ঢাকা ০২:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

দিল্লি-বেইজিং-মস্কোর ত্রিপাক্ষিক আলোচনা শিগগিরই

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০২:২৩:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
  • ৭৭ বার দেখা হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা সত্ত্বেও ভারতের কাছে তেল সরবরাহ অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা করছে রাশিয়া। একই সঙ্গে ভারত ও চীনের সাথে শিগগিরই মস্কোর ত্রিপাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে দেশটি। বুধবার নয়াদিল্লিতে অবস্থিত রুশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা এই প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন বলে খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২৭ আগস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছেন। ইউক্রেন যুদ্ধের আগে রাশিয়ার কাছ  থেকে ভারতের তেল আমদানির পরিমাণ ছিল মোট আমদানির মাত্র ০ দশমিক ২ শতাংশ। বর্তমানে ভারতের রুশ তেলের এই আমদানির পরিমাণ বেড়ে ৩৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। রুশ তেল কেনার শাস্তি হিসেবে ভারতের ওপর ওই অতিরিক্ত শুল্ক ও জরিমানা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

নয়াদিল্লিতে রুশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রোমান বাবুশকিন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‌‌আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যে, রাজনৈতিক পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, ভারত একই পরিমাণ তেল আমদানি করবে বলে আমরা ধারণা করছি।

তিনি বলেন, ভারত ও রাশিয়া নিজেদের জাতীয় স্বার্থে ট্রাম্পের সর্বশেষ শুল্ক মোকাবিলার পথ খুঁজে বের করবে।

রাশিয়ার ফার্স্ট উপ-প্রধানমন্ত্রী ডেনিস মান্টুরভ বলেছেন, ভারতে রাশিয়ার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ করার সুযোগ রয়েছে। দেশটির বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সকে তিনি বলেছেন, ‌‌আমরা জ্বালানি সরবরাহ অব্যাহত রেখেছি। এর মধ্যে অপরিশোধিত তেল, তেলজাত পণ্য ও কয়লা রয়েছে। আমরা ভারতে রুশ এলএনজি রপ্তানির সম্ভাবনা দেখছি।

তিনি বলেন, রাশিয়া ভারতের সঙ্গে পারমাণবিক শক্তি সহযোগিতা বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব দিচ্ছে।

ভারতের কৃষি ও দুগ্ধ খাত উন্মুক্ত করার মার্কিন দাবি ও রাশিয়ার তেল ক্রয়কে কেন্দ্র করে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য আলোচনা ভেস্তে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট শুল্ক বেড়ে ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে।

এই বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনও সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। তবে এর আগে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, রুশ পণ্য কেনার জন্য কেবল ভারতকে আলাদা করে চিহ্নিত করার মার্কিন সিদ্ধান্ত ‘‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’’।

বুধবার রাশিয়ার উপ-বাণিজ্য কমিশনার ইভগেনি গ্রিভা বলেন, রাশিয়া থেকে তেল কেনা ভারতের জন্য ‘‘অত্যন্ত লাভজনক’’। যে কারণে দেশটি সরবরাহকারী পরিবর্তন করতে চাইবে না।

তিনি বলেন, ভারতীয় ক্রেতাদের জন্য গড়ে ৫-৭ শতাংশ ছাড় দেয় রাশিয়া এবং ভারতে তেল সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য মস্কোর কাছে ‘‘অত্যন্ত বিশেষ একটি ব্যবস্থা’’ রয়েছে।

ইভগেনি গ্রিভা বলেন, ভারতীয় বিভিন্ন ব্যাংকে আটকে থাকা শত শত কোটি ডলারের তহবিল সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হওয়ার পর রাশিয়া ভারতীয় রুপিতে অর্থ গ্রহণ করা শুরু করেছে।

দিল্লি-বেইজিং-মস্কোর ত্রিপাক্ষিক আলোচনা শিগগিরই

প্রকাশিত : ০২:২৩:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা সত্ত্বেও ভারতের কাছে তেল সরবরাহ অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা করছে রাশিয়া। একই সঙ্গে ভারত ও চীনের সাথে শিগগিরই মস্কোর ত্রিপাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে দেশটি। বুধবার নয়াদিল্লিতে অবস্থিত রুশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা এই প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন বলে খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২৭ আগস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছেন। ইউক্রেন যুদ্ধের আগে রাশিয়ার কাছ  থেকে ভারতের তেল আমদানির পরিমাণ ছিল মোট আমদানির মাত্র ০ দশমিক ২ শতাংশ। বর্তমানে ভারতের রুশ তেলের এই আমদানির পরিমাণ বেড়ে ৩৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। রুশ তেল কেনার শাস্তি হিসেবে ভারতের ওপর ওই অতিরিক্ত শুল্ক ও জরিমানা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

নয়াদিল্লিতে রুশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রোমান বাবুশকিন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‌‌আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যে, রাজনৈতিক পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, ভারত একই পরিমাণ তেল আমদানি করবে বলে আমরা ধারণা করছি।

তিনি বলেন, ভারত ও রাশিয়া নিজেদের জাতীয় স্বার্থে ট্রাম্পের সর্বশেষ শুল্ক মোকাবিলার পথ খুঁজে বের করবে।

রাশিয়ার ফার্স্ট উপ-প্রধানমন্ত্রী ডেনিস মান্টুরভ বলেছেন, ভারতে রাশিয়ার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ করার সুযোগ রয়েছে। দেশটির বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সকে তিনি বলেছেন, ‌‌আমরা জ্বালানি সরবরাহ অব্যাহত রেখেছি। এর মধ্যে অপরিশোধিত তেল, তেলজাত পণ্য ও কয়লা রয়েছে। আমরা ভারতে রুশ এলএনজি রপ্তানির সম্ভাবনা দেখছি।

তিনি বলেন, রাশিয়া ভারতের সঙ্গে পারমাণবিক শক্তি সহযোগিতা বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব দিচ্ছে।

ভারতের কৃষি ও দুগ্ধ খাত উন্মুক্ত করার মার্কিন দাবি ও রাশিয়ার তেল ক্রয়কে কেন্দ্র করে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য আলোচনা ভেস্তে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট শুল্ক বেড়ে ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে।

এই বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনও সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। তবে এর আগে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, রুশ পণ্য কেনার জন্য কেবল ভারতকে আলাদা করে চিহ্নিত করার মার্কিন সিদ্ধান্ত ‘‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’’।

বুধবার রাশিয়ার উপ-বাণিজ্য কমিশনার ইভগেনি গ্রিভা বলেন, রাশিয়া থেকে তেল কেনা ভারতের জন্য ‘‘অত্যন্ত লাভজনক’’। যে কারণে দেশটি সরবরাহকারী পরিবর্তন করতে চাইবে না।

তিনি বলেন, ভারতীয় ক্রেতাদের জন্য গড়ে ৫-৭ শতাংশ ছাড় দেয় রাশিয়া এবং ভারতে তেল সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য মস্কোর কাছে ‘‘অত্যন্ত বিশেষ একটি ব্যবস্থা’’ রয়েছে।

ইভগেনি গ্রিভা বলেন, ভারতীয় বিভিন্ন ব্যাংকে আটকে থাকা শত শত কোটি ডলারের তহবিল সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হওয়ার পর রাশিয়া ভারতীয় রুপিতে অর্থ গ্রহণ করা শুরু করেছে।