ঢাকা ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

চারদিন সাগরে ভেসে থেকে বেঁচে ফিরলেন ৯ জেলে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৭:৪৪:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • ৪ বার দেখা হয়েছে

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

চারদিন সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে প্রাণে বেঁচে ফিরে এসেছেন ৯ জেলে। বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যাওয়ার চারদিন পর তাদের বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর সোনারচর সংলগ্ন সাগর থেকে জীবিত উদ্ধার করে অপর একটি মাছ ধরা টলারের জেলেরা।
উদ্ধার হওয়া জেলেদের দুপুরে রাঙ্গাবালী নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ডুবে যাওয়া ট্রলারের অপর তিন জেলে এর আগে উদ্ধার হয়েছে বলে ডুবে যাওয়া মালিক জানিয়েছেন বলে বলে জানান নৌপুলিশ।

উদ্ধার হাওয়া জেলেদের তথ্যমতে, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার পশ্চিম মঠের খাল এলাকার আলমগীর খলিফার মালিকানাধীন ‘এফবি সাইকূল’ নামের ট্রলারটি ১২ মাঝিমালাসহ গত ৫ জুলাই গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায়। পরদিন ৬ জুলাই সকাল ৬টার দিকে উত্তাল সাগরে প্রবল ঢেউয়ের কবলে পড়ে পায়রা সমুদ্র বন্দরের শেষ বয়ার কাছে ট্রলারটি ডুবে যায়।

উদ্ধার হওয়া ট্রলারের মাঝি কবির হোসেন বলেন, ‘ট্রলারে থাকা রিং বয়া ও ফ্লুট আঁকড়ে ধরে একত্রে ভেসে থাকতে থাকেন তারা ১২ জনই। প্রথমে সবাই একত্রে থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঢেউ ও স্রোতের তোড়ে তিনজন জেলে আলাদা হয়ে যান। বাকি ৯ জন প্রাণপণ লড়ে বেঁচে ছিলেন। চারদিন সাগরে ভেসে ভেসে তারা চলে আসেন রাঙ্গাবালী উপজেলার সোনারচর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের দিকে। বুধবার সকালে মাছ ধরতে যাওয়া একটি জেলে ট্রলার তাদের ভেসে থাকতে দেখে উদ্ধার করে দুপুরে রাঙ্গাবালী নৌপুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন-কবির হোসেন (৫২), এবাদত (৩৬), আল আমিন সিকদার (২৮), জাহিদ (২৭), রাসেল (২৪), ইব্রাহিম খান (৪০), মুনসুর (২৮), শাহ আলম (৬২) ও নূরুল হক (৪৫)। তাদের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। তারা জানান, চারদিন তারা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি ছাড়াই লবন পানি খেয়ে সাগরে ভেসে ছিলেন। প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি, ঢেউ আর মৃত্যুভয়কে সঙ্গী করে বেঁচে ফেরার সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন।

তবে উদ্ধার হওয়া জেলেদের দেয়া তথ্যমতে, বাকি তিন জেলে উদ্ধারের সঠিক কোন খবর পাওয়া যায়নি। খোঁজ না পাওয়া ওই জেলেরা হলেন-পাথরঘাটার হোগলাপাশা গ্রামের খবির আলী মিয়া, সোহাগ ও গোপাল মিস্ত্রী। ট্রলার মালিক আলমগীর খলিফার ভাই পরিচয় দিয়ে জহির মাঝি নামের এক ব্যক্তি জানান, রাঙ্গাবালীর অপরপ্রান্ত থেকে নিখোঁজ তিন জেলেকেও পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী নৌপুলিশ ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া ৯ জন জেলেকে চরমোন্তাজ স্লুইস বাজারে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ট্রলার মালিককে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসলে জেলেদেরকে হস্তান্তর করা হবে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

চারদিন সাগরে ভেসে থেকে বেঁচে ফিরলেন ৯ জেলে

প্রকাশিত : ০৭:৪৪:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

চারদিন সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে প্রাণে বেঁচে ফিরে এসেছেন ৯ জেলে। বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যাওয়ার চারদিন পর তাদের বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর সোনারচর সংলগ্ন সাগর থেকে জীবিত উদ্ধার করে অপর একটি মাছ ধরা টলারের জেলেরা।
উদ্ধার হওয়া জেলেদের দুপুরে রাঙ্গাবালী নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ডুবে যাওয়া ট্রলারের অপর তিন জেলে এর আগে উদ্ধার হয়েছে বলে ডুবে যাওয়া মালিক জানিয়েছেন বলে বলে জানান নৌপুলিশ।

উদ্ধার হাওয়া জেলেদের তথ্যমতে, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার পশ্চিম মঠের খাল এলাকার আলমগীর খলিফার মালিকানাধীন ‘এফবি সাইকূল’ নামের ট্রলারটি ১২ মাঝিমালাসহ গত ৫ জুলাই গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায়। পরদিন ৬ জুলাই সকাল ৬টার দিকে উত্তাল সাগরে প্রবল ঢেউয়ের কবলে পড়ে পায়রা সমুদ্র বন্দরের শেষ বয়ার কাছে ট্রলারটি ডুবে যায়।

উদ্ধার হওয়া ট্রলারের মাঝি কবির হোসেন বলেন, ‘ট্রলারে থাকা রিং বয়া ও ফ্লুট আঁকড়ে ধরে একত্রে ভেসে থাকতে থাকেন তারা ১২ জনই। প্রথমে সবাই একত্রে থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঢেউ ও স্রোতের তোড়ে তিনজন জেলে আলাদা হয়ে যান। বাকি ৯ জন প্রাণপণ লড়ে বেঁচে ছিলেন। চারদিন সাগরে ভেসে ভেসে তারা চলে আসেন রাঙ্গাবালী উপজেলার সোনারচর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের দিকে। বুধবার সকালে মাছ ধরতে যাওয়া একটি জেলে ট্রলার তাদের ভেসে থাকতে দেখে উদ্ধার করে দুপুরে রাঙ্গাবালী নৌপুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন-কবির হোসেন (৫২), এবাদত (৩৬), আল আমিন সিকদার (২৮), জাহিদ (২৭), রাসেল (২৪), ইব্রাহিম খান (৪০), মুনসুর (২৮), শাহ আলম (৬২) ও নূরুল হক (৪৫)। তাদের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। তারা জানান, চারদিন তারা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি ছাড়াই লবন পানি খেয়ে সাগরে ভেসে ছিলেন। প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি, ঢেউ আর মৃত্যুভয়কে সঙ্গী করে বেঁচে ফেরার সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন।

তবে উদ্ধার হওয়া জেলেদের দেয়া তথ্যমতে, বাকি তিন জেলে উদ্ধারের সঠিক কোন খবর পাওয়া যায়নি। খোঁজ না পাওয়া ওই জেলেরা হলেন-পাথরঘাটার হোগলাপাশা গ্রামের খবির আলী মিয়া, সোহাগ ও গোপাল মিস্ত্রী। ট্রলার মালিক আলমগীর খলিফার ভাই পরিচয় দিয়ে জহির মাঝি নামের এক ব্যক্তি জানান, রাঙ্গাবালীর অপরপ্রান্ত থেকে নিখোঁজ তিন জেলেকেও পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী নৌপুলিশ ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া ৯ জন জেলেকে চরমোন্তাজ স্লুইস বাজারে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ট্রলার মালিককে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসলে জেলেদেরকে হস্তান্তর করা হবে।