ঢাকা ০৯:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

চবিতে শিক্ষার্থী সেজে ঘুরে বেড়ানো ‘সীমান্ত ভৌমিক’ আটক

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৯:০১:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ০ বার দেখা হয়েছে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আবারও একজন ভুয়া শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে আটক করে প্রক্টরিয়াল অফিসে নিয়ে আসে।

আটক ওই শিক্ষার্থীর নাম সীমান্ত ভৌমিক। তিনি ২০২৪ সাল থেকে নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পরিচয়ে ক্যাম্পাসে চলাচল করতেন।

এর আগে গত ২৭ নভেম্বর মিনহাজ ইসলাম রিফাত নামে এক ভুয়া শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পরিচয়ে ক্লাস করতেন।

জানা যায়, সীমান্ত ভৌমিকের বাড়ি খুলনা সদরে। বাবা বিপ্লব ভৌমিক ও মা ভারতী ভৌমিক। তিনি ২০২৪ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থান করছেন। দক্ষিণ ক্যাম্পাসের আর. কে. টাওয়ারের পাশে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। কয়েকদিন ধরে সন্দেহজনক আচরণের কারণে তাকে নজরদারিতে রাখেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে সন্দেহ আরও প্রবল হলে জিজ্ঞাসাবাদে সত্যতা বের হয়ে আসে। এরপর তারা তাকে প্রক্টরিয়াল অফিসে নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত হোসেন সিয়াম বলেন, ২০২৪ সালে রেলক্রসিং এলাকায় সীমান্তের সাথে আমার পরিচয় হয়। পরে দক্ষিণ ক্যাম্পাসে পাশাপাশি ভাড়া বাসায় থাকার সুবাদে তার সাথে আমার বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সে অনেকের কাছ থেকে টাকা ধার নিত।

তিনি আরও বলেন, অনেকগুলো দোকান থেকে সে বাকি খেয়েছে। প্রায় সবগুলো দোকানের মালিক তার কাছে টাকা পাবে। সন্দেহজনক আচরণের কারণে আজ আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। সে মেরিন সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পরিচয় দিলেও বিভাগে কেউ তাকে চেনে না। তাই আমরা তাকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসি।

এ প্রসঙ্গে সীমান্ত ভৌমিক বলেন, আমার অনেকদিনের স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা করার। তবে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার পরও চান্স পাইনি। আমার বাবা মাসহ পরিবারের সবাই জানে যে আমি চবিতে পড়াশোনা করি। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন এ সময়টাতে সে বিভিন্ন দোকানদার ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোট ১৮ হাজার ৬০০ টাকা নিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, শিক্ষার্থীরা এখন অনেক সচেতন। তাদের উদ্যোগেই দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থী সেজে ঘুরে বেড়ানো সীমান্তকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জেনেছি, সে বহুজনের সঙ্গে লেনদেনে জড়িত। তাকে নিরাপত্তা দপ্তরে হস্তান্তর করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চবিতে শিক্ষার্থী সেজে ঘুরে বেড়ানো ‘সীমান্ত ভৌমিক’ আটক

চবিতে শিক্ষার্থী সেজে ঘুরে বেড়ানো ‘সীমান্ত ভৌমিক’ আটক

প্রকাশিত : ০৯:০১:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আবারও একজন ভুয়া শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে আটক করে প্রক্টরিয়াল অফিসে নিয়ে আসে।

আটক ওই শিক্ষার্থীর নাম সীমান্ত ভৌমিক। তিনি ২০২৪ সাল থেকে নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পরিচয়ে ক্যাম্পাসে চলাচল করতেন।

এর আগে গত ২৭ নভেম্বর মিনহাজ ইসলাম রিফাত নামে এক ভুয়া শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পরিচয়ে ক্লাস করতেন।

জানা যায়, সীমান্ত ভৌমিকের বাড়ি খুলনা সদরে। বাবা বিপ্লব ভৌমিক ও মা ভারতী ভৌমিক। তিনি ২০২৪ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থান করছেন। দক্ষিণ ক্যাম্পাসের আর. কে. টাওয়ারের পাশে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। কয়েকদিন ধরে সন্দেহজনক আচরণের কারণে তাকে নজরদারিতে রাখেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে সন্দেহ আরও প্রবল হলে জিজ্ঞাসাবাদে সত্যতা বের হয়ে আসে। এরপর তারা তাকে প্রক্টরিয়াল অফিসে নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত হোসেন সিয়াম বলেন, ২০২৪ সালে রেলক্রসিং এলাকায় সীমান্তের সাথে আমার পরিচয় হয়। পরে দক্ষিণ ক্যাম্পাসে পাশাপাশি ভাড়া বাসায় থাকার সুবাদে তার সাথে আমার বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সে অনেকের কাছ থেকে টাকা ধার নিত।

তিনি আরও বলেন, অনেকগুলো দোকান থেকে সে বাকি খেয়েছে। প্রায় সবগুলো দোকানের মালিক তার কাছে টাকা পাবে। সন্দেহজনক আচরণের কারণে আজ আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। সে মেরিন সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পরিচয় দিলেও বিভাগে কেউ তাকে চেনে না। তাই আমরা তাকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসি।

এ প্রসঙ্গে সীমান্ত ভৌমিক বলেন, আমার অনেকদিনের স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা করার। তবে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার পরও চান্স পাইনি। আমার বাবা মাসহ পরিবারের সবাই জানে যে আমি চবিতে পড়াশোনা করি। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন এ সময়টাতে সে বিভিন্ন দোকানদার ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোট ১৮ হাজার ৬০০ টাকা নিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, শিক্ষার্থীরা এখন অনেক সচেতন। তাদের উদ্যোগেই দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থী সেজে ঘুরে বেড়ানো সীমান্তকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জেনেছি, সে বহুজনের সঙ্গে লেনদেনে জড়িত। তাকে নিরাপত্তা দপ্তরে হস্তান্তর করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।