ঢাকা ০২:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

ইসরায়েলের তেল শোধনাগারে ইরানের হামলায়, নিহত ৩

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৯:৪২:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
  • ৮৯ বার দেখা হয়েছে

ইসরায়েলের বন্দরশহর হাইফার একটি তেল শোধনাগারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে তিনজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন এবং শোধনাগারটিরও উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ওই শোধনাগারটি ছিল ইসরায়েলি কোম্পানি বাজান গ্রুপের। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এ হামলা চালানো হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইসরায়েলি দৈনিক ইসরায়েল হায়োম।

হামলায় নিহত ৩ জনের মরদেহ শোধনাগারটির ধ্বসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে বাজান গ্রুপ জানিয়েছে, হামলার পর শোধনাগারটির যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শোধনাগারটির আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের শত্রুতা গত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে। এই শত্রুতার প্রধান কারণ, আন্তর্জাতিকভাবে নির্ধারিত সীমানা প্রতিনিয়ত লঙ্ঘনের মাধ্যমে ক্রমশ ফিলিস্তিনের বিভিন্ন অঞ্চল ইসরায়েলের দখল করতে থাকা।

সম্প্রতি ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে ঘিরে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত হয়েছে। ‘ইরান পরমাণু বোমা তৈরির দোরগোড়ায়’— দাবি করে গত ১২ জুন দেশটির পরমাণু স্থাপনা ও সামরিক বাহিনীকে লক্ষ্য করে বিমান অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এ অভিযানে ইরানের নাতাঞ্জ, ফার্দো এবং ইসফাহান শহরের পরমাণু স্থাপনাগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো এই তিন শহরেই ছিল।

পরমাণু স্থাপনাগুলোর ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ইরানের সেনাপ্রধান জেনারেল মোহাম্মদ বাঘাইসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা ও অন্তত ১০ জন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন ইসরায়েলের বিমান অভিযানে।

প্রায় ১২ দিন সংঘাত চলার পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ২৪ জুন যুদ্ধবিরতিতে যায় ইরান-ইসরারয়েল। সেই যুদ্ধবিরতির পর এই প্রথম ইসরায়েলের ভেতরে কোনো স্থাপনায় হামলা চালাল ইরান।

ইসরায়েলের তেল শোধনাগারে ইরানের হামলায়, নিহত ৩

প্রকাশিত : ০৯:৪২:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

ইসরায়েলের বন্দরশহর হাইফার একটি তেল শোধনাগারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে তিনজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন এবং শোধনাগারটিরও উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ওই শোধনাগারটি ছিল ইসরায়েলি কোম্পানি বাজান গ্রুপের। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এ হামলা চালানো হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইসরায়েলি দৈনিক ইসরায়েল হায়োম।

হামলায় নিহত ৩ জনের মরদেহ শোধনাগারটির ধ্বসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে বাজান গ্রুপ জানিয়েছে, হামলার পর শোধনাগারটির যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শোধনাগারটির আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের শত্রুতা গত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে। এই শত্রুতার প্রধান কারণ, আন্তর্জাতিকভাবে নির্ধারিত সীমানা প্রতিনিয়ত লঙ্ঘনের মাধ্যমে ক্রমশ ফিলিস্তিনের বিভিন্ন অঞ্চল ইসরায়েলের দখল করতে থাকা।

সম্প্রতি ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে ঘিরে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত হয়েছে। ‘ইরান পরমাণু বোমা তৈরির দোরগোড়ায়’— দাবি করে গত ১২ জুন দেশটির পরমাণু স্থাপনা ও সামরিক বাহিনীকে লক্ষ্য করে বিমান অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এ অভিযানে ইরানের নাতাঞ্জ, ফার্দো এবং ইসফাহান শহরের পরমাণু স্থাপনাগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো এই তিন শহরেই ছিল।

পরমাণু স্থাপনাগুলোর ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ইরানের সেনাপ্রধান জেনারেল মোহাম্মদ বাঘাইসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা ও অন্তত ১০ জন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন ইসরায়েলের বিমান অভিযানে।

প্রায় ১২ দিন সংঘাত চলার পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ২৪ জুন যুদ্ধবিরতিতে যায় ইরান-ইসরারয়েল। সেই যুদ্ধবিরতির পর এই প্রথম ইসরায়েলের ভেতরে কোনো স্থাপনায় হামলা চালাল ইরান।