ঢাকা ০৪:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

নোয়াখালীতে ক্ষতিগ্রস্ত ২ লাখ মানুষ,পানিবন্দি ৪২ হাজার পরিবার

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৯:১৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
  • ৩ বার দেখা হয়েছে

নোয়াখালীতে টানা ভারী বর্ষণের ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৪১ হাজার ৮৪০টি পরিবার। জেলায় মোট ৪৬৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ২ লাখ ৩ হাজার ১০০ মানুষ। বিধ্বস্ত হয়েছে ৪০ ঘরবাড়ি। আশ্রিত গবাদি পশুর সংখ্যা হলো ২৪০টি।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাতে নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ।

জানা গেছে, নোয়াখালী সদর, কবিরহাট ও সেনবাগ উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। নোয়াখালী সদর উপজেলাতেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সংখ্যা ৩০ হাজার, সেনবাগে ৩ হাজার ৮৭০, কবিরহাটে ৩ হাজার ৬৫০, কোম্পানীগঞ্জে ৩ হাজার ৫২০, সুবর্নচরে ৫০০ এবং হাতিয়া উপজেলায় ৩০০। বন্যায় ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে অন্তত একটি, আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ৪০টি ঘর। জেলাজুড়ে মোট ৪০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১ হাজার ৪১৯ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া ২৪০টি গবাদিপশু আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। জেলার ৬টি উপজেলার ৫৭টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার অন্তত ২ লাখ ৩ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ৪১ হাজার ৮৪০ জন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গতদের মাঝে ৫১টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে যার মধ্যে কাজ করছে ২৯টি।

লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা মোশারফ হোসেন বলেন, গতকাল সন্ধ্যার পর আজ সকাল পর্যন্ত তেমন বৃষ্টি হয়নি। তবে এখনো রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন বাসাবাড়ির আঙিনায় পানি আছে। এ কারণে আমাদের দুর্ভোগ কমেনি। পানিতে ডুবে থাকা ভাঙাচোরা রাস্তায় চলতে গিয়ে আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনার কারণে পানি ধীরগতিতে নামছে। এ কারণে বৃষ্টি কমলেও শহরের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কমেনি। জেলা শহর মাইজদীসহ বিভিন্ন উপজেলার নিচু এলাকার বেশির ভাগ রাস্তাঘাট এখনো পানির নিচে।

জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি বেড়েছে। আমরা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য কাজ করছি। এছাড়াও জলাবদ্ধতা দূর করতে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা পানি চলাচলের পথগুলো সচল করে দিয়েছেন। দ্রুতই জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে তিনি আশা করছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

নোয়াখালীতে ক্ষতিগ্রস্ত ২ লাখ মানুষ,পানিবন্দি ৪২ হাজার পরিবার

প্রকাশিত : ০৯:১৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

নোয়াখালীতে টানা ভারী বর্ষণের ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৪১ হাজার ৮৪০টি পরিবার। জেলায় মোট ৪৬৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ২ লাখ ৩ হাজার ১০০ মানুষ। বিধ্বস্ত হয়েছে ৪০ ঘরবাড়ি। আশ্রিত গবাদি পশুর সংখ্যা হলো ২৪০টি।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাতে নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ।

জানা গেছে, নোয়াখালী সদর, কবিরহাট ও সেনবাগ উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। নোয়াখালী সদর উপজেলাতেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সংখ্যা ৩০ হাজার, সেনবাগে ৩ হাজার ৮৭০, কবিরহাটে ৩ হাজার ৬৫০, কোম্পানীগঞ্জে ৩ হাজার ৫২০, সুবর্নচরে ৫০০ এবং হাতিয়া উপজেলায় ৩০০। বন্যায় ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে অন্তত একটি, আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ৪০টি ঘর। জেলাজুড়ে মোট ৪০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১ হাজার ৪১৯ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া ২৪০টি গবাদিপশু আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। জেলার ৬টি উপজেলার ৫৭টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার অন্তত ২ লাখ ৩ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ৪১ হাজার ৮৪০ জন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গতদের মাঝে ৫১টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে যার মধ্যে কাজ করছে ২৯টি।

লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা মোশারফ হোসেন বলেন, গতকাল সন্ধ্যার পর আজ সকাল পর্যন্ত তেমন বৃষ্টি হয়নি। তবে এখনো রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন বাসাবাড়ির আঙিনায় পানি আছে। এ কারণে আমাদের দুর্ভোগ কমেনি। পানিতে ডুবে থাকা ভাঙাচোরা রাস্তায় চলতে গিয়ে আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনার কারণে পানি ধীরগতিতে নামছে। এ কারণে বৃষ্টি কমলেও শহরের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কমেনি। জেলা শহর মাইজদীসহ বিভিন্ন উপজেলার নিচু এলাকার বেশির ভাগ রাস্তাঘাট এখনো পানির নিচে।

জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি বেড়েছে। আমরা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য কাজ করছি। এছাড়াও জলাবদ্ধতা দূর করতে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা পানি চলাচলের পথগুলো সচল করে দিয়েছেন। দ্রুতই জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে তিনি আশা করছেন।