ঢাকা ০১:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

একই পদে শিবির-ছাত্রদল প্যানেল থেকে ২ জুলাই যোদ্ধা:জকসু নির্বাচন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৮:৩৭:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ৪ বার দেখা হয়েছে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে (জকসু) মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই জুলাই যোদ্ধা। শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেল থেকে এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জুলাইয়ে কারানির্যাতিত নূর নবী, আর ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জুলাইয়ে গুলিবিদ্ধ অনিক কুমার দাস।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুই প্যানেল থেকেই এ দুই জুলাই যোদ্ধা একই সময়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

মনোনয়ন জমা শেষে নূর নবী বলেন, আজকের জকসু নির্বাচনের পেছনে মূল চাবিকাঠি হলো ২৪-এর ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান। ৫ আগস্ট না হলে জকসু তো দূরের কথা, আমরাই হয়তো বেঁচে থাকতাম না। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রবিষয়ক এই পদে ছাত্রদল প্যানেল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে, সেই অনিক কুমার দাসও আমার সহযোদ্ধা। আমি গ্রেপ্তার হওয়ার তিন দিন আগে আমার চোখের সামনে গুলিবিদ্ধ হয় অনিক। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। এ পদে যেই বিজয়ী হই না কেন, সেটি আমাদের দুজনেরই বিজয় হবে। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরে ক্যাম্পাসে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ গড়ে তোলাই আমাদের অঙ্গীকার।

মনোনয়ন জমা শেষে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল থেকে নির্বাচন করা জুলাইয়ে গুলিবিদ্ধ অনিক কুমার দাস বলেন, এই পদের জন্য আমরা দুজনই যোগ্য। নূর নবী ভাই অথবা আমি-যেই বিজয়ী হই, সেটি আমাদের উভয়েরই বিজয় হবে। আমরা দুজনেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে কাজ করব। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসের পাশাপাশি ২৪-এর জুলাইয়ের স্পিরিট ও ইতিহাস সংরক্ষণে কাজ করব।

নূর নবী ও অনিক কুমার দাস দুজনেই জুলাই অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির যোদ্ধা ছিলেন। ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই ঢাকার সিএমএম কোর্ট প্রাঙ্গণে আওয়ামী যুবলীগের নেতাদের গুলিতে অনিক কুমার দাসসহ চারজন আহত হন। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে অনিক ও ফেরদৌস শেখ এবার জকসু নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ফেরদৌস শেখ সমাজসেবা সম্পাদক পদে ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অন্যদিকে, ২৪-এর ১৯ জুলাই আন্দোলনরত নূর নবীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট থেকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি। দুই দিন গুম করে রাখার পর ২১ জুলাই তাকে শাহবাগ থানার নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তিন দিনের রিমান্ড শেষে ২৫ জুলাই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। রিমান্ডে তার দুই হাত ভেঙে দেওয়া হয় এবং বিভিন্ন ধরনের শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়।

একই পদে শিবির-ছাত্রদল প্যানেল থেকে ২ জুলাই যোদ্ধা:জকসু নির্বাচন

প্রকাশিত : ০৮:৩৭:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে (জকসু) মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই জুলাই যোদ্ধা। শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেল থেকে এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জুলাইয়ে কারানির্যাতিত নূর নবী, আর ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জুলাইয়ে গুলিবিদ্ধ অনিক কুমার দাস।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুই প্যানেল থেকেই এ দুই জুলাই যোদ্ধা একই সময়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

মনোনয়ন জমা শেষে নূর নবী বলেন, আজকের জকসু নির্বাচনের পেছনে মূল চাবিকাঠি হলো ২৪-এর ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান। ৫ আগস্ট না হলে জকসু তো দূরের কথা, আমরাই হয়তো বেঁচে থাকতাম না। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রবিষয়ক এই পদে ছাত্রদল প্যানেল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে, সেই অনিক কুমার দাসও আমার সহযোদ্ধা। আমি গ্রেপ্তার হওয়ার তিন দিন আগে আমার চোখের সামনে গুলিবিদ্ধ হয় অনিক। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। এ পদে যেই বিজয়ী হই না কেন, সেটি আমাদের দুজনেরই বিজয় হবে। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরে ক্যাম্পাসে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ গড়ে তোলাই আমাদের অঙ্গীকার।

মনোনয়ন জমা শেষে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল থেকে নির্বাচন করা জুলাইয়ে গুলিবিদ্ধ অনিক কুমার দাস বলেন, এই পদের জন্য আমরা দুজনই যোগ্য। নূর নবী ভাই অথবা আমি-যেই বিজয়ী হই, সেটি আমাদের উভয়েরই বিজয় হবে। আমরা দুজনেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে কাজ করব। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসের পাশাপাশি ২৪-এর জুলাইয়ের স্পিরিট ও ইতিহাস সংরক্ষণে কাজ করব।

নূর নবী ও অনিক কুমার দাস দুজনেই জুলাই অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির যোদ্ধা ছিলেন। ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই ঢাকার সিএমএম কোর্ট প্রাঙ্গণে আওয়ামী যুবলীগের নেতাদের গুলিতে অনিক কুমার দাসসহ চারজন আহত হন। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে অনিক ও ফেরদৌস শেখ এবার জকসু নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ফেরদৌস শেখ সমাজসেবা সম্পাদক পদে ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অন্যদিকে, ২৪-এর ১৯ জুলাই আন্দোলনরত নূর নবীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট থেকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি। দুই দিন গুম করে রাখার পর ২১ জুলাই তাকে শাহবাগ থানার নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তিন দিনের রিমান্ড শেষে ২৫ জুলাই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। রিমান্ডে তার দুই হাত ভেঙে দেওয়া হয় এবং বিভিন্ন ধরনের শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়।