শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক ডা. কামরুল হাসানের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় চিকিৎসক সমাজে ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) এনডিএফের অফিস সম্পাদক ডা. এ কে এম জিয়াউল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির এই অবস্থান জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৯ অক্টোবর রাতে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালনের সময় ডা. কামরুল হাসান একদল সন্ত্রাসীর পরিকল্পিত হামলার শিকার হন। ঘটনাস্থলেই তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়।
সংগঠনটি বলেছে, রোগীর সেবা দিতে গিয়ে একজন চিকিৎসকের ওপর এভাবে নৃশংস হামলা শুধু ব্যক্তি নয়, গোটা স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর আঘাত। এ ঘটনা দেশের চিকিৎসক সমাজসহ সচেতন নাগরিকদের মনে গভীর ক্ষোভ ও আতঙ্ক তৈরি করেছে।
এনডিএফের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের নৈতিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব। চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানেই চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা জাতির জন্য লজ্জাজনক। এই হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন দুঃসাহস না দেখায়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চিকিৎসকদের নিরাপত্তাহীনতা শুধু তাদের পেশাগত মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে না, বরং রোগীর জীবনরক্ষার ক্ষেত্রেও বড় হুমকি তৈরি করে। এনডিএফ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে।
অফিস সম্পাদক ডা. জিয়াউল হক বলেন, আমরা ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের পক্ষ থেকে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। চিকিৎসকদের ওপর হামলা মানে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর আক্রমণ। আমরা প্রত্যাশা করি, সরকার ও প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনবে এবং চিকিৎসকদের সম্মান ও নিরাপত্তা রক্ষায় দৃঢ় ভূমিকা রাখবে।