ঢাকা ০২:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন না-ও হতে পারে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৭:৩১:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫
  • ৬৮ বার দেখা হয়েছে

গত তিন বছর ধরে যুদ্ধরত দুই প্রতিবেশী দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধবিরতি না-ও হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশপাশি তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তায় সংশ্লিষ্ট থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।

গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেছিলেন যদি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি না হয়, তাহলে মস্কোর বিরুদ্ধে ‘গুরুতর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন তিনি।

সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়ের সময় এক সাংবাদিক তাকে সেই পুরনো বক্তব্য স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রশ্ন করেন, যদি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি না হয়, তাহলে সত্যিই রাশিয়ার বিরুদ্ধে গুরুতর পদক্ষেপ তিনি গ্রহণ করবেন কি না।

জবাবে ট্রাম্প বলেন, “যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন না ও হতে পারে। এ বছর আমি ছয়টি শান্তি চুক্তি করেছি। আপনারা যদি লক্ষ্য করেন— সবই ছিল যুদ্ধের মধ্যে।

“আমি কোনো যুদ্ধবিরতি করিনি, বরং যুদ্ধবিরতি ছাড়াই এসব শান্তিচুক্তি করেছি।

পাশাপাশি ভবিষ্যতে ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্র সংশ্লিষ্ট থাকবে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, “ইউরোপের দেশগুলো সবসময় ইউক্রেনের পাশে থাকবে, কারণ তারা ইউক্রেনকে ইউরোপের অংশ বলে মনে করে। আমরাও তা-ই মনে করে এবং এ কারণে ভবিষ্যতে ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আমরা সংশ্লিষ্ট থাকব।”

প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই বৈঠক উপলক্ষে হোয়াইট হাউসে এসেছেন ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্র/সরকারপ্রধান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর শীর্ষ কর্মকর্তারা। জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক শেষ করে তাদের সঙ্গেও আলোচনায় বসবেন ট্রাম্প।

এর আগে একই ইস্যুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। গত শুক্রবার আলাস্কায় একটি সেনাঘাঁটিতে হয়েছিল সেই বৈঠক।

সোমবার জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অনেক প্রশ্ন করেছেন সাংবাদিকরা; কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাড়া দেননি ট্রাম্প। যেসব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন, সেসবও সরাসরি উত্তর দেওয়ার বদলে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দিয়েছেন।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন না-ও হতে পারে

প্রকাশিত : ০৭:৩১:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫

গত তিন বছর ধরে যুদ্ধরত দুই প্রতিবেশী দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধবিরতি না-ও হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশপাশি তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তায় সংশ্লিষ্ট থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।

গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেছিলেন যদি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি না হয়, তাহলে মস্কোর বিরুদ্ধে ‘গুরুতর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন তিনি।

সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়ের সময় এক সাংবাদিক তাকে সেই পুরনো বক্তব্য স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রশ্ন করেন, যদি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি না হয়, তাহলে সত্যিই রাশিয়ার বিরুদ্ধে গুরুতর পদক্ষেপ তিনি গ্রহণ করবেন কি না।

জবাবে ট্রাম্প বলেন, “যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন না ও হতে পারে। এ বছর আমি ছয়টি শান্তি চুক্তি করেছি। আপনারা যদি লক্ষ্য করেন— সবই ছিল যুদ্ধের মধ্যে।

“আমি কোনো যুদ্ধবিরতি করিনি, বরং যুদ্ধবিরতি ছাড়াই এসব শান্তিচুক্তি করেছি।

পাশাপাশি ভবিষ্যতে ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্র সংশ্লিষ্ট থাকবে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, “ইউরোপের দেশগুলো সবসময় ইউক্রেনের পাশে থাকবে, কারণ তারা ইউক্রেনকে ইউরোপের অংশ বলে মনে করে। আমরাও তা-ই মনে করে এবং এ কারণে ভবিষ্যতে ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আমরা সংশ্লিষ্ট থাকব।”

প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই বৈঠক উপলক্ষে হোয়াইট হাউসে এসেছেন ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্র/সরকারপ্রধান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর শীর্ষ কর্মকর্তারা। জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক শেষ করে তাদের সঙ্গেও আলোচনায় বসবেন ট্রাম্প।

এর আগে একই ইস্যুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। গত শুক্রবার আলাস্কায় একটি সেনাঘাঁটিতে হয়েছিল সেই বৈঠক।

সোমবার জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অনেক প্রশ্ন করেছেন সাংবাদিকরা; কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাড়া দেননি ট্রাম্প। যেসব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন, সেসবও সরাসরি উত্তর দেওয়ার বদলে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দিয়েছেন।