুমার বলেন, শহর রক্ষা বাঁধ দিয়ে পানি ধীরগতিতে নামার কারনে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে গুভোংগে পড়ছেন তারা। দোকানের ভিতরে পানি ঢুকে পড়ে। মালামালের ক্ষতি হচ্ছে।
এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে শহরের রাস্তা ঘাটে যান চলাচল অনেকটা কমে গেছে। বিশেষ করে রিকশাচালক ও দিনমজুররা ভিজেপুড়ে দারুন কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

পটুয়াখালী পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পানি নিষ্কাশনের কাজ এবং ড্রেন পরিষ্কার করতে দেখা গেছে। কর্মকর্তারা জানান, টানা ভারী বর্ষণের কারণে পানি দ্রুত নামছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

এদিকে টানা ভারী বৃষ্টিতে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকার নিন্মাঞ্চলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। খেতের আমন বীজতলা ডুবে গেছে। জলাবদ্ধার কারনে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে নিন্মাঞ্চলের বাসিন্দারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার রাঙ্গাবালীর নিন্মাঞ্চল বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। আগুনমুখা নদীর পাড়ে ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া, নয়াভাঙ্গনী, সাজিরহাওলা, ফুলখালীসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে। ঘর থেকে বেরুতেই হাটু সমান পানি পাড়ি দিয়ে চলতে হচ্ছে তাদের। নয়াভংগুনি গ্রামের বাসিন্দা জাকারিয়া জীবন জানায়, তাদের এলাকার সরকারি খালগুলো স্থানীয়রা বাঁধ দিয়ে পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করছেন। বাঁধের কারনে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়। এই বাঁধগুলো যদি কেটে না দেওয়া হয়। তাহলে আমাদের ভোগান্তির কোনো শেষ নাই। বৃষ্টির পানিতে গত দুইদিন ধরে আমন বীজতলা ডুবে রয়েছে। খালের বাঁধ অপসারন না করলে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে তাদের ফসল ফলাতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

একই এলাকার বাসিন্দারা মো,সেলিম বলেন, বৃষ্টির পানিতে আমাদের রান্নার ঘর তলিয়ে গেছে। আমার যে রান্না করে খাবো সেই সুযোগ আমাদের নাই। এখন বৃষ্টির কারণে পানি শুধু বাড়ছে কিন্তু কমে না কারণে আমাদের এলাকার নদীর পাড়ের স্লুইস গেট দিয়ে পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। আমরা এর একটা সমাধান চাই।
এছাড়াও রাঙ্গাবালীর সদর, চালিতাবুনিয়া, মৌডুবি, বড়বাইশদিয়া চরেমোন্তজ ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চলও বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। ভোগান্তির পাশাপাশি মৌসুমের আমন বীজতলা নিয়েও তারা শংকিত রয়েছেন।
রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো, আসাদুজ্জামান জানান, বৃষ্টির জলাবদ্ধতায় তাদের কমপক্ষে ৫০০ হেক্টর আমন বীজতলা ডুবে রয়েছে। এলাকার খালগুলো অনেক আগে থেকেই বাঁধের কারণে আবার অনেক খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানির স্বাভাবিক চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়াও এখন জোয়ারের পানির প্রবল চাপ থাকায় পানি নামছে না। কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগ থেকেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খেত থেকে পানি সরাতে কৃষকদের নিয়ে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
রাঙ্গাবালী উপজেলার পাশাপাশি টানা ভারী বৃষ্টিতে জেলার অন্যান্য উপজেলার নিন্মাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। খেতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। জেলার গলাচিপার চরকাজল ও চরবিশ্বাস এলাকার নিন্মাঞ্চলের জলাবদ্ধতার কারনে আমন বীজতলা ডুবে রয়েছে। চরকাজলের কৃষক আলম প্যাদা জানান, এক সপ্তাহ আগে তার বীজতলা শেষ হয়েছে। বীজ থেকে অঙ্কুর গজানোর আগেই তার বেীজতলা খেত বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানায়, খেতের পানি খালের মাধ্যমে নিস্কাশন হয়ে আসছে। তবে জলকপাটগুলো দখলসহ পানি ওঠানামা না করার ফলে অনেকটা অকেজো হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় অতিবৃষ্টিপাত হলেউ জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।
জলাবদ্ধাতার কারণে আমন বীজতলা নিয়ে কৃষকরা ক্ষতির আশংকা করছেন ।
পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম শামীম জানান, এ মৌসুমে জেলায় এক লক্ষ ৯০ হাজার ১১৫ হেক্টর আমন আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে । এর জন্য বীজতলা প্রয়োজন ১৩ হাজার ৮০০ হেক্টর। এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৬৫০ হেক্টর আমন বীজলা হয়েছে।
তিনি জানান, টানা বৃষ্টিতে আমন বীজতলা জলাবদ্ধতায় আত্রান্ত হয়েছে । দীর্ঘদিন পানিতে ডুবে থাকলে ক্ষতির আশংকা থাকবে। তবে পানি সরে যাচ্ছে তাই ক্ষতির হবে না বলেই মনে হচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালীতে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা উপকূলে বীজতলা পানিতে ডুবেছে

প্রকাশিত : ০৬:৫৬:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :

পটুয়াখালীতে গত পাঁচদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে । তবে সোমবার সন্ধ্যা থেকে টানা বৃষ্টির কারণে শহরের নিন্মাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে ঘরবাড়ি, সড়ক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌরবাসী।
এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে জেলার উপকূলীয় রাঙ্গাবালী উপজেলাসহ উপকূলের নিন্মাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অধিকাংশ খালে বাঁধ, জলকপাট অকেজোসহ পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা অপ্রতুল হওয়ায় তলিয়ে যাচ্ছে কৃষি খেত। ডুবে গেছে আমন বীজলা। পানি বন্দী হয়ে পড়ছে নিন্মাঞ্চলের বাসিন্দারা।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার বেলা ১২ টা থেকে আজ মঙ্গলবার বেলা ১২ পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ২২৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। পটুয়াখালী আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ মাহাবুবা খুশী বলেন, জেলায় আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ভারী বর্ষণে পটুয়াখালী শহরের অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে রয়েছে শহরের নিচু সড়ক ও আশপাশের এলাকাগুলো হাঁটুসমান পানিতে ডুবে রয়েছে।
এর মধ্যে শহরের নতুন বাজার, সদর রোড, চরপাড়া, জুবিলী স্কুল সড়ক, মহিলা কলেজ,কালেক্টরেট স্কুল, কলেজ রোড, এসডিও রোড, পোস্ট অফিস সড়ক, সবুজবাগ, তিতাস সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকা ও পুরানবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার বসতবাড়ি, দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়েছে । জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় জমে থাকা পানি নামছে ধীরগতিতে। জলাবদ্ধতার কারণে শহরের শেরেবাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আজকের অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে।
শহরের পোস্ট অফিস সড়ক এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সুমন কুমার বলেন, শহর রক্ষা বাঁধ দিয়ে পানি ধীরগতিতে নামার কারনে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে গুভোংগে পড়ছেন তারা। দোকানের ভিতরে পানি ঢুকে পড়ে। মালামালের ক্ষতি হচ্ছে।
এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে শহরের রাস্তা ঘাটে যান চলাচল অনেকটা কমে গেছে। বিশেষ করে রিকশাচালক ও দিনমজুররা ভিজেপুড়ে দারুন কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

পটুয়াখালী পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পানি নিষ্কাশনের কাজ এবং ড্রেন পরিষ্কার করতে দেখা গেছে। কর্মকর্তারা জানান, টানা ভারী বর্ষণের কারণে পানি দ্রুত নামছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

এদিকে টানা ভারী বৃষ্টিতে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকার নিন্মাঞ্চলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। খেতের আমন বীজতলা ডুবে গেছে। জলাবদ্ধার কারনে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে নিন্মাঞ্চলের বাসিন্দারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার রাঙ্গাবালীর নিন্মাঞ্চল বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। আগুনমুখা নদীর পাড়ে ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া, নয়াভাঙ্গনী, সাজিরহাওলা, ফুলখালীসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে। ঘর থেকে বেরুতেই হাটু সমান পানি পাড়ি দিয়ে চলতে হচ্ছে তাদের। নয়াভংগুনি গ্রামের বাসিন্দা জাকারিয়া জীবন জানায়, তাদের এলাকার সরকারি খালগুলো স্থানীয়রা বাঁধ দিয়ে পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করছেন। বাঁধের কারনে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়। এই বাঁধগুলো যদি কেটে না দেওয়া হয়। তাহলে আমাদের ভোগান্তির কোনো শেষ নাই। বৃষ্টির পানিতে গত দুইদিন ধরে আমন বীজতলা ডুবে রয়েছে। খালের বাঁধ অপসারন না করলে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে তাদের ফসল ফলাতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

একই এলাকার বাসিন্দারা মো,সেলিম বলেন, বৃষ্টির পানিতে আমাদের রান্নার ঘর তলিয়ে গেছে। আমার যে রান্না করে খাবো সেই সুযোগ আমাদের নাই। এখন বৃষ্টির কারণে পানি শুধু বাড়ছে কিন্তু কমে না কারণে আমাদের এলাকার নদীর পাড়ের স্লুইস গেট দিয়ে পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। আমরা এর একটা সমাধান চাই।
এছাড়াও রাঙ্গাবালীর সদর, চালিতাবুনিয়া, মৌডুবি, বড়বাইশদিয়া চরেমোন্তজ ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চলও বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। ভোগান্তির পাশাপাশি মৌসুমের আমন বীজতলা নিয়েও তারা শংকিত রয়েছেন।
রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো, আসাদুজ্জামান জানান, বৃষ্টির জলাবদ্ধতায় তাদের কমপক্ষে ৫০০ হেক্টর আমন বীজতলা ডুবে রয়েছে। এলাকার খালগুলো অনেক আগে থেকেই বাঁধের কারণে আবার অনেক খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানির স্বাভাবিক চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়াও এখন জোয়ারের পানির প্রবল চাপ থাকায় পানি নামছে না। কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগ থেকেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খেত থেকে পানি সরাতে কৃষকদের নিয়ে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
রাঙ্গাবালী উপজেলার পাশাপাশি টানা ভারী বৃষ্টিতে জেলার অন্যান্য উপজেলার নিন্মাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। খেতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। জেলার গলাচিপার চরকাজল ও চরবিশ্বাস এলাকার নিন্মাঞ্চলের জলাবদ্ধতার কারনে আমন বীজতলা ডুবে রয়েছে। চরকাজলের কৃষক আলম প্যাদা জানান, এক সপ্তাহ আগে তার বীজতলা শেষ হয়েছে। বীজ থেকে অঙ্কুর গজানোর আগেই তার বেীজতলা খেত বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানায়, খেতের পানি খালের মাধ্যমে নিস্কাশন হয়ে আসছে। তবে জলকপাটগুলো দখলসহ পানি ওঠানামা না করার ফলে অনেকটা অকেজো হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় অতিবৃষ্টিপাত হলেউ জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।
জলাবদ্ধাতার কারণে আমন বীজতলা নিয়ে কৃষকরা ক্ষতির আশংকা করছেন ।
পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম শামীম জানান, এ মৌসুমে জেলায় এক লক্ষ ৯০ হাজার ১১৫ হেক্টর আমন আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে । এর জন্য বীজতলা প্রয়োজন ১৩ হাজার ৮০০ হেক্টর। এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৬৫০ হেক্টর আমন বীজলা হয়েছে।
তিনি জানান, টানা বৃষ্টিতে আমন বীজতলা জলাবদ্ধতায় আত্রান্ত হয়েছে । দীর্ঘদিন পানিতে ডুবে থাকলে ক্ষতির আশংকা থাকবে। তবে পানি সরে যাচ্ছে তাই ক্ষতির হবে না বলেই মনে হচ্ছে।